Click This Link
গত কালকের প্রধান খবর হল দুদেশের ছিটমহল বিনিময়। যতে ৬৮ বছরে ঝুলে থাকা দু দেশের বেশ কিছু সংখ্যক জনগণ তাদের নিজ নিজ দেশ পেল। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিতে এই ছিটমহলগুলি বিনিময়ের কথা ছিল। তবে ভারতের নানা তালবাহনার কারণে তা হতে এত সময় লাগল। যার ফলে এ ছিটমহলগুলির জনগণ দারুণ কষ্টে এত বছর জীবন যাপন করেছে। তবে এর মাঝে গত কালকের প্রথম আলোর পেছনের পাতার আর একটা সংবাদ হল “ঋণের ৭৫ শতাংশ ফিরে যাবে ভারত “। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক সংবাদ। বাংলাদেশ সরকার যদি তা মেনে নেয় তবে আমাদের দেশের উন্নয়ন কাজের জন্য অন্যান্য সব কিছুর সাথে ইট, বালু, সিমেন্ট আনাতে হবে। অথচ ইট, বালু সিমেন্ট আমরা সয়ংসম্পূর্ণ। আরা শর্ত দেওয়া হেয়েছে, প্রকল্পের পরামর্শক ভারত থেকে নিতে হবে। শিল্প উন্নত দেশগুলি আগে এভাবে আমাদেরকে ঋণ প্রদান করত। তবে এখন তাদের এত কঠিন শর্ত নাই। এখনো কেউ কেই কন্ট্রাকটর এবং পরামর্শক নিযেগে শর্ত দিযে থাকে। যার ফলে ঋণ প্রদানের একট অংশ তাদের দেশে চলে যায়। উদিয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ ভারত এখন আমাদের দেওয়া ঋণ প্রদানের বিভিন্ন রকম কঠিন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। খবরে প্রকাশ আগের ১০০ কোটি ডলারের সমায়ও ভারত এ রকম শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। যা দর কশাকশিতে সরকার কিছুটা কমাতে স্বক্ষম হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সহায়তা কারী ভারতকে আমরা আমাদের বন্ধু হিসাবে পেতে চাই। কিন্তু ভারত কি তা চায়? এ ধরণের শর্ত কি তা প্রমান করে? ভারতের স্বার্থে বর্তমান সরকার অনেক কিছু করেছে। কিন্তু ভারতের শাসক গোষ্ঠি যদি তার মূল্যায়ন না করে তবে তা হবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা আশা করব সরকার দর কশাকশির মাধ্যমে দেশের জনগনের পক্ষে যা করনীয় তাই করবেন।
আমার একটা প্রস্তাব হল এই দর কশাকশিতে ঋণ পরিশোধে একটা শর্ত প্রদান করা। যাতে থাকতে পারে যে বাংলাদেশ সুদ সহ আসল নগদ ডলারে পরিশোধ এর পরিবর্তে আমাদের দেশের পন্যতে পরিশোধ করা। ভারত তার প্রদেয় ঋণ বিপরিতে আমাদর দেশ থেকে তৈরী পোশাক, সিমেন্ট, মেলামাইন বা সিরামিক তৈজস পত্র, জামদানী শাড়ী সহ অন্যান্য জিনস (পাট ছাড়া) আমদানী করবে। ভারত তার নিজের দেশের শিল্পের স্বার্থে এ সব শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। আমাদের সকরকারকেও আমাদের দেশের শিল্পের বিকাশ এবং বেকার জনগোষ্ঠির কর্ম সংস্থানের কথা ভাবতে হবে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে এ ব্যপারটা ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪