প্রশংসা পত্র: হোপ
হোপের সাথে আমার পরিচয়টা অনেক পুরানো। জনম জনমে পরিচয় বললে ভুল হবে, তবে কবে থেকে পরিচয় তা মনে করতে পারিনা এতটাই পুরানো। তখন ওরা পুরানো ঢাকায় থাকত, এখনকার মত এত রমরমা অবস্থাতো ছিল না বা লন্ডন ছিল অনেক দূরকার স্বপ্ন। পড়াশোনা তেমন করতনা কিন্তু রেজাল্টা বড়াবরই ভাল ছিল। ওর বাবা কি করত জানতাম না তবে সারাদিন বাইরে বাইরে থাকত, ব্যবসা ট্যাবসা করত মনে হয়। টাকা পয়সার রমরমা অবস্থা কোনদিন দেখি নাই তবে, অল্পে ভাল থাকার অপ্রান চেস্টা। মাঝে মাঝেই ওদের বাসায় যেতাম, না গেলেও হয় তবুও যেতাম, হোপকে অবশ্য পাওয়া যেতনা ও ওর রুম থেকেই বের হতনা। যতটুক সময় দিত তা হত একেবারে পারফেক্ট টাইম। দুনিয়ার এমন কিছু ছিল না যা সে জানত না, ওর জ্ঞানগর্ভ কথা বার্তা শুনেই সময় কাটত, রসিকতা টসিকতা কি জিনিস তা তার কাছে গিয়ে জানা যাবেনা, জানা যাবে শুধু জ্ঞানের কথা। মেয়েদের কাছে সচরাচর যেটা দেখা যায় না। এ দিকে আবার আংকেলের ব্যবসা ভাল যাচ্ছেনা একটা ঝুকি পূর্ণ সময় যাকে বলে এ রকম অবস্থা তবে বাইরে থেকে বুঝার উপায় নাই। একদিন ওদের বাসায় গেছি হোপ বলল ভাইয়া আমি তো লন্ডনে একটা স্কলারশীপ পেয়েছি, ওখানে একটা নামি দামি কলেজে পড়ার সুযোগ। আমি তো শুনে অবাক, আরে এই মেয়ে বলে কি, একাই সব কিছু করে ফেলল। তার পরের ঘটনাতো একটা ইতিহাসই, ও লন্ডন চলে গেল আমরা এখানেই পড়ে রইলাম কিছুদিন পর শুনলাম আংকেল আন্টিও নাকি লন্ডন চলে গেছে। এমেয়ে ভবিষ্যতে না জানি আর কি কি করবে আমরা শোনার অপেক্ষায় রইলাম। তো আপনার ভাই কি মনে করেন অসাধারণ একটা মেয়ে না ভাই প্রশংসা করে কি আর শেষ করা যাবে.......................
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



