প্রথমে সুরা বাকারার ৩৪ তম আয়াতটাকে পড়ে দেখি
34) এবং যখন আমি হযরত আদম (আ
And (remember) when We said to the angels: ”Prostrate yourselves before Adam.”. And they prostrated except Iblîs (Satan), he refused and was proud and was one of the disbelievers (disobedient to Allâh)
এখানে জানানো হচ্ছে যে ইবলীস কিভাবে আল্লার নির্দেশ পালনে অস্বীকার করে তার অহংকার দেখাবার মাধ্যমে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলো।
এবারে আমরা একই সুরার ৩০ তম আয়াত পড়ব
30) আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেন: আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে সôরণ করছি| তিনি বললেন, নি:সন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না| And (remember) when your Lord said to the angels: ”Verily, I am going to place (mankind) generations after generations on earth.” They said: ”Will You place therein those who will make mischief therein and shed blood, - while we glorify You with praises and thanks (Exalted be You above all that they associate with You as partners) and sanctify You.” He (Allâh) said: ”I know that which you do not know.”
এখানে আল্লা ও ফেরেশতাদের ভিতরে আদমকে তৈরী বিষয়ক কথাবার্তার ব্যাপারে বলা হচ্ছে। এখানে লক্ষ্যনীয় ফেরেশতারা কিন্তু আল্লার সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে। এখানে কিন্তু আল্লার সিদ্ধান্তের বিরোধীতাকারীদের সাথে সাথে কাফের হয়ে যাবার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
একই ধরণের পাপ/বিরোধিতার ক্ষেত্রে আল্লার বিচার দুইরকম দেখা যাচ্ছে। আল্লা যদি আসলেই ন্যায়পরায়ণ বা পক্ষপাতহীন হয়ে থাকে তাহলেতো তার দুই রকম বিচার করার কথা না।
আল্লা কি তবে পক্ষপাত দোষে দুষ্ট?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এবার একই সুরার আরও তিনটা আয়াত পড়ি। যেখানে সুস্পষ্ট ভাবে আল্লা একটা পক্ষ অবলম্বন করে বিপক্ষের সাথে প্রতারণা করেছে। যেটা কথিত শেষবিচারের সময়ে তার নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
31) আর আল্লাহ্ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম| তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্খাপন করলেন| অত:পর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক|
And He taught Adam all the names (of everything) , then He showed them to the angels and said, ”Tell Me the names of these if you are truthful.”
32) তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা|
They (angels) said: ”Glory be to You, we have no knowledge except what you have taught us. Verily, it is You, the All-Knower, the All-Wise.”
33) তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম| তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর!
He said: ”O Adam! Inform them of their names,” and when he had informed them of their names, He said: ”Did I not tell you that I know the Ghaib (unseen) in the heavens and the earth, and I know what you reveal and what you have been concealing?”
এই আয়াতগুলোতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আল্লা আদমকে ফেরেশতাদের অগোচরে এমন কিছু জিনিসের সম্বন্ধে জ্ঞান দিয়েছে যে বিষয়ে ফেরেশতারা অজ্ঞ। এরপর আদমের মাধ্যমে ফেরেশতাদের সামনে একটা ডেমনেস্ট্রেশনের ব্যাবস্থা করেছে যেখানে আল্লার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা হয়েছে। যেটা ফেরেশতাদের সাথে আল্লার প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
এখন প্রশ্নটা এরকম- যে সুপ্রীম(!) বিইং নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য তার একনিষ্ঠ এবাদতকারীদের সাথেও প্রতারণা করতে পিছপা হয় না সেই সুপ্রীম(!) বিইং কিভাবে একসময় যার পক্ষেছিলো প্রয়োজনে তাদের সাথেও প্রতারণা মূলক আচরণ করবে না?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
রেফারেন্সঃ-কোরাণের অনুবাদ গুলো নেয়া হয়েছে কোরাণশরীফডটঅর্গ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




