বর্তমানে সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ থাকলেও সরকার সব ধরনের চালই রপ্তানির চিন্তা করছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার চালের যে উত্পাদান হয়েছে আগামীতে আরও বেশি হতে পারে। বর্তমানে চালের উত্পাদন খরচ ২৬.৫০ টাকার মতো আর বাজারমূল্য ২৫ টাকা। এ কারণে ওএমএসের যে চাল বাজারে বিক্রি করা হয়, সেগুলো মানুষ কিনছে না। সার্বিক বিবেচনায় সরকার চাল রপ্তানির চিন্তা করছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।
অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারের নিজের মজুদ এখন ১৩ লাখ মেট্রিক টন। বোরো কেনা হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের মতো। আরও কেনার সুযোগ আছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময় বেঁধে দেওয়া আছে। তবে সময় বেঁধে না দিয়ে এটা সব সময় করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর চালের উত্পাদন বাড়ছে। আমরা এখন খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল।’
চাল রপ্তানির এই সিদ্ধান্তে বাজারে চালের দাম বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চালের দাম যেকোনো দেশের চেয়ে কম। এমনকি মিয়ানমারের চেয়েও কম। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের চালের বাজার প্রতিযোগিতামূলক নয়।
চালের দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে—এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের আয় বাড়ছে। মূল্যস্ফীতির কথা আপনারাই বলেন। আমি তো গ্রামে যাই, কেউ মূল্যস্ফীতির কথা বলে না। ঢাকা ও বড় বড় শহরেই এগুলো বলা হয়।’
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




