দেশের বাইরে এক অর্ডারের কাপড়চোপড় প্যাকেটবন্দী করার সময় মরিয়া হয়েই ছোট্ট এক কাগজে নিজের অবস্থার কথা ও ঠিকানা লিখলেন গাজী। একটি সার্টের ভাজের ভেতর লুকিয়ে দিলেন তার বাঁচার আকুতি।
সমুদ্র পেরিয়ে সে কাপড় পৌছুল জার্মানীর এক মফস্বল শহরে। একটি সার্ট কিনলেন এক জার্মান তরুনীর তার বাবার জন্মদিনের উপহার হিসেবে। বাবা সার্ট পড়তে গিয়ে খুঁজে পেলেন সেই কাগজ। দুরদেশের এক অসহায় যুবকের দুর্ভাগ্যের কথা ভেবে সিক্ত হলো মন। গাজীকে সমবেদনা জানিয়ে চিঠি লিখলেন।
তারপর শুরু হল চিঠির যোগাযোগ। সে যোগাযোগ আন্তরিকতায় পরিনত হবার পর গাজী নিমন্ত্রন জানালেন দম্পতিকে। পৃথিবীর আরেক প্রান্তে তারাও বাংলাদেশের কোন এক অজ পাড়াগায়ে আতিথ্য গ্রহন করলেন গাজী পরিবারের। হতদরিদ্র গাজী তার অন্তসত্বা স্ত্রী সমস্ত সাধ্য দিয়ে আপ্যায়ন করলেন দু্থজনকে। আনন্দ ও নিবিড়তার মাঝে সময় কাটানোর পর একদিন অশ্রুসজল চোখে ফিরে এলেন এ দম্পতি তাদের নিজেদের দেশে।
এখানকার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশ নেন এই দম্পতি। বাংলাদেশের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে অশ্ত্রসজল তাদের চোখ। গাজী পরিবারের আতিথেয়তা তাদেরকে স্পর্শ করেছে, সে সময়টুকু ভিডিওক্যামেরায় ধারণ করেছেন। তার টুকিটিকি দেখালেন। বাংলাদেশের গ্রাম তাদের ভাল লেগেছে খুব। ঢাকা শহর ভাল লাগেনি একেবারেই। তাদের ধারনা, শহরবাসী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কি, সেটাই হয়তো জানেন না।
--ছবিটি টিভি সাক্ষাতকারের সময় তোলা। বা্থদিকের দু্থজন এই দম্পতি, ডানে এর পরিচালক--
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



