somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্পষ্টকথন: এই গনতন্ত্র চাইনা

৩০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চাইনা আওয়ামী লীগ, চাইনা বিএনপি, চাইনা জামাত। মুক্তির পথ গনতন্ত্র হলেও, চাইনা বাংলাদেশের এই গনতন্ত্র। বাংলাদেশের এই গনতন্ত্র এখন ধাপ্পাবাজীর গনতন্ত্র। এই গনতন্ত্র শোসনের গনতন্ত্র। এই গনতন্ত্র এই অসৎ গনতন্ত্র । এই গনতন্ত্র ক্ষমতার হাত ধরে সাধারণ মানুষকে শোষনের পথকে আরো বেশী সুগম করে দেয়। এই গনতন্ত্র কিছু রক্তচোষা পরিবারের সম্পদবৃদ্ধির সহায়ক, যাদের হাতে এখন সারা দেশ কব্জাবন্দী। এই গনতন্ত্র সন্ত্রাসী গনতন্ত্র। পাকিন্তানী আমলে ছিল বাইশ পরিবারের শোষন ও সন্ত্রাস, এখন সে শোসক ও সন্ত্রাসীর সংখ্যা আরো কয়েকগুন বেশী। এ জন্যে স্বাধীন হয়নি দেশ, এ জন্যে ঝরেনি তিরিশ ল শহীদের রক্ত।

খালেদা-ইয়াজ চাইনা, চাইনা হাসিনা-জলিল, চাইনা নীজামী। হাসিনা, খালেদা সব সমান পাপী, এরা সবাই শোষক। কিছুই আসে যায়না, ভোটে খালেদা জিতল, না হাসিনা জিতল, কে কার সাথে জোট করল। নীজামী জোটে এল কি না এল, তাতে সাধারণ মানুষের কোন চাওয়ার প্রতিফলন নেই। এরশাদ কোন জোটে গেল, এতে কারো পেটে একবেলা বেশী ভাত জুটবে না। এ হলো শোষকদের, অসৎদের, খুনীদের রাজনৈতিক দাবার চাল। কার ভাগে কতো বেশী পড়বে, এ চালে তার হিসেব নিকেশ হয়, সাধারণ মানুষের ভাগ আগের মতোই অপরিবর্তিত শুন্য। এই দাবার চালে শত শত মানুষ মরে, মায়েদের, বাবাদের, শিশুদের কান্নায় আকাশ ফাটে, আমরা হাহুতাশ করি, কিন্তু এতে এই ভুয়া রাজনীতিবিদদের কিছুই যায় আসে না। কখনো বিএনপি পিস্তলের গুলিতে মানুষ হত্যা করে, আওয়ামী লীগ করে পিটিয়ে, জামাত কারো গলার রগ কেটে। এরা সবাই হত্যাকারী, এরা সবাই শোষক, প্রতারক ও সন্ত্রাসী।

হয়তো ইয়াজুদ্দিন আপাত: শান্ত করবেন দেশ। এমনও হতে পারে, হাসিনা তার হরতাল, অবরোধ আন্দোলনে আবার গদীতে বসার পথ বের করে নেবেন। এমনও হতে পারে, ইয়াজুদ্দিনএর সাহায্যে আবার খালেদা তথা বিএনপিই গদী জাপটে ধরায় সফল হবেন। এমনও হতে পারে যে সেনাবাহিনী দখল করবে শাসনভার। কিন্তু ফলাফল সেই একই রয়ে যাবে। আবারো আরো কিছু শোসক পরিবারের পত্তন ঘটবে, আরো কিছু সাধারন মানুষ প্রান দেবে, আরো কিছু পবিবার হারাবে তাদের সর্বস্ব। এই গনতান্ত্রিক পরিবর্তন সেই পরিবর্তন নয়, যাতে সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার সামান্যতম প্রতিফলও এতে দেখা যেতে পারে।

সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন তখনই ঘটবে, যেদিন দলমতনির্বিশেষে মানুষের ঢল নামবে জনপদে। জনস্রোতের ধারায় ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত ও তাদের তোষামোদকারী পাতি রাজনৈতিক অস্তিত্বগুলো। জনস্রোতের আগুনে পুড়বে শোসকদের দালানকোঠা ও চোরাই কোষাগার। নতুন কোন গনতান্ত্রিক শপথে আবারো মুক্ত হবে দেশ। আত্ম, সমাজ ও রাজনৈতিক শুদ্বিতে শুদ্ধ হবে মাটি, সমাজ ও শহর বন্দর। সেখানে অসৎ রাজনীতি, বাজনীতিবিদ ও তোষামোদকারীদের কোন স্থান থাকবে না; তাদের ঝেটিয়ে পাঠানো হবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। সে সময় হয়তো এখনো আসেনি, কিন্তু আসবে কোন আগুনঝরা দিনে। আসুন আমরা তারই অপেক্ষায় থাকি ও তারই সন্ধান ও গঠনে আমাদের শিক্ষা, মনন, চিন্তাশৈলী ও বোধকে প্রসারিত করি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৯
৪১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×