"প্রথম পর্ব: প্রাককথন"
প্রাচীন মিশরীয়রা একক মহেশ্বরে (Great God) বিশ্বাস করতো। যে স্বয়ম্ভু, চিরন্তন, সর্বক্ষমতার অধিকারী এবং অন্য সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেবতার সৃষ্টিকর্তা। চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজি এবং স্বর্গ, মর্ত্য পৃথিবীর সমস্তই তার সৃষ্টি।এমনকি মানুষ, পশু-পাখী, মাছ, কীট-পতঙ্গ-সরীসৃপ ইত্যাদি।
মিশরীয়রা বিশ্বাস করতো - মহেশ্বর সর্বস্থানে, সর্বভুতে বিরাজমান, এবং তিনি তাঁর সৃষ্টির মাঝেই অবস্থান করেন। এই মহেশ্বরের কোন আকার নেই নেই কোন কাঠামো। কোন বস্তু তার আকৃতি ও প্রকৃতি থেকে উদ্ভুত হয়নি। তিনি মানুষের ধারণার বাইরে এবং তার গুনাবলী মানুষের ধারণাতীত।
মিশরীয়রা বলতো - ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং তিনি ছাড়া আর কেউই উপাস্য নেই। ছোট ছোট দেবতারা তারই তৈরী এবং তারা কেবল মহেশ্বরের বিভিন্ন গুনাবলীরই প্রতীক মাত্র। মহেশ্বরের আদেশ ছাড়া এই দেবতা আর দেবদুতেরা ছিলো অচল।
(তথ্য সুত্র- The writings of Ashmawy university press of Florida-USA-1998)
পরবর্তীতে মহেশ্বরের গুণাবলীর প্রতীক দেবতাদের পুজার মাধ্যমে বহুদেবতাবাদ বা পলিথেইজম (Polytheism) বিকাশ লাভ করে।
প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম বিশ্বাসের সাথে সেমিটিক ধর্মগুলির এবং সনাতন/হিন্দু ধর্মের প্রবল মিল দেখা যায়। এখান থেকে বুঝা যায় যে সেমেটিক বেল্টে যতগুলো ধমের্র উদ্ভব ঘটেছে, সবগুলোর পিতৃধর্ম হলো প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম। আর ইতিহাসবিদদের মতে সনাতন/হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আদি পিতারা সেমিটিক এলাকা (আদি পারস্য) থেকেই বর্তমান ভারতে আসেন।
প্রচীন হিন্দু ধর্মে আছে ”একমেবাদ্বতিীয়ম। নেহ না নাস্তি কিঞ্চন। নারং কুতশ্চিন বভুকশ্চিৎ” অর্থাৎ - তিনি (ঈশ্বর) একক ও অদ্বিতীয়। তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনি জাতও নহেন এবং তার কোন জাতকও নেই।
এস¤পর্কে কোরাণে বা বাইবেলে কি বলে আছে তা কি উদ্ধৃত করার দরকার আদৌ আছে ?
ক্রমশ...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪৮