আরিফ ভাইয়ের পোস্ট
(মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে তাই পোস্টকারে দিলাম)
আপনি যাদেরকে দানব বলছেন তারা সাই-ফাই সিনেমার মতো ভিনগ্রহ থেকে আগত কোন অ্যালিয়েন না। তারা আমাদেরই কারো সন্তান, ভাই, ভাগ্নে অথবা ভাতিজা। তারাও মানুষ। তারাও আমাদের মত ভূল করে, অপরাধ করে। যে ভুল বা অপরাধের জন্য আপনি তাদেরকে মানব থেকে দানবে নামিয়ে নিয়ে এসেছেন- আপনার এই লেখায় তা যথেষ্ট বোধগম্য হয়নি। আপনার এই লেখা নিছক ক্ষণিকের আবেগ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। যথেষ্ট যুক্তি এবং তথ্যের অভাবে আপনার মত যুক্তিবাদী একজন এক্স সাংবাদিকের এই লেখাটা পুরেটাই খেলো মনে হল।
বর্তমান এই আর্মি ব্যাকড সরকারের অনেককিছু সমর্থনযোগ্য নয় এটা যেমন ঠিক তেমনি আবেগের ফুলঝুড়ি দিয়ে রুপকথার কাব্য রচনা করে তাদের বিরূদ্বে আদাজল খেয়ে নেমে পড়ব এতটা অবিবেচক কি আমাদের হওয়া উচিত যেখানে হাসিনা খালেদার স্বর্ণযুগের সোনালী দিনগুলির স্মৃতি এখনো তরতাজা।
সত্য যত কঠিনই হোক, পরিণতি যত ভয়ংকর হোক- সেটা প্রকাশ করতে যারা শুভানুধ্যায়ীর পরামর্শে পিছুপা হয়, তাদেরকে আমি ঝোপ বুঝে কুপ মারা সুবিধাবাদী ছাড়া আর কিছুই বলব না।
আমাদের লজ্জাশরম আসলে হয় কম অথবা আমাদের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দূর্বল। নাহলে যাদের জন্য বাব বার চ্যাম্পিয়ন হই তাদের জন্য আমাদের অন্তর এত হাহাকার করত না (আপনাকে মিন করি নাই, হাসিনা খালেদার জন্য জেলের তালা ভাঙ্গার শপথ দেখে মনে পড়ল) । ক্ষমতায় যেতে হরতালকে সফল করতে ভয় তৈরির জন্য বাসের ভেতরে সাধারণ যাত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মানব কয়লা বানিয়ে ফেলা; অফিস যাত্রীকে ন্যাংটা করে রাস্তায় ছেড়া দেয়া; সরকারের সমর্থক সংসদ সদস্যর প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র প্রদর্শন, ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সাথে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের ঘনিষ্ট যোগাযোগ,মন্ত্রী- প্রধানম্ত্রীর ছেলে সদলবলে মিছিল সহকারে প্রতিযোগীতার মনোভাব নিয়ে দূনীতিতে ঝাপিয়ে পড়া....; প্রকাশ্যদিবালোকে পিঠিয়ে মানুষ হত্যা..সবকিছু আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই হরতালের দিন সময়মতো হাসপাতালে যেতে না পেরে কত সাধারণলোক যে মারা গেছে তাদের কথা। আরিফ ভাই আপনার হয়ত সমস্যা হয়নি-
কারণ সাংবাদিকের গাড়ী হরতালে আওতামুক্ত থাকে ।
যাইহোক..হেলমেট না পরে বাইক চালানো কার জন্য বিপদজনক? অবশ্যই যে বাইক চালায় তার জন্য। বয়স্ক লোকের কান ধরে উঠবস করাটা আবেগের দৃষ্টিতে খারাপ লাগে। যুক্তিতে গেলে হয়ত উল্টাটা। ঐ ভদ্রলোকের শাস্তি দেখে অন্তত কয়েকজনলোক যদি লজ্জা পেয়ে নিয়মিত হেলমেট পরে...সেদিকটা কি আপনি চিন্তা করে দেখেছেন?
( প্রসঙ্গত উল্লেখ করি, বছর কয়েক আগে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক মন্ত্রীকে পুরো পোষাক খুলে অ্যামেরিকার অ্যায়ারপোর্টে তল্লাশী করা হয়েছিল- এটার উদ্দেশ্য কি ছিল, নিছক অপমান না কি অন্যকিছু?)
তাসনিম খলিলের ব্যাপারটি দূ:খজনক। নেটে প্রতিদিন নামে বেনামে সরকারে বিরুদ্বে কতকিছু প্রকাশিত হচ্ছে। তাদের পরিণতি তাসনিম সাহেবের মত হচ্ছে বলে শুনিনি। আপনার জানা থাকলে কাইন্ডলি জানাবেন।
সবশেষে আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি নিজের অজান্তে কোনভাবে আপনাকে কষ্ট দিই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





