কুলষিত এই মনের কুৎসিত চিন্তাগুলো
খরতাপে শিরা শিরায় বইয়ে দেয়
বেচেঁ থাকা অনর্থক মনে হয়
যা কিনা মনের ব্যাধি
এই মন পুড়ে গেলে বাকি থাকে কি?
অঙ্গার এই মনের ভস্ম- ছাইগুলো
তিতাসের নিন্মস্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সখ্য নদীর বুকে_
আমি চেয়ে থাকি - ক্লান্তিহীন চোখ অামার পলক ফিরে দেখে
ঘোর অন্ধকার ; চারদিক ভিবিষিকাময়!
দু'চারটি লুন্ঠন বাতির আলো নিভু- নিভু জ্বলা দুর থেকে জোনাকী পোকার বিচরন মনে হয়।
আবার ক্লান্তি এসে ভীর করে এই অমাবষ্যার অন্ধকারে
আমি আমাকে চিনি না
কোথায় আমার পদস্থলন -এক পা'- দু পা' করে কত-দূর চলে এসেছি সে খেয়াল নেই।
পিছনে তাকাতেই বুক ভারী হয়ে আসে
চিন -চিন ব্যাথাটা বেড়ে যায়
ডান হাতটা বুকে চেঁপে আছি
প্রার্থনা আবার "ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু"
সময় বলে দেয় তুমি ফুরিয়ে যাচ্ছ,
প্রদীপ জ্বলার মতো।
আলোহীন এই অন্ধকারে
আবার তোমার সাথে হবে দেখা
মঞ্চ শেষে যখন অভিনেতা প্রস্থান বেলায় যেমন করে নায়কের সাথে নায়িকার হয় মিলন।
তেমনি করে হলে ও হবে!
তখন হয়তো ব্যাথার পুজার হবে কিছুটা অবসান
শেষ বেলায় আলো আর আধাঁরের খেলায়
ঠিকি তুমি আমায় চিনে নিবে।
এবার হয়তো খেলা হবে সাঙ্গ
আবার নতুন কোন সাজে মঞ্চে তোমার আর আমার দেখা হবে
সাজের মেলাতে আর আলোর খেলাতে বাধ্য করা সংলাপের কোন একটি সংলাপও ফেলতে পারবে না
মনের কথা না বলতে পারলেও স্কিপ্টের সংলাপ তোমাকে দিতেই হবে।
নির্দেশিত প্রতিটি সংলাপে -তোমার কাছা কাছি এই আমি ততটা বেমানান হবো না হয়তো।
প্রিয়া তোমাকে বরণ করতে হবে এই মিথ্যা খেলার শেষ অবদি
মনের কথা না হয় থাকুক মনে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭