শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, গতকালের ছাত্র আন্দোলনে নাকি সেই মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে (একজন পরিচিত সুশিক্ষিত! নারীর ফেসবুক পোষ্ট থেকে নেয়া)।
অনেকেই ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছেন, ছোট-ছোট শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বলেছেন, অনেকে মুমুর্ষ রোগীদের কথাও বলেছেন। আমি নিজেই গাজীপুর থেকে ৯ ঘন্টায় মোহাম্মদপুর পৌছেছি।
আমার প্রশ্ন হলো:
১. যাদের বাচ্চা এখন স্কুলে পড়ে তারা বড় হয়ে সবাই কি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে?
২. চারিদিকে যোগাযোগ মন্ত্রীর জয়গান, এম্বুলেন্স আর প্রশাসনের গাড়ী চলাচলের জন্য দেশে কেন বিকল্প লেন নাই? আর প্রতি ঈদেই তো সারাদেশের সড়ক পথ অঘোষিতভাবে অচল হয়ে যায় তখন রোগীদের জন্য আপনাদের দরদ কই থাকে? তখন কি দরদে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে?
৩. কিছু মানুষকে দেখলাম সাইবার ৭১ এর পেজ এ ১লা বৈশাখের ঘটনাকে ঢাবি'র ছাত্রদের কাজ বলে পুরো ঢাবি'র চৌদ্দগুষ্টির মঙ্গল! কামনা করছে। ভাই একটা দুইটা কুলাঙ্গার প্রতি গ্রামেই/মহল্লায় থাকে, তাই বলে পুরো গ্রাম/মহল্লা খারাপ না।
৪. ঢাবি'র ওয়েবসাইট হ্যাক করে, হোমপেজ না বদলিয়ে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তাদের প্রতি আহবান জানানো যেত।
৫. সকল এমপি-মন্ত্রীদের বোঝা উচিত ছাত্র আন্দোলনকে উপেক্ষা করে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। মিডিয়াতে বড় বড় বয়ান না দিয়ে বুদ্ধিমান কারো পরামর্শ নিন, প্রয়োজনে আন্দোলনরতদের সাথে আলোচনা করুন।
৬. মাল আঙ্কেল বলেছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দৈনিক ১হাজার টাকা খরচ করেন, তার কাছে জানতে চাই, ঐ টাকা কি সরকারী কোষাগার থেকে কোনো এজেন্টের মাধ্যমে আপনার হুকুমে বরাদ্দ হয়, তা না হলে কিভাবে টাকার পরিমান নিশ্চিত হলেন? মাল আঙ্কেলের অবগতির জন্য বলছি আমি নিজেই একজন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যে সেমিষ্টার ফি দিতে না পেরে মাঝপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



