somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি গনপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন অর্গানগুলোতে যদি একের পর এক পচন শুরু হয়ে যায় তবে দেশ ও দেশের মানুষের ভরসা আর কোথায়?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটি রাষ্ট্র যন্ত্রের অনেক গুলো কাঠামোর মধ্যে তিনটি অতিজনগুরুত্বপুর্ন কাঠামো হচ্ছে.........
বিচারকী ব্যবস্হা
শিক্ষাখাত
জনপ্রশাসন

অন্যান্য কাঠামোর সাথে উপরের প্রতিটি কাঠামোগুলোও যদি একই সাথে ভেঙ্গে পড়ে তবে রাষ্ট্রযন্ত্র সুনিশ্চিত ভাবেই অরাজকতার দিকে ধাবিত হয়। দেশের সার্বিক অবস্হা দেখে শুনে মনে হয় আমাদের ঐ তিনটি খাতেই পচন শুরু হয়ে গেছে। ইদানিং অন্যান্য খাতের সাথে এই তিনটি খাতকে নিয়ে যা শুরু হয়েছে তাতে আমারা খুবই শন্কিত ও আতন্কিত।

একজন বিচারক বলতে আগে যে সম্মান জেগে উঠত, শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসত আর সততা ও ন্যায়পরায়নতায় উনারা সমাজের বিবেক, ক্রান্তিকালের ত্রানকর্তা রুপে আবির্ভুত হতেন এখন আর সেরকমটা হয়ে উঠে না বা দেখা যায় না। নিপীড়িত ও অত্যাচারিত অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয় স্হল হচ্ছে বিচারালয়। একজন বিচারককে থাকতে হয় সবসময় নিরপেক্ষ, সব ধরনের স্বার্থের উর্ধ্ধে উঠে তাকে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়। কোনভাবেই কারো দ্ধারা প্রভাবিত বা স্বপ্রনোদিত হয়ে কারো প্রতি অবিচার তারা করতে পারেন না বা কখনই তা করা যাবে না । কথায় আছে বিচারকদের হতে হয় অন্ধ আর বিবেককে রাখতে হয় সদা জাগ্রত।

কিন্তু আফসুস অন্যান্য রাষ্ট্র কাঠামোর সাথে এই জন গুরত্বপুর্ন কাঠমোটিও যেভাবে ধীরে ধীরে কলুষিত হচ্ছে তাতে করে জনগনের শ্রদ্ধা ও আস্হার বিলুপ্তি ঘটছে। আর সেটা দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে এক মহাবিপদের লক্ষনই হিসাবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুবই পরিতাপের সহিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানিং যেভাবে অন্যান্য খাতগুলোর পাশাপাশি এই কাঠামোটিতেও লেজুর বৃ্ত্তি চলছে, তাতে করে এই কাঠমোও যদি একবার ধসে পড়ে তখন পুরো রাষ্ট্র যন্ত্রকে বাচিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হবে।

খুবই পরিতাপের সহিত দেখা যায় যে, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিয়ে আদালতে যে ঘটনাটা ঘটে গেল তা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। একজনের মামলায় আরেকজন ব্যাক্তিকে নিয়ে বিচারকদের অহেতুক মন্তব্য করার কোন প্রয়োজনতা আদো ছিল কিনা বা সেটা তাদের মত লোকদের করা আদো উচিত কিনা তা মহামান্য বিচারকরাই হয়ত ভাল বলতে পারবেন। আর তাকে ঘিরে আইনজীবিরা যেভাবে কলহ দাঙ্গায় ফ্যাসাদে লিপ্ত হলেন, বিচারক বিচারালয়কে কলুষিত করলেন সেটাও মেনে নেওয়া যায়না কোনমতেই। তবে এর সবই পুর্নাঙ্গরুপে বিচার করতে পারবেন রাষ্ট্রের সমস্হ ক্ষমতার মালিক জনগন। একজন খায়রুল হক যেভাবে সংবিধান নিয়ে একের পর এক রায় দিয়ে গেছেন তাতে করে দেশ ও জনগনের মধ্যে যে বিরুপ মনোভাব জন্মেছে আর এরই ফল স্বরুপ দেশে যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে বা হচ্ছে তার দায়ভার কে বা কারা বহন করবে সেটা মনে হয় ভবিষ্যতই ভাল বলতে পারবে।


বিচারকী ব্যবস্হার পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্হাও দেশ ও দেশের মানুষের জন্য একটি গুরুত্ব পুর্ণ কাঠামো। একটি দেশের মেধা মনন নীতি নৈতিকতা আদর্শ এর সবই এখান থেকে অর্জিত হয়। একজন শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীকে এর সবই শিক্ষা দিবেন সর্বোপরি তারা দিবেন ইথিক্স এর শিক্ষা। কিন্তু এই খাতের উপড়ও যেন ভর করেছে এক অশুভ ছায়া। মানুষ গড়ার কারিগররা নিজেরাই যখন অমানুষ হয়ে যান নিজের চরিত্র আর বিবেককে কলুষিত করে ফেলেন তখন জাতি হয়ে পড়ে দিক শুন্য আতন্কিত। পরিমল এর মত অমানুষরা যে ভাবে আমাদের শিক্ষাখাতকে একের পর এক কলুষিত করে চলছে তা থেকে এখনই পরিত্রান পেতে হবে। ঐ সব অমানুষদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে। সোজা কথা এই সেবা খাতকেও অবশ্যই ধংসের হাত থেকে যে ভাবেই হোক এখনই বাচাতে হবে। না হয় জাতি হিসাবে ধ্বংস সুনিশ্চিত।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩২
১৫টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×