somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঔপনিবেশিক ডিসকোর্স-বিরোধী তৎপরতা 'রিভাইভেলিজম' নয়

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশকে মোটামুটিভাবে জাতিরাষ্ট্রই বলা হয়। এই জাতিরাষ্ট্রের প্রচলিত কাঠামোয় প্রান্তিকায়িত কিছু অপরাপর প্রতীক ও সক্রিয় মানুষের তৎপরতা আছে। এই সক্রিয়তা আবার কিছুটা অপরিচিত--অপরিচিত শুধু কেন্দ্রীয় সমাজের কাছেই নয়, প্রান্তিক সেই সব সমাজের নিজেদের কাছেও। সেরকম কিছু প্রতীকের ধারক এবং জীবন যাপনে অপর এক জনগোষ্ঠীর নাম মনিপুরি। এদের আবার বিভিন্ন বর্গ। অপরতার অভিজ্ঞতা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে অনেকাংশই কমিয়ে দেয়। সাথে যৌথ সমাজের স্মৃতি, ভাষা ও নিম্নবর্গ সমাজের ধ্যান-ধারণাগুলো ‘আধুনিকতা’র সাথে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের ফলে ওদেরকে আলাদাভাবে চিনে নেওয়া যায়।

‘মণিপুরি’ শব্দের সাথে মেইতেই, বিষ্ণুপ্রিয়া ও পাঙন শব্দগুলো জুড়ে দেওয়া বা আত্মপরিচিতিকে প্রমিতকরণের প্রতিযোগিতা বেশি দিনের নয়। বিশেষ করে, এদেশের যে অঞ্চলগুলোতে এখনো ওদের কলরোল শোনা যায় সেখানে মূলতঃ 'খায় বাঙ্গাল' ও 'ক্ষত্রিয় মণিপুরি' শব্দ দুটো প্রচলিত। আবার 'খায় মণিপুরি', 'লেমনায়', পাঙাল, 'মেইতেই-পাঙাল' শব্দগুলোও সক্রিয়। এখানে 'খায়' শব্দটিকে সা¤প্রদায়িক বিশেষণ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেননা, যারা সেসব শব্দ প্রকাশ্যে ও স্বতস্ফূর্তভাবে এখনো ব্যবহার করে তারা ‘আধুনিক’ সা¤প্রদায়িকতার মহত্ত্ব বুঝে না। 'ক্ষত্রিয় মণিপুরি' শব্দটি দিয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া ও মেইতেই ভাষাভাষি বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের বুঝানো হয়। আর 'খায় বাঙ্গাল' বলতে বুঝানো হয় পাঙনদেরকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিষ্ণুপ্রিয়ারা মেইতেইদেরকে বলে 'খায় মণিপুরি', মেইতেই ও পাঙলরা বিষ্ণুপ্রিয়াদের বলে লেমনায়/নিংথৌনায়; মানে, রাজা বা রাণীর ভৃত্য! রাষ্ট্রীয় মতার কেন্দ্রগুলোর সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগে সেসব উঠতি 'আধুনিক' বিদ্বৎসমাজ শব্দটাকে প্রমিতকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যেমন, আমরা দেখতে পাই 'বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি', 'মেইতেই মণিপুরি', 'পাঙল মণিপুরি' শব্দগুলোর উপর্যুপরি ব্যবহার ও প্রাণারোপনের প্রচেষ্টা। তবে এই তিনটি উপগোষ্ঠীকে এদেশে একত্রে ‘মণিপুরি’ বলার চল আছে। এর কারণ ঐতিহাসিক।

'মণিপুরি' শব্দটি 'মণিপুর' থেকে উৎসারিত। সামগ্রিকভাবে সিল্করূট, পোলো খেলা, সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা ও রাজনৈতিক দ্রোহ-- এসবই মূলত মনিপুরকে, তাদের সমাজ-সংস্কৃতিকে সংলগ্ন করে ফেলে প্রচলিত সাংস্কতিক ঐতিহাসিক বিশ্বরুটের সাথে। অথচ খোদ ‘মণিপুর’ শব্দটি তাদের কোনো প্রাগঔপনিবেশিক দলিলাদি ও সাহিত্যে ব্যবহৃত হত না। মহাভারত নামক মহাআখ্যানের কারণে ‘মণিপুর’ বললেই মনে পড়ে মণিময় প্রকৃতিশোভিত ও নারীশাসিত সমাজের জৌলুস! এটা পরিষ্কার যে, সে অঞ্চলের মাটিলগ্ন প্রকৃতি, মানুষ ও তাদের কর্ম, শ্রম, চিন্তা, সমাজ, বিশ্বাস, আচার, কৃত্য, টোটেম, ট্যাবু ও ইতিহাসÑ সবকিছুকে উদ্ভাবন করার প্রয়াস চালাচ্ছে এই ‘শব্দব্রহ্ম’টি। এই যে এক জনগোষ্ঠীকে, সমাজকে পরিচিত আখ্যান দিয়ে জেনে নেওয়া অথবা তাকে ভাষিক সীমানার বাহিরে ঠেলে দেওয়া-- এটা একটা প্রাথমিক দিক। তাই ২৫০ বছর আগে বসতি গড়ার সময় ওদের চিনে নেওয়ার জন্যে এ অঞ্চলে 'মণিপুরি' মিথ তৈরিই ছিল। কারণ এরা মূলতঃ সেই রাজ্যের কোনো না কোনো রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে এদেশে বসতি স্থাপন করে।

'মণিপুরি' বা 'মণিপুর' শব্দটির সাথে সেই অঞ্চলকে প্রচলিত ও পরিচিত আখ্যানের আলোর ভেতর দিয়ে দেখার যে ঐতিহাসিক প্রবণতা তা শুরু হয়েছিল রাজপ্রাসাদ দখল করার মধ্য দিয়ে। রাজপ্রাসাদ দখল করে ঔপনিবেশিক মিশন সফল করার সহজ কৌটিল্য-চিন্তার সাথে সেখানকার মাটিলগ্ন ধ্যান ধারণা, লোক সাহিত্য, লোক চিন্তন সর্বোপরি তাদের নিজস্ব জগতের সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে। তাই পাঙল সমাজে তো বটেই মেইতেই সামজে ব্রাহ্মণ-ত্রিয়বাদের দ্রুত মূলোৎপাটনের একটা কারণ প্রথিত আছে তাদের মাটিলগ্ন ঈশ্বর চিন্তায়। মনিপুরে প্রথমে 'রামান্দি ধর্ম' প্রবেশ করে রাজ দরবারে। রাজপরিবার কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনাই ছিল ধর্ম প্রচারকদের সামগ্রিক তৎপরতার মূল নিশানা। রাজপরিবারের পর আখ্যানভূক্তির নিশানার মধ্যে এল অন্য আদিবাসী ও মেইতেইরা। অপরাপর আদিবাসী এবং মেইতেইরাই অঞ্চলটির রাজনৈতিক-সমাজিক-ঐতিহাসিকভাবে সক্রিয় আদিবাসী। আবার এই আদিবাসী সমাজের বেশ কিছু অর্জন ছিল। নিজস্ব চিন্তাপদ্ধতি, রীতি-নীতি দর্শন তো ছিলই। এবং যেহেতু রামান্দি ধর্মান্তর প্রক্রিয়াটাই ওদের কাছে আরোপিত তাই তাদের যা কিছু অর্জন তা দিয়েই তারা দ্রোহী হয়ে ওঠে। এ তৎপরতার পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছিল মহারাজ গরীব নেওয়াজের (পামহেইবা) সময়।

সামগ্রিক মনিপুরি ইতিহাসের প্রধান অংশ জুড়ে জারি আছে মেইতেই বা পাঙন ভাষাভাষীদের কৃতি-কর্ম। কারণ, সে অঞ্চলে মূলতঃ ইম্ফলকে কেন্দ্র করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠে বা যে স্বরাজ্য ছিল তার সামগ্রিক কাঠামোতে এ ভাষাই ব্যবহৃত হয়েছে। উদাহরণ সরূপ, সমগ্র প্রাগঔপনিবেশিক দলিলাদি নিজস্ব অরে লিখিত। গরীবনেওয়াজের সময় সেই সব প্রাকঔপনিবেশিক দলিলাদি ভষ্মিভুত করার মহান ঊৎসব পালিত হলেও ভিন্ন গোত্র, গোষ্ঠীগত স্বায়িত্বশাসন, কেন্দ্রের সাথে ওদের দ্বান্দ্বিক অবস্থান সাথে কালজয়ী চিন্তক ও জনসাধারণের প্রায়োগিক অথচ নীরব তৎপরতায় সেগুলোর অনেকটাই রয়ে যায়। যা এখন প্রকাশ হয়ে চলছে ক্রমশ। সাধারণ মেইতেইদের আরাধ্য দেবতা হচ্ছে শানাম্যহি। ওদের ধর্মের নামও তাই শানাম্যহি। অথচ রাজপ্রাসাদের আরাধ্য দেবতা হচ্ছে পাখ্যংবা। মনিপুরি লিখিত পুরাণ-কাহিনী জুড়ে তাই পাখ্যংবার জয়গান। অথচ প্রতিটি ঘরে সাধারণ মেইতেই এখনো শানাম্যহি আরাধনা করে। এইই হচ্ছে সেই দ্রোহের মূল কারণ-- ভ্রƒণ, যার কথা একটু আগে উল্লেখ করেছি। একই ভাষাভাষির ভেতর ধর্মীয় ভাবনায়, তাদের চিন্তা চেতনায় পারস্পরিক দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব আবহমান কাল ধরে ছিল, আছে। এ কারণে প্রাকঔপনিবেশিক নিজস্ব কীর্তি, অর্জনকে খোঁজে ফেরা বা সংরণের প্রত্যয় ও তার জন্যে যুগপৎ তৎপরতা... বিশেষ করে এই নিম্নবর্গীয় সমাজের প্রেেিত সেটা আর যাই হোক অন্ততঃ ‘রিভাইভেলিজম’ নয়।

নিজস্ব সংস্কৃতিকে সংরণের জন্যে লোকসমাজের ক্রম ধাবমান আন্দোলন দৈবাৎক্রমে হঠাৎ জ্বলে ওঠা কোনো বিষয় না। হলেও তা পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন হবে। পামহেইবা রাজার সময় মহাত্মা (মাইচৌ পুরেল) খোংনাংথাবার বিখ্যাত প্রতীকি উক্তি স্মর্তব্য। উনি বলছেনÑ যে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে তাকে তো নেভানো যায়। কিন্তু জনসাধারণের মনে যে অদৃশ্য আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তাকে কোন শক্তি দিয়ে নেভাবে? শান্তিদাস গোস্বামীর বশংবদ পামহেইবা রাজাকে কথাগুলো শোনান তিনি। একদিকে অর্থনৈতিকভাবে শোষন, মতা জঘন্য প্রয়োগ ও পররাজ্যনীতিতে দখলদার নীতি গহণের কারণে লোকসাধারণের মনে সত্যি সত্যি তখন আগুনের কুণ্ডলী পাকাচ্ছিল। পামহেইবা ও শান্তিদাস গোস্বামীকে হত্যার ঘটনা সেই আগুনের সহিংস প্রকাশ। এই হত্যার বিচার বা প্রতিশোধের কথাতো দূরের কথা, উনাদের কীর্তি নিয়ে কোনো নান্দনিক সাহিত্যও রচিত হয় নি! এই ঘটনার পরবর্তী পর্যায়ে বৈষ্ণববাদ এই দুই বর্গের তুমুল দ্বন্দ্বকে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসে। সহনীয়, কারণ এ ধর্মীয় মূলভাব ও কৃত্যের সাথে সেই মাটিলগ্ন সামগ্রিক চিন্তার তেমন পার্থক্য নেই। এবং অবশ্যই সহাবস্থান চলে। কিন্তু পরবর্তীকালে নব্য বৈষ্ণবাদের প্রভাব, উঠতি ব্রাহ্মণশ্রেণী ও আচারসর্বস্ব কাঠামোর কারণে এ সমাজে বৈষ্ণব দর্শন চর্চা য়িষ্ণু হয়ে পড়ে। সে অঞ্চলের প্রান্তে যাদের জীবন যাপন তাদেরকে ‘বৈষ্ণব’ ধর্মের নামে অর্থনৈতিকভাবে কি পরিমাণ শোষণ-নির্যাতন করতো তার অনুপুঙ্খ দলিলের কিছু অংশ আমরা পেয়েছি।

এসব তো ঘটেছে মূলত সমাজ শাসিত ভারতবর্ষ যুগে। তার সাথে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এমনকি ১৮৯১ সালের এংলো-মনিপুরি যুদ্ধ, ভানুবিলের কৃষক আন্দোলন বা ইম্ফালে নারীবিদ্রোহের ঘটনার সময় পর্যন্ত স্থান-বর্গ নির্বিশেষে তাদের নিজস্ব একটা সামগ্রিক সাহিত্য-সংস্কৃতি-ধর্মীয় ও চিন্তার জগৎ ছিল। এসব কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয়-পূর্ববর্তী সময়েই ‘মণিপুরি’ শব্দ দিয়ে এ জনগোষ্ঠীকে চিনে নেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন এক জাতিরাষ্ট্রের অভ্যূদয় হলেও আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের ধর্মের কারণেই অপরায়নের কথা আসে। এখানে প্রান্তিকায়নের নানা ত্রে সক্রিয়। পাঙল ও বিষ্ণুপ্রিয়াদের চেহারার কারণে তাদেরকে এদেশের মূল সমাজ থেকে সহজে আলাদা করা যায় না। মেইতেইদের কয়েকটা গোষ্ঠী ছাড়া মোটামুটি সবাইকে আলাদা করা যাবে। বিষ্ণুপ্রিয়ারা বাঙালি হিন্দুদের সাথে সহজেই ধর্মীয় ও চেহারাগত মিলের কারণে যুক্ত হতে পারে। কিন্তু মেইতেইরা বর্ণ, উচ্চারণভঙ্গি, জটিল ধর্ম-কর্ম-কৃত্যের অবগুন্ঠনে আলাদা হয়। এই সূত্র ধরে অনেক পন্ডিত আবার ‘এথনিক মণিপুরি’ শব্দবন্ধটি দিয়ে শুধু একটি অংশকে ‘মূল মণিপুরি’ হিসেবে প্রচার করে। কিন্তু কি ভানুবিল কৃষক আন্দোলনে, কি মুক্তিযুদ্ধে ও বিভিন্ন সংগ্রামে এরা পরস্পর সহগামীই হয়েছে। সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছে এদেশের স্থানিক ও নিম্নবর্গ, জাতীয় চিন্তক ও প্রগতিশীলদের। তাই বি-উপনিবেশায়ন প্রক্রিয়ায় যদিও প্রাগউপনিবেশিক অর্জনগুলোই প্রধান অস্ত্র, তদুপরি উপনিবেশিক অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক।

মতাবলয়ের সাথে সংলগ্ন হওয়ার ফলে নিম্নবর্গীয় মনিপুরিদের ভাষা আজকাল অনূদিত হচ্ছে কিছু কিছু। জারি থাকা কাঠামোর ছিদ্র ও অলিগলি দিয়ে এবং যুপপৎ সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে ওদের জীবন যাপন, চর্চা ও চর্যা। আমরা দেখবো ‘মণিপুরি’ শব্দটির পাশাপাশি বিষ্ণুপ্রিয়া, মেইতেই/মীতেই ও পাঙন শব্দগুলো আমাদের মতায়িত শব্দভান্ডারে ঢুকে যাচ্ছে যদি এ সমাজ টিকে থাকে। এ রাষ্ট্রের শক্তি সঞ্চয় আরো পোক্ত হলে ‘মণিপুরি’ শব্দটির আবার কী মানে? দূর্বল রাষ্ট্রব্যবস্থায় মতা ও অথনৈতিক সুষমবন্টনের অভাব এবং অপরায়নের চলতি প্রকৌশলের প্রতিক্রিয়াই হয়তো শব্দটির নব্য প্রাণভ্রমরা। অথচ আমরা চাই দূর্বল রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়, মূলতঃ অংশীদারমূলক জাতিরাষ্ট্রের মধ্যেই ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা মনিপুরি শব্দটিও সজাগ থাকুক। বাংলাদেশ যেনো বিষ্ণুপ্রিয়া, মীতেই, পাঙন শব্দগুলোকেও আপন করে নেয়।

এখানে যে ঐতিহাসিক ঘটনা ও কিছু পাল্টা জ্ঞানভাষ্য ব্যবহৃত হল তার হদিস মিলে লিখিত কিতাবের প্রান্তিকায়িত স্পেসে। আর এদেশে এখনো সেগুলো তাদের লোকসংস্কৃতি, গল্প, গান, টোটেম-ট্যাবু ও কুসংস্কারে সক্রিয়। দেখি, তাদের সামগ্রিক লৌকিক ধর্ম চর্চায় এদেশের লোকায়ত সহজীয়া ও দেহতাত্ত্বিক প্রায়োগিক দর্শনের মিল। কথা হচ্ছে, এ নিম্ন মধ্যবিত্ত শাসিত এ সামজে যেভাবে অবিশ্বাস, হীনমন্যতা ও ঔপনিবেশিক জ্ঞানভাষ্য জারি থাকছে সেখানে এ লোকভাষ্য ভাষান্তর করার সাহস ও কর্মতৎপরতা কই? কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এ ভাষান্তরও এক ধরনের উদ্ভাবন, প্রকৃত ভাষাকে আধিপত্যবাদী প্রকরণ বা ভাষিক সীমানায় সাপ্লিমেন্ট বা জুড়ে দেওয়ার প্রকল্পই বটে। আর এরকম প্রকল্পে লোকসমাজের কী বা এসে যায়? কর্মতৎপর সাধারণের ওপর উদ্ভাবিত ‘মণিপুরি’ ডিসর্কোস আরোপ করার ঔপনিবেশিক প্রকল্পের বিরোদ্ধে বরং রুখে দাড়ানো জরুরি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৭
১১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×