মায়ের হাত ধরে রোজ যে মেয়েটি
ছাদে উঠতো, সূর্যস্নান কিংবা
শহরের উঁচু-নিচু দালান গুণতে,
দেখতে দেখতে সে-ই একদিন
শিশু থেকে কিশোরী হয়ে গেল
আমাদের চোখের সামনেই ক্রমান্বয়ে
চলে এলো তার বালিকাবেলা,
তারপর, কোন এক বসন্তের সন্ধ্যায়
বেজে উঠল তার প্রণয়ের বীণ।
ব্যালকনির গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা
এই শহরের প্রকৃতির একমাত্র প্রতিনিধি
ক্ষীণকায় কাঁঠাল গাছটি তার রসালো ফল
অকাতরে কতবার দিয়েছে আমাদের?
পাশের বাড়ির যে কিশোরীটির
হাসিরোগ' ছিল
কারণে-অকারণে কাউকে দেখলেই
যে ফিক করে একগাল হাসি তুলত
তার কোলে এখন শিশু দোলে।
এইসব জীবনের বিবর্তন কিংবা
বৃক্ষের ক্ষয়ে যাওয়া,
সব আমাদের চোখের সামনেই ঘটে গেল।
অথচ ভুলক্রমেও কোনদিন
বিবর্তন আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি
আমরা এখনো একা ঘুমোতে যাই,
কেবল দুটি আলু পুড়ে খাবার খাই।