একদিন মেঠোপথ দিয়ে কোন এক অঞ্চলের জমিদার যাচ্ছেন। পথে দেখা এই খোদার দোস্তের সাথে। সন্মানে ঘোড়া থেকে নেমে আসলেন জমিদার। সালাম দিয়ে দরবেশের কাছে জানতে চাইলেন, বাবা এই যে আমার শরীরে হীরে মুক্তা খচিত জমকালো পোশাক। এটা পরে থাকা অবস্থায় কি আমার এবাদত কবুল হবে?
শুনে দরবেশ কোন জবাব না দিয়ে অট্রহাসি দিতে লাগলেন। হতবাক জমিদার। তার সাথের সবাইও। কারো মুখে কথা নেই। শুধু পেছনের স্তব্ধ প্রকৃতি, পাহাড় আর গাছপালার পটভূমিতে এক জীর্ন পোশাকের দরবেশের আকাশের দিকে মুখ করে সে কি হাসি!
হাসির দমক কমলে জমিদার জানতে চাইলেন, বাবা আপনার হাসির কারন?
দরবেশের জবাব। কুত্তা দেখেছিস? কুত্তা?!!
[গাঢ়]যে কুত্তা নর্দমায়, ভাগাড়ে, পচা গলা লাশের ভিতরে মুখ ঢুকিয়ে রক্ত আর দূর্গন্ধ মাখিয়ে নাড়ি ভুড়ি খায়; ঠিক সেই কুত্তাও যখন পেসাব করে তখন এক পা তুলে পেসাব করে। যাতে তার শরীর নোংরা না হয়। ঐ কুত্তারও বিবেক আছে, আছে পবিত্রতা সম্পর্কে অনুভব। [/গাঢ়]
আর অন্যদিকে তুই মানুষের হক নষ্ট করে, প্রজাদের দেখ ভাল ঠিক মতো না করে চিন্তা করছিস তোর এই পোশাকে এবাদত কবুল হবে কি না?! এরচেয়ে হাস্যকর আর কিছু আছে নাকি।
দরবেশের এই কথায় অঝর ধারায় কাঁদতে থাকে সেই জমিদার। পরবতর্ীতে নিজের রাজ্য, বিত্ত ত্যাগ করে সে শিষ্যে পরিনত হয় দরবেশের।
-------------------------------------------------
গল্প আরো খানিকটা আছে। তবে এইখানে রাস টানি। ব্লগারদের ধৈর্য্য আবার কম কি না!
-------------------------------------------------
অনেকে ভাবছেন এর মধ্যে রাজনীতি কই পাইলা? সাদিক তোমার মাথা গ্যাছে।
-------------------------------------------------
আমাদের দেশের সিজনালী মাথায় পট্টি বাঁধা অথবা চোর বাটপার রাজনৈতিকদের বছর বছর হজ্জ আর ওমরা করতে দেখলে, অথবা মনে করেন লোক দেখানো 2 লাখ টাকার গরু কিনে কোরবাণী দেওয়া আর অন্যদিকে চরম দূনর্ীতি- আমার কিন্তু ভাই তখন এই জমিদার, দরবেশ আর কুকুরের উপমার গল্পটাই মনে পড়ে।
দেশের একটা নেড়ি কুত্তারও যতখানি বিবেক আছে, আমার মনে হয় আমাদের ওমরা আর হজ্জ পালনের বন্যায় ভাসিয়ে ফেলা, হাজী টাইটেল ঝুলিয়ে মানুষ ঠকানো রাজনীতিবিদদের সেইটুকুও নাই। তেনাদের সৌজন্যে ধর্ম একটা রাজনৈতিক সাইনবোর্ড হইয়া গ্যাছে। বলিহারি বাংলাদেশের রাজনীতি আর রাজনৈতিক নেতারা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



