সড়ক দুর্ঘটনা
আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটা বড় সমস্যা । নিরাপদ সড়ক চাই নামে একটি আন্দলোন গড়ে ওঠেছে বেশ কয়েক বছর ধরে ।আন্দোলন করে মিছিল মিটিং সভা করে ,টকশো করে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবেনা । সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে যা করা দরকার সে দিকে কেউ নজর দিতেছেনা ।প্রথম যা করণিয় তা হলো,সকল চালকদেরকে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নিতে হবে ।এ কাজটি সরকারী বা বেসরকারী ভাবে করা যেতে পারে ।যদি কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল চালকদের প্রতি দুই বা এক বছর অন্তর অন্তর একদিনের একটি প্রশিক্ষন দেয়া যায় তাহলে ছয় মাস থেকে এক বৎসরের মধ্যে ৯০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে ।এবং যানজট নামক রাহুগ্রাশ থেকে ও বেরিয়ে আসা যাবে খুব সহজেই ।দেশের বিভাগিয় শহর গুলোতে একটি করে প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে ।পাশা পাশি সড়ক ব্যবস্থার ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে ।বাংলাদেশ প্রতিদিন গড়ে ২০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাযায়।বছর শেষে নিহতের সংখা দারায় ৭০০০জনের উপরে ।এবং পঙ্গুত্ত বরন করে এর কয়েক গুণ বেশী ।যে লোকটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হল,আর সে যদি তার পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম ব্যক্তি হন তা হলে তার পরিবারের অবস্থা কি রুপ তা আমরা অনেকেই অনুমান করতে পারিনা।আর যদি লোকটি পঙ্গুত্ত বরন করে তাহলে পুরো পরিবারটির অবস্থা আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠে।এই সড়ক দুর্ঘটনার কারণে দেশে কি পরিমান অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় তা গবেষণার বিষয় ।তাই এখনই যদি বাস্তবিক পদক্ষেপ না নেয়া যায় তাহলে অদুর ভবিৎতে বিশাল জনগোষ্ঠির বিরাট একঠি অংশ পঙ্গুত্ত বরন করবে, আর এ পঙ্ঙ্গু জনগোষ্ঠি একদিন বিরাট বোঝা হয়ে দাড়াবে দেশ ও জাতীর জন্য।দীর্ঘ সময় এ বোঝা বইতে গিয়ে জাতীয় অর্থনিতিই পঙ্গুত্ত বরন করবে,তখন আর কিছুই করার থাকবেনা ।তাই এখনই সময় দেশ জাতী ও অর্থনিতিকে পঙ্গুত্তের হাত থেকে রক্ষা করতে একটি সুষ্ঠ সুন্দর পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়ার ।তার জন্য এমন একিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যে প্রতিষ্ঠাটির কাজ হবে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে চালকেদর প্রশিক্ষন দিয়ে যাওয়া। এখন আসুন কী ভাবে,কিসের উপর প্রশিক্ষন দেয়া হবে । তার আগে চালকদের জন্য একটি সিলেবাস তৈরি করতে হবে ।যে সিলেবাসটি প্রশিক্ষক শ্রেণীকক্ষে চালকদের সামনে উপস্থাপন করবেন ।সিলেবসের মধ্যে বিষয়াদি ১,ট্রফিক আইন সম্পরকিয় আলোচনা ।২,সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা সমূহের আলোচনা ও ভিবিন্ন তথ্যাদি উপস্থাপন,এবং দুর্ঘটনার ভিডিও চিত্র উপস্থাপন, একটি দুর্ঘটনা দেশের জন্য জাতীর জন্য সমাজের জন্য ও ব্যক্তির কি কুফল বয়ে আনে দেশের অর্থনিতীর কি পরিমান ক্ষতি হয় তার বিষদ বিবরন উপস্থাপন ।সর্বপরি দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিষদ আলোচনা ও ভিডিও চিত্র উপস্থাপন, করা এবং সর্ব শেষে চালকদের একটি পরীক্ষা নেয়া । এই সব বিষয়ে চালকদের সাথে আলোচনা ও দিক নির্দেষনা দিলে চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৄষ্টি হবে ।তারা বুঝতে পারবে কি ভাবে নিজেকে ও মানুষকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা যায় ।এমনি করে একটা সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যাবে ।শুধু জেল জরিমানা করে দুর্ঘটনা কমানো যাবেনা । যারা পরীক্ষায় পাস করবে তাদের একটি আইডেন্টি কার্ড প্রধান করা । যার মধ্যে থাকবে চালকের ছবি,ড্রাইভিং লাইছেন্ছ নং, কার্ডের মেয়াদ হতে পারে এক বা দুই বৎসরের ।তবে তা হতে হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর । চালকেরা নির্দিষ্ট ফির মাদ্দমে এই প্রশিক্ষন অংশ গ্রহন করবেন ।তার আগে আইন করে তা বাদ্দতামুলক কারতে হবে । মোট কথা চালদের মোটিভবেশন করতে হবে ।চালকদের মোটিবেশন ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে যানঝট ও দুর্ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় ।আর এ কাজটি সুষ্ঠ ভাবে করতে হলে বাংলাদেশের সকল চালকদের একটি সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসতে হবে । বিস্তারিতঃ [email protected]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




