প্রথমেই বলে রাখি আমি একজন মুসলমান এবং আস্তিক এবং এটা নিয়ে আমি গর্ববোধ করি।
আমি গত ৩ বছর ধরে ব্লগিং করি। এই ৩ বছরে অনেক পোষ্ট করিনি কিন্তু অনেক পোষ্ট পড়েছি। সেই সব পোষ্ট এর মধ্যে ইসলাম সমর্থিত এবং বিরোধী পোষ্টও ছিল। ব্লগে কিছু ব্লগার আছেন যারা সস্তা হিট বাড়ানোর জন্য ইসলাম বিরোধী পোষ্ট দেয়। নাস্তিকতা এক জিনিষ আর কটুক্তি আর এক জিনিষ। যারা নাস্তিক তারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেন না। আর যারা কটুক্তিকারী তারা বিচার মানলাম কিন্তু ভাগের তালগাছটা আমার টাইপের। পৃথিবীর অনেক নাস্তিককে সঠিক যুক্তি র্তক দিয়ে বুঝিয়ে আস্তিক বানানো গেছে। আমি যদি নাস্তিক হই তো কারও কোনো সমস্যা আছে। আমার বিশ্বাস আমার কাছে। আমি তো আমার বিশ্বাস জোর করে কারও উচর চাপিয়ে দিচ্ছি না। আমার জবাবদিহীতা আমি আমার সৃষ্টিকর্র্তার কাছে দেব।
কেউ যদি কোন ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে তো তাকে বোঝাতে হবে। এতে কাজ না হলে তার বিচার করা উচিত। ব্লগ ে অনেক ব্লগার আছেন যাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
আমার প্রশ্ন হল এত বছর ধরে কটুক্তিকারীরা কটুক্তি করছে এতে ইসলামের কোন ক্ষতি হলনা এখন শাহবাগে কি এমন করা হল যে ইসলাম দেশ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে।
আমি মেনে নিলাম ব্লগার রাজিব একজন কটুক্তিকারী ছিলেন। এর জন্য কি তাকে রাতের আধারে পেছন থেকে আক্রমন করতে হবে। তাকে কি তার আত্নপক্ষ সর্মথন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ইসলামের কোথায় এইভাবে পেছন থেকে আঘাত করার কথা বলা হয়েছে?
হেফাজতে ইসলাম এতদিন কোথায় ছিল? মাজারে যখন চাদর চড়ানো হয়, মোমবাতি জালানো হয় তখন ইসলাম কে হেফাজত করার দরকার হয় না? আপনারাতো দেওবন্দী। ইসলামের কোথায় পীর তন্ত্র আছে? কোথায় বলা আছে আল্লাহ ও তার রাসুল (সাল্লা.) সর্বত্র হাজির ও নাজির। আপনাদের আকিদা ঠিক আছে তো? লংমার্চ যে করতেছেন এটা ইসলামর কোথায় আছে? এটার প্রবর্তক তো নাস্তিক ও কমিউনিষ্ট নেতা মাও সে তু।
ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী যখন সালমান রুশদী কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল তখন সকল ওআইসি দেশের নেতারা বিরোধীতা করেছিল। কারন সালমান রুশদীকে আত্বপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয় নাই।
বাংলাদেশের মানূষ অনেক ধর্মপ্রান। ধর্মীয় অনভুতিতে আঘাত করলে কেউ সহ্য করে না। আমি নিজেও সহ্য করবো না। কিন্তু সেটার জন্যতো আমি কারও উপর অন্যভাবে কোনো কিছু করতে পারি না। একবার বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনারা যেটা করতেছেন সেটা সঠিক তরিকা। জোর করে কি কখনও ধর্ম পালন করা সম্ভব? ইসলামের কোথাও কি জোর করে ধর্ম পালন করাতে বলা হয়েছে?
মাওলানা শফি সাহেব অনেক প্রবীন মানুষ। দেশে উনার অনেক ভক্ত। উনার সব কিছতে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আমাদের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে। ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। আপনারা যে কর্মকান্ড শুরু করেছেন তাতে আমি ১০০% নিশ্চিত আপনার ভক্ত অনেক কমবে। হেফাজতে ইসলাম কি পারতো না তরুন প্রজন্মের সাথে আলোচনা করে তরুন প্রজন্মের সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে? আলোচনা করে যদি মানুষের জানমাল এর কোন ক্ষতি না হয় তাহলে কেন এই আন্দোলন?
মাওলানা শফি সাহেব আপনাদের পেছনে যদি জামাত না থাকে তো আলোচনায় বসুন। শান্তিপুর্ন সমাধান খুজুন আর যদি জামাত থাকে তো সরাসরি বলূন আপনাদের পেছনে জামাত আছে। দয়া করে মিথ্যা বলবেন না।।।।।।।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




