স্পোর্টস রিপোর্টার, ১ ডিসেম্বর (আরটিএনএন ডটনেট)-- বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বদান্যতায় মাইক্রোম্যাক্স পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯ রানের জয় পেয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ২১০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ২০০ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।
টাইগার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চারজনই রান আউট হন। আম্পায়ারের ভুলে তামিম সাজঘরে ফিরলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা অনেকটাই তাদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ২১০ রানের টার্গেটে ওপেনিংয়ে শুভ সূচনা করে টাইগাররা। কিন্তু দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশি আম্পায়ার এনামুল হকের ভুলে এলবিডব্লিও’র ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম। কায়েস দলীয় ৭৬ রানে আউট হয়ে গেলে টাইগার শিবিরে শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়।
জুনায়েদ, আশরাফুল, মুশফিক ও শুভদের উইকেট বিলিয়ে দেয়ার মহড়ায় ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক সাকিব লড়াই করে গেলেও মাহমুদুল্লাহ ও মাশরাফির লক্ষ্যহীন ব্যাটিং পরাজয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। মূলতঃ দলীয় ১৯৫ রানে দলনায়ক সাকিবের (৬৩) বিদায়ই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
শফিউলদের সাজঘরে ফেরার তাড়াহুড়োয় জয়ের জন্য বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি জিম্বাবুয়ের। এক ওভার বাকি থাকতেই শফিউল রান আউটের শিকার হলে জিম্বাবুয়ের ৯ রানের জয় নিশ্চিত হয়। এ ম্যাচে চার টাইগার ব্যাটসম্যান- জুনায়েদ, শুভ, মাশরাফি ও শফিউল রান আউটের শিকার হন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৯ ওভার বল করে এম পফু ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। প্রাইস ২৯ রানের বিনিময়ে ২টি এবং উতসেয়া ৩৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট লাভ করেন।
এরআগে মাইক্রোম্যাক্স পাঁচ ম্যাচ ওয়াডে সিরিজের প্রথম খেলায় বাংলাদেশের সামনে ২১০ রানের জয়ের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। টস হেরে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ২০৯ রানে গুটিয়ে যায়। অবশ্য শুরুতে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৫৩ রান।
এরপরই স্পিন আক্রমণে পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। আব্দুর রাজ্জাক ১৮ রানের ব্যবধানে তুলে নেন ৩টি উইকেট। বল হাতে সোহরাওয়ার্দী শুভও সঙ্গী হন রাজ্জাকের। এক পর্যায়ে ঘূর্ণিজাদুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। যার চূড়ান্ত ফল ম্যাচ শেষে ১০টির মধ্যে ৯টিই দখল করেছে স্পিনাররা। বাকি উইকেট রানআউট।
এরআগে পেস আক্রমণের পর তৃতীয় বোলার হিসেবে বল করতে এসে জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আব্দুর রাজ্জাক। দলীয় ১০ম ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে চিবাবাকে (২৪) বোল্ড করেন তিনি। দলীয় ৫৮ রানে তারই বলে টেইলরের (২৭) উইকেট ভেঙ্গে দেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।
এরপর নিজের চতুর্থ ওভারে ৭ রান করা এলটন চিগুম্বুরার (৭) উইকেট উপড়ে ফেলেন রাজ্জাক। আর দলীয় ৯৪ রানে শুভ’র বলে জুনায়েদের হাতে ধরা পড়েন টাইবু (১৪)।
এখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন চিক্বভা ও ক্রেগ এভারউইন। ৬৫ রানের এ জুটি ভাঙেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন চিক্বভাকে (৪৫)। দলীয় ১৮৪ রানে সাবিকের বলে সাজঘরে ফিরে যান এভারউইন (৪১)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। দলীয় ২০১ রানে দেবাংগা, ২০৪ রানে উৎসেয়া, ২০৭ রানে মেথ এবং ২০৯ রানে এমপফু রান আউট হয়ে বিদায় নিলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক ৪১ রানে ৪টি, শুভ ৩২ রানে ২টি, রিয়াদ ৩৮ রানে ২টি এবং সাকিব ৩১ রানে একটি উইকেট লাভ করেন।
ম্যাচ জেতানো বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরা হন এম পফু। এ জয়ের ফলে জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





