প্রথমেই দেখি কি কি অভিযোগ গত মাস তিনেকে তোলা হইছে –
আওয়ামী লীগের হাউ কাউ - সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে টাকা খাইছে – সংসদে দাড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, এবং আওয়ামী লীগের অনেক ছোটখাটো মন্ত্রী এমপি ।
আসল খবর – লন্ডনের ইকোনমিষ্ট পত্রিকা খবর ছাপছে হাম্বারা তাদের সীমান্তের ওই পারের আব্বুদের থেকে বহুত টাকা পাইছে নির্বাচনের সময় । এই গোপন কথা প্রকাশ হওয়াতে হাম্বাদের বিচিনুভুতিতে লাত্থি খাইছে ।
পরের খবর – পররাষ্ট্র মন্ত্রী পাকিস্তানের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রমান নিয়ে আসতে ঠেলা গাড়ি পাঠানোর কথা । কিন্তু পরবর্তী সময়ে হন্ডুরাসে পুঁটিমাছ , পাপুয়া নিউগিনিতে বেতের মোড়া, কিরিবাতি আইল্যান্ডে ডিম সিদ্ধের উপর সেমিনার ইত্যাদি নানা জরুরি কাজে ব্যাস্ত হয়ে যাওয়ায় ঠেলা গাড়ি আর ঠাঠারি বাজার থেকে ভাড়া করা হয়নি ।
আওয়ামী লীগের হাউ কাউ – বিএনপি ইলিয়াস আলীকে লুকিয়ে রেখেছে ।
আসল খবর – ইলিয়াস আলী নিখোঁজ । সন্দেহের /অভিযোগের তীর সরকারের দিকে ।
পরের খবর – মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন – দেশের আইন শৃঙ্খলা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভাল ।
আমরা বুঝতে পারলাম – চেহারা খারাপ হলেই যে মন সুন্দর হয় প্রচলিত এই ধারনা ঠিক না ।
আওয়ামী লীগের হাউ কাউ – বিশ্ব ব্যাংক ক্ষমা না চাইলে তাদের থেকে কোন টাকা নেয়া হবে না । আবুল মামা নির্দোষ । আমরা জাতীয়তাবাদী-মুক্তিযুদ্ধ -বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের টাকাতেই দুই তিনটা পদ্মা সেতু করে ফেলব ।
আসল খবর – দুর্নীতি নিয়ে বেশি কচলা কচলি হলে একেবারে উপর মহলের কারো কারো মেয়ের জামাইয়ের নাম চলে আসবে ।
পরের খবর – দুই পায়ের চিপায় লেজ ঢুকিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে করজোড়ে মিনতি – আরেকবার ঋণের কথা পুনরবিবেচনা করেন প্লিজ,প্লিজ।
আমরা বুঝতে পারলাম – যখনই লীগ জাতীয়তাবাদী-মুক্তিযুদ্ধ -বঙ্গবন্ধুর চেতনা এই শব্দগুলি বেশি বেশি আওড়াচ্ছে , তার মানে আশে পাশেই কোথাও ব্যাপক চুরি চামারি করছে । ধরা পরার ভয় থেকে এই পুরান ব্যাবসায়িক বুলি কপচাচ্ছে ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইবার আপনাকে দুই একটা কথাবলি । দয়া করে ফাও কথা বলা কমান । আজকের যুগের মানুষেরা রাজনিতিবিদদের কথা আর অন্ধভাবে বিশ্বাস করে না । যা বলবেন , পোলাপান দশ মিনিটের মধ্যে বের করে ফেলবে হাঁচা নাকি মিছা কথা বলছেন । আর বাংলাদেশের মাটি কাউরে ক্ষমা করে না । কয়েকটা খাম্বার টাকার রস খাওয়ার কারনে তারেক জিয়া নিজের কোমর , দলের মাজা ভাইঙ্গা দাম শোধ করছে, এখনও করতেছে । সেখানে পদ্মা সেতুর এক একটা পিলার খাম্বার থেকে বহুগুনে মোটা । এই পিলার যখন লীগের পিছন দিয়ে যাবে তখন চামড়া ফাটার শব্দে কবরের ভিতরের লাশও দাঁড়াইয়া যাবে ।
সব শেষে বলি – ইচ্ছায় হোক , অনিচ্ছায় হোক , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করছেন । কাজটা দয়া করে শেষ করেন । অর্ধেক করে বাকি অর্ধেক নির্বাচনে জেতার আশায় বাকি রাইখেন না । একিই ইস্যু দুই নির্বাচনে জেতায় না উপরন্তু সরকার বদল হলে এই বিচার ঝুলে যাবে । আল্লার ওয়াস্তে বিচারটা কইরেন কারণ এর পরের নির্বাচনে একটা কিছু নিয়া তো আপনাকে জনগনের সামনে দাঁড়াতে হবে ।