বাংলাদেশের মেয়ে
স্যার বড়ো ছেলেবেলায় আপনি বলেছিলেন,
“কবিতা লেখো সোনা, তোমার চোখের ভাষায় কবিতা
তোমার বুক ভরা আগুন,
তুমি হবে পরের প্রজন্মের বিপ্লবী কবি”
স্যার তখনো পড়িনি রবি ঠাকুরের ‘বাঁশিওয়ালা’
তাই জানা হয়নি আপন পরিচয়
অতঃপর ঘরে-বাইরে, দুঃখ-ব্যথায়, নানান আচারে
আমিও জেনেছি ধীরে,
বিধাতা আমাকেও সময় দেননি মানুষ করে গড়তে
আমারও হয়নি মিল অন্তরে-বাহিরে।
তাই উথাল-পাথাল প্রশ্নের ঢেউ অন্তরে চাপা দিয়ে
বিধাতার বন্দনা করি সামাজিক বিশ্বাসে
চরম অর্বাচীনকে গালি না দিয়ে পেতে দেই গাল
ঘৃণা চেপে রেখে সমীহের সাথে পথ ছেড়ে সন্ত্রাসীকে
নিজের বুকের আগুনে নিজেই পুড়ে হই ছাই
আপনিও কি জানতেন না স্যার
কী ক্ষমাহীন তফাৎ ছোটবেলা আর বড়বেলায়
কবি মাত্রেই বিপ্লবী
বাংলাদেশের মেয়ের সে নিগড় ভেঙে
কবি হওয়া হয় না আর

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




