বকুল আক্তার (১২) নামের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসকিরা গ্রামের দরিদ্র কৃষক মতিউর রহমান দালালের কন্যা বকুল প্রতিবেশী মোঃ খায়রুল আলমের নারায়ণঞ্জের চাষাঢ়া অক্টো অফিসের বাসার কাজ করতো। সেখানে নির্যাতনে গুরুতর আহতাবস্থায় বকুল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার গভীর রাতে প্রাণ হারায়। সোমবার হাসকিরা গ্রামে আড়াই লাখ টাকায় সমঝোতা করে লাশ দাফন করা হয়। বিষয়টি টঙ্গীবাড়ি থানাকে অবগত করা হলেও লাশ দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের এই রহস্যজনক ভূমিকায় এলাকাবাসী বিস্মিত। টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি কাজী দাউদ হোসেন সোমবার রাতে জানান, আমরা বিকালে গিয়ে দেখি লাশ দাফন হয়ে গেছে। তাই আমাদের আর করার কি আছে। পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, তদন্ত সাপেে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া লাশ উত্তোলন করতে হলে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। পরিবারের প থেকে এখনও কোন অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থলে ইউপি মেম্বার নাসিমা বেগম জানান, শিশুটির গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় গৃহকর্তার পরিবারের সদস্য জড়িত রয়েছে। অর্থের জোরে সব ধামাচামা দেয়ার চেষ্টা চলছে। দরিদ্র পরিবারটিকে নানা কৌশলে ম্যানেজ করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু পরিবারটিতে কান্নার রোল থামেনি। আমার বকুলরে জোর কইরা খায়রুলের বাসায় নিয়া যায় আদর কইরা রাহনের কথা কইয়া পরীর মত মাইয়্যাডারে এমন করলো রে বকুলের বাবার এমন কান্না দূর থেকেই শোনা যাচ্ছিল। প্রায় এক বছর ধরে বকুল খায়রুলের বাসায় কাজ করতো। মতিউর রহমান দালাল জানান, বকুলকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মোঃ খায়রুল আলম এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শনিবার ঘটনার দিন তার বাসায় তার পুত্র এসএসসি পরীার্থী আল আভি এবং কাজের মেয়ে বকুল ছিল। বকুল সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। মোঃ খায়রুল আলমের স্থায়ী বাড়ি হাসকিরায় হলেও ব্যবসায়িক কারণে সপরিবারে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




