somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হার দিয়ে সিরিজ শুরু টাইগারদের

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্পোর্টস রিপোর্টার, ১ ডিসেম্বর (আরটিএনএন ডটনেট)-- বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বদান্যতায় মাইক্রোম্যাক্স পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯ রানের জয় পেয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ২১০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ২০০ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।

টাইগার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চারজনই রান আউট হন। আম্পায়ারের ভুলে তামিম সাজঘরে ফিরলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা অনেকটাই তাদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন।

জিম্বাবুয়ের দেয়া ২১০ রানের টার্গেটে ওপেনিংয়ে শুভ সূচনা করে টাইগাররা। কিন্তু দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশি আম্পায়ার এনামুল হকের ভুলে এলবিডব্লিও’র ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম। কায়েস দলীয় ৭৬ রানে আউট হয়ে গেলে টাইগার শিবিরে শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়।

জুনায়েদ, আশরাফুল, মুশফিক ও শুভদের উইকেট বিলিয়ে দেয়ার মহড়ায় ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক সাকিব লড়াই করে গেলেও মাহমুদুল্লাহ ও মাশরাফির লক্ষ্যহীন ব্যাটিং পরাজয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। মূলতঃ দলীয় ১৯৫ রানে দলনায়ক সাকিবের (৬৩) বিদায়ই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

শফিউলদের সাজঘরে ফেরার তাড়াহুড়োয় জয়ের জন্য বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি জিম্বাবুয়ের। এক ওভার বাকি থাকতেই শফিউল রান আউটের শিকার হলে জিম্বাবুয়ের ৯ রানের জয় নিশ্চিত হয়। এ ম্যাচে চার টাইগার ব্যাটসম্যান- জুনায়েদ, শুভ, মাশরাফি ও শফিউল রান আউটের শিকার হন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৯ ওভার বল করে এম পফু ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। প্রাইস ২৯ রানের বিনিময়ে ২টি এবং উতসেয়া ৩৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট লাভ করেন।

এরআগে মাইক্রোম্যাক্স পাঁচ ম্যাচ ওয়াডে সিরিজের প্রথম খেলায় বাংলাদেশের সামনে ২১০ রানের জয়ের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। টস হেরে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ২০৯ রানে গুটিয়ে যায়। অবশ্য শুরুতে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৫৩ রান।

এরপরই স্পিন আক্রমণে পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। আব্দুর রাজ্জাক ১৮ রানের ব্যবধানে তুলে নেন ৩টি উইকেট। বল হাতে সোহরাওয়ার্দী শুভও সঙ্গী হন রাজ্জাকের। এক পর্যায়ে ঘূর্ণিজাদুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। যার চূড়ান্ত ফল ম্যাচ শেষে ১০টির মধ্যে ৯টিই দখল করেছে স্পিনাররা। বাকি উইকেট রানআউট।

এরআগে পেস আক্রমণের পর তৃতীয় বোলার হিসেবে বল করতে এসে জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আব্দুর রাজ্জাক। দলীয় ১০ম ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে চিবাবাকে (২৪) বোল্ড করেন তিনি। দলীয় ৫৮ রানে তারই বলে টেইলরের (২৭) উইকেট ভেঙ্গে দেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।

এরপর নিজের চতুর্থ ওভারে ৭ রান করা এলটন চিগুম্বুরার (৭) উইকেট উপড়ে ফেলেন রাজ্জাক। আর দলীয় ৯৪ রানে শুভ’র বলে জুনায়েদের হাতে ধরা পড়েন টাইবু (১৪)।

এখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন চিক্বভা ও ক্রেগ এভারউইন। ৬৫ রানের এ জুটি ভাঙেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন চিক্বভাকে (৪৫)। দলীয় ১৮৪ রানে সাবিকের বলে সাজঘরে ফিরে যান এভারউইন (৪১)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। দলীয় ২০১ রানে দেবাংগা, ২০৪ রানে উৎসেয়া, ২০৭ রানে মেথ এবং ২০৯ রানে এমপফু রান আউট হয়ে বিদায় নিলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক ৪১ রানে ৪টি, শুভ ৩২ রানে ২টি, রিয়াদ ৩৮ রানে ২টি এবং সাকিব ৩১ রানে একটি উইকেট লাভ করেন।

ম্যাচ জেতানো বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরা হন এম পফু। এ জয়ের ফলে জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×