এইটাই কি শেখ মুজিবের আদর্শ (মুজিববাদ)? তাইলে তো এই আদর্শকে মেনে নেয়াই যায় !
"শাবিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের দম্ভোক্তি : ছাত্রলীগ করি তাই ফ্রি থাকব ও খাব
শাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ করি তাই ফ্রি থাকব ও খাব, হলে ভর্তি হয়ে টাকা দেব কেন—এসব কথা অনেকটা সদম্ভে বলে বেড়ান হলে বসবাসরত ছাত্রলীগের বেশিরভাগ গ্রুপের কর্মীরা।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আবাসিক হলগুলোতে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বসবাস করে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অঙ্গসংগঠন হওয়ায় হলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরিসহ গভীর রাত পর্যন্ত রুমে উচ্চ শব্দে গান শোনা, জোরে অযথা চিত্কার চেঁচামেচি করা, ডাইনিংয়ে ফাও খাওয়ার প্রবণতা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
পাশাপাশি হলের সিট নিয়ে বাণিজ্য ও জোরপূর্বক হল থেকে বের করে দেয়া এবং ডাইনিংয়ে বহিরাগতদের এনে বিনা পয়সায় মেহমানদারি করা তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী।
হলে ভর্তি না হওয়াসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ থাকলেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় হল প্রশাসনও অনেকটা নির্বিকার হয়ে পড়েছে। এদিকে পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে হলের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রয়েছে ৮টি গ্রুপ। শাহ পরান ও ২য় ছাত্র আবাসিক হলে ছাত্রলীগের গ্রুপগুলোর রয়েছে নিজেদের একাধিক রুম। কেবল ছাত্রলীগ করার শর্তেই হলে সিট দেয়া হয়। তারপর শর্তসাপেক্ষে হলে উঠলেও স্বার্থের বিপরীতে গেলেই হল থেকে বের করে দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা বিভাগের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের এক ছাত্র অভিযোগ প্রকাশ করে বলেন, শাবিতে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রলীগের এক গ্রুপের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা আমাকে বিভিন্ন সুবিধার কথা বলে হলে তোলে। এক পর্যায়ে হলে আসার পর আমার বন্ধুমহল অন্য গ্রুপের হওয়ায় তাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে নিষেধ করে। কিন্তু পড়াশুনার ব্যাপারে আমার প্রয়োজন পড়লে মাঝে মাঝে ক্লাসমেটদের কাছে যেতে হয়। বিষয়টি তাদের চোখে ভালো না লাগায় তারা আমাকে হল থেকে জোর করে বের করে দেয়।
শুধু তাই নয়, হলে নতুন নতুন ছাত্র আসে আবার কিছুদিন পর নীরবে বেডশিট নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, হলে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কেউ কেউ বহিরাগতদের নিয়ে রুম দখল করে আছে। শাহ পরান হলের বি-ব্লকের এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, তিনি তার কয়েকজন আত্মীয়কে অনেক দিন ধরে ডাইনিংয়ে ফাও খাওয়ানোর মাধ্যমে মেহমানদারি করছে।
জানা যায়, সমপ্রতি শাহ পরান হলে নতুন ও পুনঃভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় । ভর্তি হতে দুই দিন বিলম্ব হওয়ায় ২০০ টাকাসহ ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে বলে হল প্রশাসন। আবাসিক ছাত্ররা অভিযোগের সঙ্গে বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি, হল ভর্তি ফি ও নতুন সেমিস্টারের বই কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও হল ভর্তি ফি দিতে একটু দেরি হওয়ায় বিলম্ব ফি দেয়ায় আরো সমস্যাগ্রস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিক দিয়ে আমরা যারা বৈধ আবাসিক ছাত্র তারা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, দিনের পর দিন ছাত্রলীগ কর্মীরা হলে অবৈধ থাকা, ফাও খাওয়াসহ বিভিন্ন বিশৃংখলা তৈরি করে যাচ্ছে। অথচ তাদের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় অভিযোগ গেলেও হল প্রশাসন উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শাহ পরান হলের প্রভোস্ট সৈয়দ হাসানুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।সূত্র:আমার দেশ"
শুধু এইটাই একমাত্র অপকর্ম নয়, প্রতিদিনই ঘটছে এইধরণের কার্যকলাপ। নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা, মগবাজারে ছাত্রলীগ কর্তৃক যুবলীগ কর্মী হত্যা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দখলের রাজনীতি, আমাদের ভাবিয়ে তোলে।
অথচ সেদিকে সরকারের কোন ভ্রক্ষেপই নেই। সরকার আছে যুদ্ধাপরাধীর বিচার আর বিএনপি কে দমিয়ে রাখার পায়তাড়ায়।
এখানে নেই মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা, নেই মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন। এহেনকালের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় এই আ:লীগ সরকারের আমলে হচ্ছে।
আমরা কোন কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




