ঠাকুরগাঁওগামী কেয়া পরিবহনের যাত্রী ভারতের ব্যাঙ্গালোর প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মাসুম শনিবার সকাল ১০টায় ফোনে বাংলানিউজকে এভাবেই হতাশা, ক্ষোভ ও দুর্ভোগের কথা জানান।
ব্যাঙ্গালোর থেকে ২ বছর পর ঈদ করার জন্য দেশে এসেছেন এই বাংলাদেশি। আর দেশে প্রবেশের পর বাড়ির পথে পদে পদে ভোগান্তি তাকে হতাশ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাস ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিলো শুক্রবার বিকেল ৩টায়, ছেড়েছে রাত ১১টায়, এখনও আমি বগুড়া পৌঁছাতে পারিনি। যেতে হবে ঠাকুরগাঁও। কখন পৌঁছাবো এখন এক ওপরওয়ালা ছাড়া আর কেউ জানে না।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্গালোর থেকে মাদ্রাজ হয়ে কলকাতা ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ। ট্রেনে এসেছি মাত্র ৩৮ ঘণ্টায়। মাঝে যাত্রা বিরতিও ছিল। যথা সময়ে ট্রেন ছেড়েছে, অন্যান্য বিষয়েও ছিলো শৃঙ্খলা।
অন্যদিকে বাংলাদেশে কি বেহাল অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঝ রাতে আমাদের বাসটি সম্ভবত চন্দ্রায় ছিলো। তখন আমি দেখলাম, উভয় দিকের রাস্তায় বাস ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। কোন নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। টাঙ্গাইলেও একই অবস্থা। সেখানে গরু বোঝাই ট্রাকগুলো একটা আরেকটাকে ওভার টেক করতে গিয়ে জ্যাম লাগিয়ে দিচ্ছে।’
তার মতে মানুষের কর্মঘণ্টার পাশাপাশি লাখ লাখ বাস ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি পোড়াচ্ছে, তাকেই বা কিভাবে ছোট করে দেখবেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপেক্ষার প্রহর এমনিতেই দীর্ঘ মনে হয়। তার পরে অনেক দিন পর বাড়ি যাচ্ছি। বাড়ির লোকজন অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করছে। আমার আনন্দ নিরানন্দে রূপ নিয়েছে। অবস্থা এমন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।’
শুধু প্রবাসী মাসুম নয়, এ রকম হাজারো যাত্রী কেউ বাসের জন্য কেউ জ্যামে, কেউ টিকিট না পেয়ে চরম উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে।
ঈদ ছুটির প্রথম প্রহর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বাস যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
যাত্রীদের প্রশ্ন, গত ঈদে যদি রাস্তায় যানজট এড়ানো সম্ভব হয়ে থাকে, তাহলে এবার কেন ব্যর্থ হচ্ছে বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
সুত্র-বাংলানিউজ২৪.কম

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



