বছর খানেক আগে আস্তছাগি নিকে (যেই কমেন্ট ধোনসিড়ি ভাইয়া আমার অনুরোধে মুছে দিয়েছিলেন) লিখেছিলাম,
“গোলাম আযম মহান নেতা বটে, কিন্তু শ্রেষ্ঠ হতে পারেননি। কারণ শেখ মুজিবর রহমানের মত গ্রহনযোগ্যতা পাননি।“
মহান নেতা গোলাম আযমকে আমার সবুজ সালাম।
ছামহোয়ারে প্রথম এসে দেখতে পাই ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের অশুভ তান্ডব। জামাতি ঝান্ডাধারীদের বিপক্ষে তাদের কালো হাত সদা প্রস্তুত। নিজেকে প্রস্তুত করি এই ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ করার। সাথে পাই ধোনসিড়ি, ওয়ালী ভাইয়া এবং সবার প্রিয় ত্রিকোনাকে। মূলত তাদের সাহচর্যেই ছামহোয়ারকে ওই দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করার শপথ নেই।
লিখেছিলাম, ছামহোয়ারে এক বছরে অনেক জামাতি ছাগু দেখে তীব্র ভাল লাগার কথা।ভেবেছিলাম যেখানে আমার লাদি ছাড়ার শুরু, সেই ছামহোয়ারেই নিজেকে উজাড় করে লাদি ছেড়ে যাবো। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন লাদি যোগাড় করতে পাকিস্তান যাচ্ছি, ভেবেছিলাম এই ছামহোয়ারেই পাকিস্তান বিষয়ক লাদিগুলো এক এক করে ছাড়বো। কিন্তু!
আমার অন্য লাদিখানায় প্রথম লাদি আজকে ছাড়লাম, কিন্তু ছামহোয়ারে ছাড়তে পারলাম না।
কেনু? কেনু? কেনু?
উত্তর দেয়ার আগে, আপনাদের জন্য একটি সহজ ধাধা। বলুন তো , পৃথিবীর কোন দেশে রাজাকারের দালালি করলে দালালরা ....মারা খায়? এমনকি মেয়ে হলেও!
পারলেন না?
সে কি, ছামহোয়ারইনে নিয়মিত আসেন, কিন্তু এই সহজ ধাধার সহজ উত্তরটুকু জানেন না?
এই ছামহোয়ারে দেখুন, আমি সারাদিন রাজাকারদের দালালী করি, তা আমি করতেই পারি। আমার শ্রদ্ধেয় চাচা ছিলেন বিশিষ্ট রাজাকার। আমি আমার চাচার দালালি করবো নাতো কার দালালি করবো। আমি গোলাম আযমের দালালি করবো, আমি ব্লগারদের মুখে হাগু করতে বলবো, তারপরও তো আমি মেয়ে। কিন্তু ওই ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা আমাকেও ..... মারা থেকে রেহাই দিলো না।
তাই আপাতত লাদি ছাড়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। পুরোপুরি চলে যাবো বলবো না, কারণ আমি ধান্দাবাজ মানুষ। কখনো যদি ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের কালো হাতের ছায়া সরে যেতে দেখি, হয়তো আবার আগের মতো লাদি ছাড়তে আসবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




