আষাঢ় মাসের ভরা নদী- গাঙ্গের নয়া পানি,
বন্ধু তুমি থাকতে যদি খেলতাম নাউ দৌড়ানি।
পূবাল হাওয়ায় মনের সুখে,
গান ধরিয়া পাল উঁড়িয়ে।
জল-তরঙ্গে নাচত হিয়া আসতো যৌবন গতি,
ডুব-সাঁতারে ক্লান্ত হইতাম মন চাইতো যখনি।
পূবাল বাতাস গাঙে তুলে উতাল-পাতাল ঢেউ,
যৌবন সুখে নাচছে পানি একবার দেখে যেও।
তোমার তরে মনটা অবুঝ,
হৃদয় জুড়ে প্রতীক্ষা-সুখ।
কষ্ট-প্রহর মনের ব্যথা বুঝল না হায় সে-ও,
বসন্ত দিন যায় ফুরিয়ে নেয় না খবর কেউ!
কত সাধের এই দুনিয়া! মনের মানুষ ছাড়া,
স্বপ্ন শোকে নির্ঘুম রাত, চোখে শ্রাবণ ধারা!
ঝাপসা লাগে পূর্ণিমা চাঁদ,
গাঁয়ের লোকে দেয় অপবাদ!
অহংকারী আমি নাকি! কারো সাথে মিশি'না,
বলে নির্বোধ-বোকা অনেকে সেতো তার ছেড়া!
কল্প আশায় স্বপ্ন বুনি করবো বসত সুখে
রাখছি কতই ভালোবাসা এই হৃদয়ে পুষে।
দুজন মিলে বাঁধিব ঘর,
ওই পরাণে রাখি অন্তর।
নিত্য-প্রহর তারই ছবি আমার দুটি চোখে,
সাধ মিটে'না একলা ঘরে মরছি প্রেম বিষে।
ঢেউয়ের মত বারে বারে মনে পড়ে বন্ধুরে,
সুখস্মৃতিতে কষ্ট বাড়ে বসলে নদীর পাড়ে।
নাইরে কোথাও সুখের দেখা,
প্রাণের বন্ধু সে-ও বোঝে না!
সাধের সময় যায় বিফলে বন্ধু অনেক দূরে,
মরব যেদিন কাঁদবে সেদিন আসবে তুমি ফিরে।
(ছবিটি গুগলি সার্চে পাওয়া, কৃতজ্ঞতা চিত্রশিল্পীর প্রতি।)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৭