আর কত দিন পর শুনবো যে,
বাংলাদেশ = বংগোবন্ধুদেশ,
আক্কাছ আলী = বংগোবন্ধু আক্কাছ,
পতীতালয় = বংগোবন্ধু পতীতালয়,
পাবলিক টয়লেট = বংগোবন্ধুটয়লেট,......।
আচ্ছা, আপনিতো বুদ্ধীমান... আপনিই বলেন, আমরা কি এই ধরনের উন্নয়ন আশা করেছিলাম আমাদের এই সরকারের কাছ থেকে?
আমাদের সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, কিন্তু তারা কি স্বাধীনতার অর্থ ভূলে গিয়ে, স্বাধীন ভাবে গনতন্ত্রকে মুছে ফেলে, স্বাধীন ভাবে দেশটাকে নিজেদের নামে লিখে নিতে চাচ্ছে? সরকার কি বাংগালী জাতীকে ভুলে গেছে?
আপনার কি মনে হয়? এই জাতি কি সরকারের এই নীল নক্সা বাস্তবায়ন করতে দিবে? এই দেশ অনেক শহীদের বুকের তাজা রক্তের স্রোতে এসেছে।
তাই আমি সরকারের কাছে বিনীত নিবেদন জানাই, আপনারা যদি সত্যই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয়ে থাকেন তাহলে দয়াকরে দেশকে এক অনিশ্চত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিবেন না। দেশের আপামর জনগন যে আশা নিয়ে আপনাদের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলো, সেই জনগন কে আপনাদের প্রতি ক্ষিপ্ত করে তুলবেননা। এই জনগন যেমন ৭১ কে জ্বয় করেছিলো, তেমনি প্রয়োজনে তারা আবারও দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের চিরতরে শেষ করে দিতে পারে। তাই আপনারা একটু সাবধান হয়ে যান, নতুবা আপনাদের জন্য এক বিরাট বিপদ অপেক্ষা করছে।
আপনারা দেশের উন্নয়নে কাজ করেন, এই জনগনকে আপনাদের সাথে পাবেন। এখন আমাদের দেশে অনেক বড় বড় সমস্যা আছে যেগুলো আমাদের অগ্রগতী বাধাগ্রস্ত করছে।আপনারা সেই সব সমস্যা সমাধান করেন। আপনারা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের উপর ভর করে থাকবেন না, বরং এই সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনটির প্রতি কঠর ব্যাবস্তা গ্রহন করে জনগনের আস্থা অর্জন করুণ এবং দেশের ছাত্র সমাজকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিন যাতে এই ছাত্ররাই দেশের উন্নয়নে মূখ্য ভুমিকা রাখতে পারে।
দেশের প্রশাসন কে জনগনের নিরপত্তার কাজে ব্যবহার করুণ, তাদের কে সন্ত্রাসীদের সাহায্যের জন্য ব্যবহার করবেন না। নিজেদের জন্য কুয়া খনন করবেননা।
দেশের যুব ছাত্র সমাজকে বিদেশী চক্রান্তের শিকার কোরবেন না। কারণ এই যুব ছাত্ররাই জাতী্য় সমস্যায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করবে।
সত্যিকার আইনের শ্বাসন প্রতিষ্ঠা করুণ, ৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন বাস্তনায়ন করে স্বাধীনতার আসল উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করুণ।
সর্বশেষ, একটা বিষয় মনে রাখবেন, যাদের নির্দেশে দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারাই আপনাদেরকে এই জনগনের সামনে বেহাল অবস্থায় উপস্থাপন করবে।
তাই আসুন এখন ও সময় আছে, আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রাণের মাতৃভূমি কে রক্ষাকরি এবং কিভাবে আমাদের অসহায়, নিপিড়িত মানুষদের মূখে হাসি ফুটানো যায় সেই চেষ্টা করি। আমরা আমাদের আসল কাজ করি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




