ফাইনাল পরিক্ষার পর থেকেই চিন্তা শুরু হয়ে যায় যে পরবর্তি সেমিস্টার এর এডভাইজিং কবে হবে এবং কি কি কো্র্স নেওয়া হবে।এডভাইজিং কবে হবে আগে থেকে কেউ ই বলতে পারে না।ব্যাপারটা যেন টপ সিক্রেট, কেউ যানলে বিরাট কান্ড হয়ে যাবে!!
ছুটি শুরুর কিছুদিন পর যেই না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করা হবে, টিকেট কেটে সবাইকে নিয়ে প্রো্গ্রাম করাও শেষ তখন যানা যাবে যে তিন দিন পর অথবা চার দিন পর সেই বহু প্রতিক্ষিত এডভাইজিং। তো সব প্ল্যান মাঠে মারা যায়। এবং শুরু হয় এডভাইজিং এ কি কি কোর্স নেওয়া হবে তার তালিকা প্রস্তুতি।যদি ৩টা কোর্স নেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে তালিকায় থাকে ৮টা কোর্স এর নাম, প্রতি কোর্স এর জন্য ২জন করে পছন্দের টিচার এর নাম, পছন্দের ২টা করে টাইমিং এবং কোন কোন ফ্রেন্ড এর সাথে কোন কোন কোর্স নেওয়া হবে তার বৃত্তান্ত। এটা যেন আরেক পরিক্ষা!! এরপর শুরু হয় এডভাইজিং এর পাসওয়ার্ড নেওয়ার রেলগাড়ির মত বিরাট বিশাল অনন্ত লম্বা লাইন।সেই লাইন এ দাঁড়িয়ে প্রতিক্ষার প্রহর গোনা শেষ করলে এই অপেক্ষা পরিক্ষার ফলাফল হল পাসওয়ার্ড প্রাপ্তি। সেই পাসওয়ার্ড নিয়ে খুশি মনে বাডি ফেরা যাবে ভাবলে ভুল ভাবা হবে।এতো বৈতরনী পার হবার টিকেট মাত্র।এরপর শুরু হয় ফোন এ বন্ধুদের সাথে আলাপ "কোন টিচার ভাল রে? অমুক তো নাম্বার দিতেই চায় না! আমার ফ্রেন্ড কে ফেল করায় দিসে!! তুই কার কাছে ওই সাব্জেক্ট নিচ্ছিস?......"। অনেক আলাপচারিতা আর প্রস্তুতির পর আসে সেই প্রতিক্ষি্ত এডভাইজিং এর দিন। সেদিন তো ব্যস্ততার আর শেষ নাই। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ই ইউনিভা্র্সিটি তে দৌড। এরপর ঝাপাঝাপি করে এডভাইজিং রুম এর সামনে ভিড জমানো এবং যাদের শেষ হয়েছে তাদের কাছ থেকে বিশ্ব জয়ের কাহিনি শোনা "কি কি কোর্স নিলি রে? অমুক টিচার এর ক্লাস এ আর কয়টা সিট খালি আছে?"ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর নিজের এডভাইজিং এর সময় আসলে নির্ভিক চিত্তে রুমের ভেতরে ঢোকা এবং পছন্দের সাব্জেক্ট বা টীচার কোনোটাই না পেয়ে অন্য সাব্জেক্ট নিয়ে মুখকে বাংলার পাঁচ বানিয়ে বের হয়ে আসা। এতো এডভাইজিং রুমের বাইরের সবসময়ের চিত্র।
কি বিড়ম্বনা!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




