কাবা সম্পর্কেঃ ইসলামে পৌত্তলিকতার কোন স্হান নাই। যখন মুসলমানগন সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে ভাবিয়া থাকেন বা বলিয়া থাকেন তখন তাহাকে নিয়া ভাবিবার সময় বা বলিবার সময়ে কোন বস্তু বা মানব বা অন্য আকৃতি ভাবেন না। এমনকি কোরআন শরীফ খেয়াল করিলে দেখিবেন যে তাহা একটি বিশাল গ্রন্হ এবং তাহাতে সৃষ্টিকর্তা তাহার বান্দাদিগকে নানাবিধ বি্ষয়ে বলিয়াছেন, কিন্ত উহা পড়িবার সময়ে কোন বস্তু বা ব্যাক্তির কথা মনে হ্য় না কেননা কোরআন শরীফে বিভিন্ন বাক্যে ব্যাক্তিবাচ্যের পরিবর্তন সাধন করা হইয়া থাকে, কোথাও আমি, আমরা, তিনি ইত্যাদি ব্যবহার করিয়া, যেন ইহার বক্তার আকার আকৃতি মানব মনে মনে বানাইয়া না লয়। আমার সৃষ্টিকর্তা নিরাকার। সুতরাং ইসলামে কোন ধরনের পৌত্তলিকতার কোন স্হান নাই।
ইসলামে হজ্জের প্রাক্কালে ও নামাজ পড়িবার লক্ষ্যে কিবলার প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে কাবা গুরুত্বপূর্ন স্হান লইয়াছে। মুহম্মদ (সাঃ) প্রথমে কাবার দিকে না ফিরিয়াই সালাত আদায় করিতেন, পরে প্রথমে জেরুজালেমের দিকে ও পরে আয়াত নাজিল হইবার পর কাবার দিকে ফিরিয়া সালাত আদায় করিতেন।
আজিকার সৌদি আরব লইয়া গর্বিত হওবার কিছুই নাই, উহা একখানি রাজতন্ত্র এবং ইসলামে রাজতন্ত্রের স্হান নাই।
ক্রিসমাস সম্পর্কেঃ
ক্রিসমাস একটি প্যাগান উৎসব হইতে আসিয়াছে। প্রাচীন খৃষ্ট ধর্মালম্বীগনদের মাঝে ক্রিসমাস বলিয়া কিছুই ছিল না। ধর্মালম্বীগনকে অসন্মান না করিয়া বলিতে চাই অনেকের মতে ইহা একটি পপুলার মিথ যে 25 শে ডিসেম্বর ইসা (আঃ) এর জন্মতারিখ। প্রথম যুগের খ্রিস্টানগণের মাঝে জন্মদিন লইয়া তেমন একটি আগ্রহ ছিল না। রোমান প্যাগানগণ প্রথম স্যাটার্নালিয়ার সপ্তাহ পালন করিত 17ই ডিসেম্বর হইতে 25শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে রোমান বিচারালয়গুলি বন্ধ থাকিত, এবং বিচারালয় বন্ধ থাকিলে রোমান আইন অনুযায়ী সম্পত্তির ক্ষতি করিলে কাউকে শাস্তি দেওয়া যাইত না। ফলে এই সময়ে প্যাগানগণ আনন্দ ফুর্তিতে মাতিয়া যাহা খুশি তাহাই করিত। ডিসেম্বর মাসের 25 তারিখে এই উৎসব শেষ হইত। এই সময়ে মদ, যৌনক্রিয়া ইত্যাদি অবাধে চলিত। এখনও বিলাত ও জার্মানীতে তখনকার সময়ের মানবাকৃতি বিস্কিটগুলি তৈয়ার হইয়া থাকে।
চার শতকের দিকে খ্রিস্টানগণ প্যাগানদিগকে আকৃষ্ট করিবার লক্ষে এই উৎসবটিকে মানিয়া লয় এবং অনেক প্যাগানদেরকে তাহারা খৃস্টান হইলেও এই উৎসব পালন করিতে পারিবে এই আশ্বাস দিয়া খৃস্টীয় ধর্মে দীক্ষা দিতে সমর্থ হয়।
আবার যেহেতু এই উৎসবের একটি অংশ ছিল নগ্ন হইয়া নাচাকুদা ও দৌড়াদৌড়ি তাই 1466 সালে পোপ দ্বিতীয় পল দ্বারা ইহাকে পুনরুজ্জিবিত করা হয় কেননা এই সময়ে জোর পু্র্বক ইহুদিদিগকে নগ্ন করিয়া দৌড় করান হইত এবং তাহা রোমবাসীর মনোরন্জন করিত।
ম্যাসাচুসেটস্ ইউনভার্সিটি এর ইতিহাস এর অধ্যাপক স্টিফেন নিয়েলসেনবাম এর মতে,
ওহ ৎবঃঁৎহ ভড়ৎ বহংঁৎরহম সধংংরাব ড়নংবৎাধহপব ড়ভ ঃযব ধহহরাবৎংধৎু ড়ভ ঃযব ঝধারড়ৎ
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



