সাতক্ষীরা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে বৈকারী ইউনিয়নের কালিয়ানি ছয়ঘরিয়ার একটি সীমান্ত ঘাটে গিয়েছিল এই প্রতিবেদক। সেখানে গিয়ে ওয়াহেদ গাজীর ছেলে আব্দুল করিম গাজীর বাড়ির পাশে দাঁড়াতেই চোখে পড়ল লাইন ধরে নারী ও শিশু ভারতে পাচারের দৃশ্য। দালালরা ১০/১৫ সদস্যবিশিষ্ট নারীদের সঙ্গে নিয়ে সোনাই নদী পার হয়ে ভারতে পাচার করছে। আর অপেক্ষমাণ তালিকায় এপারে আরও কয়েকজন নারী পরের ব্যাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দালাল জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ দেয়ার নামে নারীদের আমরা সিন্ডিকেট করে নিয়ে আসি। এরপর আমাদের সিন্ডিকেটের সদস্যরা আগে খোঁজ নেয় যে এই মুহূর্তে দেশের কোন এলাকা দিয়ে সহজেই তাদের বাইরে পাঠানো যায়। তারপর সহজ পথে এসব নারীকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিদেশে তারা কি কাজ করবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা এতো কিছু জানি না, বিদেশীরা আমাদের বলে কাজের জন্য কিছু মহিলা দরকার তখন আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের কাজের জন্য নিয়ে আসি। সুন্দরী মেয়ে হলে তারা রেট ভালো দেয়। এদিকে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা থেকে আসা মেরিনা বেগম নামের ২২ বছরের এক নারীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, তিন বছর আগে তার ডিভোর্স হয়। তার একটা মেয়ে বাচ্চা রয়েছে। বাবার অভাবের সংসারে সে এখন অনেকটা বোঝা। কিছুদিন আগে পাশের গ্রামের এক লোক তার এলাকায় এসে বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানে বড়লোকদের বাসায় কাজের জন্য কিছু লোক নেবে। বেতন মাসে ২২ হাজার টাকা। সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে তাদের পাঠানো হবে বলে খরচ মাত্র ৩০ হাজার টাকা। অল্প খরচ আর বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সে বিদেশ যেতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তার কোন পাসপোর্ট বা বৈধ কাগজপত্র দেয়া হয়নি। বিদেশ যাওয়ার জন্য তার সঙ্গে ছিল তার একই এলাকার আয়েশা, রাশিদা, মুন্নীসহ আরও অনেকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



