somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফকর আলীর অপমানবোধ

১২ ই জুলাই, ২০০৬ সকাল ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফকর আলী আর জবর আলী দুই ভাই। সুজলা সুফলা শ্যামল শীতলা বাংলার এক গন্ডগ্রামে আরামেই কাটত জীবন। ফকর আলী মানুষটা একটু উদাস প্রকৃতির। রাইত হইলেই মনে বেশ ভাবের উদ্রেক হইত, মনটা কেন জানি আনচান কইরা উঠত। কি জানি আসি আসি করত, কিন্তু কিছুই বাইর হইত না। চাপটা মনে না পেটে- এইটাও বুইঝা উঠতে পারত না। কই জানি শুনছিল, বিড়ি-সিগারেট খাইলে নাকি লুজ মোশনের মত ভাব বাইর হইয়া আসে। এইটা শুইনা কয়েকদিন টেরাইও করছিল, কিন্তু গেরামের লোকেরা বড়ই বেরসিক। হেরা কয়, আশে-পালের ঝোপ-জঙ্গল নাকি দুর্গন্ধময় হয়া যাইতাছে ফকর আলীর ভাবের লুজ মোশনের ধাক্কায়। দুর্মূখেরা কয়, ফকর আলীর ভাব নাকি শরীরের নিম্নদেশ দিয়া বাইর হয়। মনের দুঃখে ফকর আলী ঠিক করল, হালার এই গেরামেই আর থাকুম না, ক্ষেত-খামারীর কাম ছাইড়া দিয়া শহরে যামুগা- ওইখানেই গুণের কদর আছে। বাপ-দাদার পেশা ছাইড়া অবশেষে ফকর আলী পাড়ি দিল শহরে। কিন্তু ক-অক্ষর গোমাংস বেচারা ফকর আলী। হেরে কাম দিব ক্যাডা? বহুত কষ্ট-মষ্ট কইরা অবশেষে কাম জোটাইল এক বাড়িতে। কাম বেশি কিছুনা, থালা-বাসন ধোয়া, বাথরুম পরিষ্কার করা, বড় সাহেবের পা টিপ দেওয়া- এইসব আর কি। কিন্তু এই বাড়ির পোলাপান বড়ই ট্যাটনা। বড়ই জ্বালায় বেচারা ফকররে। রাইতের বেলায় কাম- কাইজ সাইরা যখনই একটু ভাবে বসে, পোলাপানের বদমাইশি শুরু হয় তখনই। আইয়া কান মলা দেয়, ঠাট্টা- তামাশা করে, মাইর-ধরও করে যখন তখন। আর গালি-গালাজ তো আছেই। চান্দের দিকে তাকাইয়া যখনই একটু উদাস হয়, বদ পোলাগুলা পিছন দনে আইয়া লুঙ্গি ধইরা টান দেয়। মনের ধুঃখৈ ফকর আলী চিঠি লেখে ভাইয়ের কাছে, "ভাইরে, মনে বড়ই দুঃখ। এইখানে কাজ করিয়া শান্তি পাইতেছি না। ছেলেরা বড়ই জ্বালাতন করে। মার-ধর করে, গালি-গালাজ করে, মাঝে মাঝে কাছা ধরিয়াও টান দেয়, ঠিক মত খাইতে পড়িতেও দেয় না। ভয় হয়, কোন দিন না অপমান করিয়া বসে!"
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বস্তিবাসী সেই অগ্নিকন্যাকে নিয়ে লেখা একটি কাব্যগাথা

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫


ঢাকার আকাশ তখন ধুলোমাখা সন্ধ্যার রঙে ছিল ডেকে
বস্তির সরু গলিতে শিশুদের কান্না
নর্দমার স্রোতের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সেই অন্ধকার জন্মঘরে প্রথম আলো দেখেছিল
এক বস্তিবাসী কন্যা শিরিন
এখনো এক অচেনা নাম
যার ভেতর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাবুল আলীই আমাদের বাংলাদেশের প্রতীক

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭



আপনাদের কি এই ছবিটার কথা মনে আছে? এই বছরের শুরুতে চলতি বছরের জানুয়ারীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×