শিরোনাম দেখেই হয়ত অনেকে বলবেন – আর যাই হোক এটা সম্ভব না। কিছুদিন আগে হলে হয়ত আমিও বলতাম একই কথা। কিন্তু এখন আর বলি না। ঘটনাটা শুরু হয়েছিল এভাবে –
কিছুদিন আগে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরির আবেদন করেছিলাম। লিখীত পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। কয়েকদিন পর ফোন করে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকল। এবারের টা হল মোটামুটি। আর একটা শর্ট ইন্টারভিউ দেয়ার পর আমাক তারা ফাইনাল সিলেকসন দিল এবং সাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে আসতে বলল। খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে চলে গেলাম। কাগজপত্র নিয়ে ছুটলাম ধানমন্ডির একটা মেডিকেল সেন্টারে সাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। সাধারনত পরেরদিনই রিপোর্ট দিয়ে দেয়। দুই দিন পার হল, তিন দিন পার হল কোন খবর নেই। চারদিনের দিন নিজেই ফোন করে যা শুনলাম তাতে মাথা খারাপ হবার মত অবস্থা। আমার ই.সি.জি. রিপোর্ট নাকি ভাল আসে নাই। তাড়াতাড়ি ছুটলাম রিপোর্ট দেখার জন্য। দেখলাম রিপোর্টে লেখা – Recent MI (Inferior). Consult with Cardiologist. MI মানে আগে জানতাম না, পরে শুনলাম এটা হল হার্ট এটাক।
ডাক্তারের সাথে এপয়েন্টমেন্ট করলাম।একদিকে শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তা, আর একদিকে চাকরিটা হাতছাড়া হবার আশংকা। ডাক্তার ইকোকার্ডিওগ্রাফি করাতে বললেন। ইকোকার্ডিওগ্রাফির রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বললেন – আপতত ভয়ের কিছু নেই, কিন্তু খুব সাবধান থাকতে হবে। প্রতিদিন হাটতে হবে, মাংস কম খেতে হবে, আর ধুমপান একেবারেই হারাম। তবে চাকরি বাকরি করতে কোন সমস্যা নেই। এবার কিছুটা সস্তি পেলাম। ডাক্তারের রিপোর্ট দেখানোর পর অফার লেটার পেলাম। আর তারপর থেকে ধুমপান পুরোপুরি বন্ধ, হাজার হলেও হার্টের সমস্যা বলে কথা।
আমার বয়স খুব বেশি না। এই বয়সেই যদি হার্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তা আপনার ক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই বলছি – সময় থাকতেই সাবধান হোন। অনেকেই হয়ত বলবেন – অমুক লোককে দেখেছি, চেইন স্মোকার ছিল, কোন সমস্যা হয় নাই। আপনাকে বলছি – এসব অযুহাত দিয়ে নিজের সাথে প্রতারণা করবেন না।
বিভিন্ন কারণে ওই কোম্পানিতে আমার জয়েন করা হয় নি। এখোনো আগের প্রতিষ্ঠানেই আছি।
সিগারেটের সাথে আমার পরিচয় অনেক দিনের। দীর্ঘদিনের এই সঙ্গীকে এবার ছাড়তেই হচ্ছে। আপনিও ছাড়ুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




