আমি কে এম মন্জুর হোসেন খান, সহকারী শিক্ষক, পূর্ব শিয়ালবুক্কা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউখালী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। সেই সাথে আমার বর্তমান আরেকটি পরিচয় আমি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কাউখালী উপজেলা শাখার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। আর এই বর্তমান পরিচয় টাই আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে।
আমাদের উপজেলায় নির্বাচনটা হয় গত বছরের ১ এপ্রিল। যেখানে আমি পেয়েছিলা ১৩২ ভোট আর আমার ২জন প্রতিদ্বন্দীর মোট ভোট ১৩৩। তবে আমি মনে করি আমাকা সবাইই ভোট দিয়েছেন। হ্যাঁ আমাকে আমার উপজেলার সকলেই ভালোবাসেন, সত্যি বলতে কি আমার সততা নিয়ে কারো মনে কোন প্রশ্ন নেই(সরি নিজের প্রশংসা নিজে করলাম বলে)।
অনেক আশা নিয়ে, সবার ভালোবাসা নিয়েই জড়িয়ে পড়ি এ সমিতি, যারা প্রাথমি শিক্ষক আছে, আপনারা বুঝবেন এ সেক্টরে কত দূর্নীতি। খুব খারাপ লাগতো অফিসের বা সমিতির দূর্নীতির কথা শুনে। বিশেষ করে যখন অসহায় শিক্ষকগনের দৌড়াদৌড়ি/হয়রানি দেখতাম। যাক আজ আমিও সমিতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি।
কিন্তু হায়, প্রায় এক বছর হতে চললো, আর আমি পুরোপুরি কোনঠাসা।
পুরো উপজেলা আজ ৩ভাগ। এক ভাগ ধান্দাবাজ যাদের সাথে আছে শিক্ষা অফিস, এক ভাগ সেই হয়রানির শিকার আর একভাগে আমি। আর সমিতির ৫১ জন সদস্য ৩ভাগ, এক ভাগ অফিসের সাথে সুবিধা ভোগী ধান্দাবাজ, একভাগে আছেন নিরিহ গোবেচারা টাইপের আর এক ভাগে আমি একা।
আমি মনে প্রাণে চাচ্ছি এই নিরিহ গোবেচারা টাইপের শিক্ষকগনের জন্য কিছু করতে, যেকাজ করার জন্য অফিস সহকারী নিয়োগ দিল সরকার, যাদেরকে মাসে মাসে বেতন দিচ্ছে সরকার তাদেরকে কেন আবার ঘুষ দিতে হবে? আবার শিক্ষকদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার জন্য যে সমিতি, সে সমিতি কেন হবে অফিসের দালাল?
হ্যাঁ আমি আজ খুব খারাপ, তাদের কাছে অযোগ্য কারন এই কথা গুলি তাদেরকে সরাসরি বলেছি, বলছি।
দুঃখ এখানেই, যে আমি আমার পাশে কাউকেই পাচ্ছি না।
মাঝে মধ্যে ভাবি ইশ যদি এমন একটা ক্ষমতা পেতাম যাতে ইচ্ছে হলেই আমি অদৃশ্য হতে পারতাম, তবে অন্তত আমার উপজেলার এই মানুষ গুলোকে ঠিক করতাম। অথবা যদি এমন কাউকে পেতাম যার হাতে ক্ষমতা আছে, তাকে বলতাম আমার উপজেলার সব সমস্যা। বলতাম কিভাবে এই নিরিহ শিক্ষক গুলি প্রতি নিয়তই এ রকম বিভিন্ন অনিয়মের ভুক্তভোগী।
আছেন কেউ, যে আমাকে সাহায্য করতে পারেন। যে এসব লোককে প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নিতে। যে লোকদেখানো স্বাক্ষী প্রমাণের ধার ধারবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮