"নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ায় সেনা আবাসন প্রকল্পের (আর্মি হাউজিং স্কিম) জমি কেনা নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে র্যাব-পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সেনাসদস্য, পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। এ সময় সেনাক্যাম্প থেকে গুলি করা হয় বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী স্থানীয় তিনটি সেনাক্যাম্পে হামলা ও লুটপাট চালায়। তারা একটি ক্যাম্প ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। সুত্র:প্রথম আলো"
সংঘর্ষের কারণ:
১. সেনা আবাসন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ৬ হাজার বিঘা জমি। এতে ঘরবাড়ি হারাবে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ।
২. জমি বাজার দরের চার ভাগের একভাগ দামে বিক্রয়ের জন্য চাপ।(বাজার দর প্রতি বিঘা ৩০-৭০ লক্ষ টাকা আর গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রতি বিঘা ১৪-১৫ লক্ষ টাকা দরে কেনার জন্য চাপ)
৩. জমি কম দামে বিক্রয় করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী দালাল কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি জায়েদ আলী ও সহযোগী তারেক গ্রামবাসীকে চাপ দেয়।
৪. উৎখাত করা গ্রামবাসীর আবাসনের কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই।
হতে পারত সমাধান:
১. সেনা আবাসন প্রকল্প বিশাল ফাকা মাঠে করা যেতে পারত। যাতে গ্রাম উৎখাত করা লাগলেও কম লাগত।
২. সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। এই ব্যাপারে তাদের কোন মাথাব্যথা আছে বলে কর্মকান্ডে প্রকাশ পাচ্ছে না। অথবা উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা গ্রামবাসীর সাথে বসে বিষয়টি সমঝোতা করার সুযোগ ছিল, এখনো আছে।
৩. গ্রামবাসীকে জমির বাজার মূল্য দেয়া উচিত। এবং তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করাও জরুরী, তাদের ঘড়বাড়ি সরানোর জন্য যে টাকা খরচ হয় তা সরকারেরই বহন করা যৌক্তিক। কারন সরকারের প্রয়োজনেই তাদের উচ্ছেদ করা হইতেছে।
এই অবস্থা খুব তারাতারি সমাধান না করতে পারলে তা একটি গৃহযুদ্ধের সুচনা করবে, ফলে সরকারের পততই ত্বরান্বিন হবে। আওয়ামীলীগ সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ কারণ এর আগে বি.ডি.আর বিদ্রোহ দেশের অনেক ক্ষতি করেছে(এখনও এর জের টানতে হচ্ছে) আবার এখন আবার আরেকটি সমস্যা দেশের অনেক ক্ষতি করবে। এই সরকার সবকিছু স্থানীয় আমলীগের নেতাদের দ্বারা করে ফলে সমস্যা আরো জটিল হয়(কারন তারাও কিছু ভাগ বসায়)।
সরকারকে একথা ভূলে গেলে চলবে না যে এই সরকার শুধু আমলীগের সরকার না, এই সরকার সারে ১৬ কোটি মানুষের সরকার। তাই যারা আমলীগ করেনা তাদের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখা চলবে না।
আর এদের আরেকটি সমস্যা হল এরা কোন সমস্যা সমাধান না করে তা বিরোধিদলের উপর দোষ চাপানোর জন্য পথ খুজতে থাকে।এই সংকীর্ণতা থেকে তাদের বের হয়ে আসতে হবে।
দেশে পানি নাই বিদ্যুৎ নাই। মানুষকে দু'বেলা খাবার দিতে পারে না, রাস্তায় চলা যায় না গাড়ী নাই(গাড়ী অনেক কিন্তু পাবলিক বাস নাই), গাড়ী থাকলেও রাস্তায় জ্যাম, রাস্তা থাকলেও তেল নাই গ্যাস নাই। অন্তহীন সমস্যা এই ডিজিটাল বাংলাদেশে। প্রায় দুইবছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য কোন সফলতাই নেই আছে শুধু ব্যর্থতা। তবে বিরোধিদলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর মত অনেক সফলতা আছে সরকারের। যা তাদের এখনো ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




