ক'দিন থেকে জ্বর কমছেই না । মাঝে একটু কমেছিল তো নিউমার্কেটে গিয়ে আবার জ্বর বেড়ে গেসে । গত পরশুদিন গিয়েছিলাম ।
ধুর লিখতে ভাল্লাগে না..
গতকাল সকালে ভাবসিলাম সারাদিন রেস্ট নিলে ভাল হয়ে যাবো, তো খালা এমন প্যানপ্যানানি শুরু করলো যে উনার বাসায় যাইতে বাধ্য হলাম । মোবাইলে ১০/১২ কল দিসে, সেই একই ঘ্যানর ঘ্যানর.. তুই আয়, তোরে স্পেশাল রান্না করে খাওয়াবো হ্যান ত্যান কত কি । বিরক্ত করে মারসে! আমি যতই বলি, খালা আমি একটু অসুস্থ, আগামীকাল আসি? খালারও একই উত্তর, তোর কোনদিনই আগামীকাল হবে না, অসুস্থ হইলেও তুই আয় । সো আর কি করা, গেলাম ।
যাইতে বলসিল দুপুরে । আলসেমী করতে করতে রওনা দিলাম বিকালে । এর মধ্যে কয়েকবার ফোন করসে.. আমি শুধু বলি, এইতো আসতেসি... বের হইলাম, হু রিক্সা খুঁজছি
গিয়ে খালার ঝাড়ি খাইলাম । কারো কারো ঝাড়ি খাইতে মজা লাগে, যেমন খালার ঝাড়ি, মিষ্টি!
আমি গিয়েই শুয়ে পড়লাম । বললাম, রান্না হইলে ডেকে দিয়েন । কিছুক্ষণ পর দেখি খালা-খালুর ক্যাচর ক্যাচর করতেই আছে । গিয়ে দেখি, দুইজন মিলে ঝগড়া করতেসে কে রান্না করে খাওয়াবে তাই নিয়ে । দুইজনের কথা শুনতে শুনতে আমি এই ফাঁকে চা-ও বানিয়ে ফেললাম । ততোক্ষণে কে কি রান্না করবে সেটা ঠিক করে ফেলেছে ।
সেই যে রান্না স্টার্ট হইল শেষ হইল রাত সাড়ে ১০ টায় । খাবার একটু মুখে দিয়ে দেখি দুই কান ঝা ঝা করছে । খালু বলল, ক্যামন হইসে রান্না? চোখ দিয়ে অটো পানি বের হচ্ছে । বললাম, চমৎকার রান্না খালু! আপনি যে এত্ত ভাল রান্না পারেন আগে ঝানতাম না!
খালা-খালুর অত্যাচারে আমাকে তবুও ওই ঝালযুক্ত খাদ্যই গলাধরণ করতে হল।
আজ সকাল থেকে বিছানা থেকে উঠতেই পারতেসি না । জ্বর তো আগেই ছিল, নতুন করে খালা-খালুর চমৎকার রান্নার ইফেক্ট!
শুয়ে বসে কতদিন কাটানো যায়! ছাতা!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৩২