আজ ডাইনিং হলটা খাঁখাঁ করছিল।
রাত দশটা বেজে পয়তাল্লিশ মিনিট।তুমুল আড্ডার আওয়াজ ভেসে আসছে। প্রাণখোলা উদ্দাম হাসির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। মোজাহিদ,আশরাফ,জাবেদ,এনাম,আর মেহেদীর। আজ হয়তো "শিশা" টাও বেরিয়েছে, আপেলের গন্ধমাখা তাম্বুরীর মনমাতানো সুবাসও যেন ভেসে আসছে। আজ ইকারুস ইমরানের গলাটা কি একটু ম্রিয়মান শোনা গেল? কাল ওরা ছুটি যাবে....দীর্ঘ দিন পর আবার দেখা হবে। সেজন্যেই হয়তো আজ আড্ডাটা জমে উঠেছ।
সারাদিন কেমন মনখারাপ করা আবহাওয়া।এই বৃষ্টি তো এই রোদ। বিকেল থেকে আবহাওয়া ভালো হতে শুরূ করেছে। শীতের আগমনী আওয়াজ যেন পাওয়া যাচ্ছে।শীতের কেমন নিজস্ব একটা গন্ধ আছেনা! দেঁজা ভূ....
কোন অতীতে নিয়ে যায় গন্ধটা আমাকে? আজ থেকে কত বছর আগে! রংপুরের ধাপ এলাকায়,তখন খাঁখাঁ শূন্য ছিল।গ্রামের ভেতরে সহজেই শহর থেকে পৌছে যাওয়া যেত।এরকম শীত আসি আসি বিকেলে ক'বন্ধু মিলে গ্রামের ভেতর হাঁটতে বেরিয়েছিলাম।গ্রামের আল্ ধরে হাটতে হাটতে বন্ধুরা খুনসূটি করছিলাম।হঠাৎ অসময়ে ঝেঁপে বৃষ্টি এল।দৌড় দৌড়।সবাই মিলে কাকভেজা হয়ে এক বাজারে পৌছলাম।গ্রামের বাজার।বিশাল এক বটতলা।তার নীচের টংঘরের মুদির দোকানে যে গরম পেঁয়াজু আর চা খেয়েছিলাম তার স্বাদ যেন এখনও চোঁখ মুদে পাই।মনে হয়েছিল বটের কষের মত ঘন দুধ দিয়ে তৈরি ছিল চা'টা।এখনও সেই চা,পেঁয়াজু আর বন্ধুদের সান্নিধ্যের জণ্য মনটা আইঢাই করে ওঠে.....।এখন কি আমার টেষ্টবাড গুলোও পুরনো হয়ে গেছে?কত জটিলতা আর পংকিলতা ঘিরে ধরেছে আমাকে,আমাদেরকে....প্রাণখোলা উদ্দাম ,ওদের মত নিষ্পাপ হাসি কেন আমাদের নেই?
মিয়াও মিয়াও।কালো বিড়ালের বাচ্চাটার ডাকে বর্তমানে ফিরে আসি।দূরে কি গুরো ট্রাইবের মাদলের আওয়াজ পাওয়া গেল?
কাল সকালে আবার মুখোশ পড়ে দিন শুরু করতে হবে........
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০০