আমি যেই শহরে থাকি তার পুরো একটি পাশ ঘুরে রয়েছে নয়নাভিরাম শান্ত সমুদ্র,আরব সাগর।দাম্মাম থেকে হাফমুন সী বীচ প্রায় ৬০কি;মিঃ দীর্ঘ। এবং এই দীর্ঘ বীচ ঘেষে গড়ে তুলেছে নয়নাভিরাম পার্ক (কর্নিশ) আর সাতার কাটার খুব সুন্দর স্পট।এখানে ছুটি বা কর্ম দিবসে দেশি বিদেশিদের রাতদিন আড্ডা চলে মাতিয়ে। কেউ সাতার কেটে মজা করে কেউবা বারবিকিউ বানিয়ে।বারবিকিউয়ের কথা আগেই লিখেছিলাম।আজ আসুন দেখা যাক বীচের কিছু ছবি।
আগেই বলে রাখা ভাল প্রচন্ড রক্ষণশীল এই দেশে সর্বত্রই পর্দা প্রথা চলে আসছে।তাই এই বীচে ছবি তোলাও একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ।কোন ভাবেই যেন অন্যের ছবি ফ্রেমে চলে না আসে সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়।এ ছাড়া ব্যাচেলর এবং ফ্যামিলিদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা বীচ কর্ণার।বলা যায় ব্যাচেলরগন একটু উপেক্ষিতই বটে।

তাদের স্থানটা বেশ অবেহিলিত।এখানে বেশির ভাগ মহিলারাই রাতের আধারে সমুদ্রে নামে।কেউ ইচ্ছে করলে দিনের বেলাতেও নামতে পারে,সে ক্ষেত্রে নিজের আব্রু নিয়ে ইতস্তত করে নিজেরাই।

তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশি বিদেশি মহিলারা রাতেই পানিতে নামে।
বীচের ধারে রয়েছে অসংখ্য শেড।সারা রাত দিন শুয়ে বসে রান্না করে কাটিয়ে দেয়া যাবে।পাশে রয়েছে টয়লেট এবং মিষ্টি পানির ব্যবস্থা যা লোনা পানি থেকে উঠে কাজে লাগানো যায়। এছাড়া গাড়ী পার্কিং এরও সুব্যবস্থা আছে আর এর সবই ফ্রি।


হাফমুন বীচের রাস্তা

এখানেই রয়েছে প্রিন্স মোঃবিন ফাহাদ ইউনি

এইটি ফ্যামিলি বীচের জানান দিচ্ছে


বীচের প্রবেশ মুখ




রং বেরংরের সেড একদম বীচ ঘেষে

একটি সেডের নিচে বসে মিশোয়ারের ব্রস্টেড শুরু করলাম


পানিতে নামার প্রস্তুতি



দিঘির জলের মতো শান্ত বীচের জল

বীচ থেকে উঠে মিষ্টি পানিতে গা ধোয়া

চায়ের খোজে





পার্ক,ঘোড়ার গাড়ী,ঊট,স্কেটার,সুইমস্যুটের পসরা সবই আছে