মুকেশ আম্বানির ২৭তলা বাসভবন নিয়ে অভিযোগ উঠলো
বিবাহ বার্ষিকীতে উপহার হিসেবে ‘অ্যান্টেলিয়া’-র চাবি স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। মুম্বাইয়ের আল্টামাউন্ট সড়কে ২৭তলার বহুতল আন্তিলিয়া এখন মুকেশ আম্বানি পরিবারের ঠিকানাও বটে। এই বাড়ি তৈরি করতে মুকেশ খরচ করেছেন প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে বর্তমানে এই বাড়ি দাম প্রায় ১০০কোটি ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ির মালিক দেশের শীর্ষ ধনকুবের রিলায়েন্স শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি।
এবার সেই ‘অ্যান্টেলিয়া’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে খোদ কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক। মন্ত্রকের অধিকর্তা আশিস যোশী জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের এই বিলাসবহু বাড়িটি যে জমিতে তৈরি হয়েছে, সেই জমি আসলে ওয়াকফে জমি। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক থেকে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের অধিকর্তা আশিস যোশী ২৫শে অক্টোবর কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে যে অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছিলেন তার শিরোনাম ছিলো, ‘এ ক্ল্যাসিকাল কেস অব কোরাপশান’। অভিযোগ পত্রে লেখা আছে, মহারাষ্ট্রে অবৈধভাবে ওয়াকফের জমির মালিকানা পরিবর্তন করে শিল্পপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঐ চিঠিতে আরো লেখা আছে, দেশের কিছু ধনী এবং ক্ষমতাবান মানুষ কী অসম্ভব দক্ষতায় কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী কর্মচারীদের সঙ্গে জোট করেছেন। আর দেশের আইন এবং সংবিধানকে প্রহসনে পরিণত করছেন।
২০০৮সালের মে-তে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক মহারাষ্ট্র ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য আহমেদ খান ইউ পাঠানের কাছ থেকে এক অভিযোগ পায়। পাঠান অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের দ্বারা অপমানিত হয়েছিলেন মহারাষ্ট্র ওয়াকফ বোর্ডের সি ই ও এ আর শেখ। অন্তত ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন এ আর শেখ। এই শেখই মুকেশ আম্বানি এবং বিলাসরাও দেশমুখের ভাই দিলীপরাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাতে এমনও ইঙ্গিত আছে যে, মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় বিলাসরাও দেশমুখ এই জমি মাফিয়াদের নিজেই সাহায্য করেছেন।
প্রায় ১লক্ষ ২৭হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই মুকেশ আম্বানি। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি মনোরম দ্বীপের নামানুসারে মুকেশ তাঁর নতুন বাড়ির নাম রেখেছেন অ্যান্টালিয়া। ২৭তলা বাড়ির মোট আয়তন চার লক্ষ বর্গফুট, উচ্চতা ৫৭০ফুট।
এই বিলাসবহুল বাড়ির প্রথম ষষ্ঠ তলায় থাকছে গাড়ি রাখার জায়গা। ১৬০টি বিলাসবহুল গাড়ি রাখা যাবে এখানে। তাঁর সবচেয়ে কম দামি গাড়িটির মূল্য এক কোটি টাকাও বেশি। বাড়ির ছাদে থাকবে তিনটি হেলিপ্যাড। যা তৈরি করতে সময় লেগেছে সাত বছর। বাড়ির ২৭তম তলায় থাকবেন মুকেশ ও নীতা। একই তলায় পাশের তিনটি ঘরে থাকবেন তাঁর ছেলেমেয়ে আকাশ, অনন্ত ও ঈশা। বাড়িতে নয়টি বিশেষ লিফট রয়েছে। মার্সিডিজের মতো গাড়িও তোলা যাবে এই লিফটে। গোটা বাড়ি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য থাকবেন ৬০০কর্মী। আরও রয়েছে সুইমিং পুল ও যোগ ব্যায়ামের স্টুডিও, আইস রুম। রয়েছে কৃত্রিম তুষারপাতের ব্যবস্থা। আরও রয়েছে থিয়েটার, বাগানসহ ব্যালকনি, হেলথ ক্লাবসহ আরব সাগরের মনোরম দৃশ্যের পাশাপাশি মুম্বাই বস্তির বাস্তবতা।
‘আম্বানি অ্যান্ড সন্স : এ হিস্ট্রি অব দ্য বিজনেস’ গ্রন্থের লেখক হামিশ ম্যাকডোনাল্ড বলেন, সম্পদের বিস্ময়কর প্রদর্শন এই বাড়ি। ভাবুন একবার, আম্বানির এই বিলাসবহুল বাড়িটি মাত্র ছ’জনের বাসভূমি। যেখানে আম্বানি, তাঁর স্ত্রী নিতা, তিন সন্তান ও আম্বানির মায়ের জন্য ছয়শো কর্মচারী।
আলোচিত ব্লগ
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!
বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন