এ শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুষ খাওয়া যায়—
সবচেয়ে উঁচু ভবনের ছায়ায় দাঁড়িয়ে,
বুক ভরে—জন্মসূত্রে প্রাপ্ত অধিকার যেন,
কোনো অপরাধ নয়।
লাল গালিচায়,
কেতাদুরস্ত পতাকা বৈঠকে,
এরো প্লেনে,
স্থল, জল, অন্তরীক্ষে,
জন্য, মৃত্যুর শতবার্ষিকীতে,
ঈশ্বরের অজুহাতে—
একটা থালায় রাষ্ট্রীয় রন্ধন।
ঘামহীন কপালে, সিল-মারা ফাইলে—
বৈধতার গন্ধে মোড়ানো অবৈধ ছোঁয়া।
প্রশাসনের পেছনে বাজে নিঃশব্দ চিৎকার—
"এটাই তো রীতি, ভাই!"
আরও কত শত ভাবে—
প্রকাশ্য দিবালোকে
শাপলা চত্বরে,
তিন নেতার মাজারে,
স্বাধীনতার শপথ নিয়ে
ব্যবসার শপিং মলে।
এই শহরে নিশ্চিন্তে ঘুষ খাওয়া যায়,
ঠিক যেন দুপুরে রোদের নিচে ভাত খাওয়া,
না-থাকা অপরাধবোধের শহর এটা।
কিন্তু গাঁজা?
তার গন্ধে কুঁচকে যায় নীতির নাক,
আকাশ থেকে নেমে আসে রাষ্ট্রের করাল থাবা,
এক টানেই জাগে কারাগার, আইন,
আর সমাজের গলাবাজ ন্যায়।
ঘুষ খেলে বাড়ে পদ,
গাঁজা খেলে কমে জীবন।
এই শহরের রাজপথে দাঁড়িয়ে—
একদিন কোনো কবি বলবে:
“আমি একটা পাতার জন্য সাজা খেয়েছি,
আর ওরা লুটে নিয়ে গেলো জীবন।”
তারপর সে নীরবে হেঁটে যাবে—
জিপের জানালায় পেটিতে টাকা গুঁজে হাসা লোকটির পাশ দিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


