চট্টগ্রাম, ১২ ডিসেম্বর (আরটিএনএন ডটনেট)-- শুরুর হোঁচট কাটিয়ে স্বাচ্ছন্দেই মাইক্রোম্যাক্স সিরিজ জয় করল বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হাতে রেখে ৪২ বল বাকি থাকতেই জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেয়া ১৮৮ রান টপকে যায় টাইগাররা। অবশ্য ৫ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক থেকে বঞ্চিত হন তামিম ইকবাল। তবে জয়ের নায়ক কিন্তু তিনিই।
রবিবার দুপুরে মাইক্রোম্যাক্স সিরিজ জয়ের মিশনে ১৮৯ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস। তবে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সফলতা পায় সফরকারী জিম্বাবুয়ের বোলার মফু। ব্যক্তিগত ২ আর দলীয় ৩ রানে বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেট রক্ষকের তালুবন্দি হন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস।
এরপর ক্রিজে থাকা তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি গড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী। এরপর থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকেন এ দুজন। মাঝে মাঝেই নান্দনিক শট খেলে বল মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন তামিম। ২৩ তম ওভারে পূরণ করেন দলের শত রান। দলীয় ১৩৯ রানে ক্রেমারের তালু বন্দি হন তামিম ইকবাল। তবে এর আগেই ৭ ছয় আর ৪ বার মাঠের বাইরে বল পাঠিয়ে ব্যক্তিগত ৯৫ রান করে দলকে জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দেন তিনি।
এরপর রানের খাতা খোলার আগেই ক্রেমারের বলে মাসাকাজ্জার হাতে ধরা পড়েন রকিবুল হাসান। এরপর ব্যক্তিগত ১১ রানে প্রেইসের বলে টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তবে ১১৬ বল মোকাবেলা করে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে শেষ পর্যন্ত জয়ের মালা পড়েই মাঠ ছাড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ক্রিস মোফু, কেইথ দাবেঙ্গা, গ্রায়েম ক্রেমার ও রে প্রেইস একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। শুরুতে চাপে পড়লেও চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১২ রান সংগ্রহ করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান আরভিন ও তাতেন্দা তাইবু।
বল হাতে একাই দুই উইকেট শিকার করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ২১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান ব্রেন্ডন টেলর, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও কেইথ দাবেঙ্গা।
প্রথম বলেই রান আউট করে টেইলরকে প্যাভিলিয়নে ফেরান সোহরাওয়ার্দী শুভ। ৭ম ওভারের প্রথম বলে মাসাকাদজাকে (৬) এবং ১০ম ওভারের প্রথম বলে দাবেঙ্গাকে (৯) সাজঘরে পাঠান মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এরপর দলের হাল ধরেন ক্রেগ আরভিন ও উইকেট রক্ষক তাতেন্দা তাইবু। রানের চাকাকে সচল রাখতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যান এ দুই ব্যাটসম্যান। মাশরাফির জোড়া আঘাত সামাল দিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনতে মারমুখী হয় এই জুটি।
৩৮তম ওভারের শেষ বলে আরভিনকে (৪৬) সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর দলীয় ১৫২ রানের মাথায় চিদাম্বুরা (২৩) এবং ১৬৮ রানে ম্যাচে ছন্দ ফিরিয়ে আনার নায়ক তাইবুর (৬৪) উইকেট শিকার করেন সাকিব।
বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন না হলেও সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনতে জিম্বাবুয়ে দলে দুটি পরিবর্তন আনা হয়। দলে ফেরেন অধিনায়ক চিগুম্বুরা ও দাবেঙ্গা। বল হাতে একটি উইকেট শিকার করলেও ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি দাবেঙ্গা।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হওয়ায় ৩-১ ম্যাচে সিরিজ জয় করে স্বাগতিকরা।
অপরদিকে তামিম ইকবাল ম্যাচ সেরা এবং স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





