বিশ্বাস বা তর্কের কারনে নয়, নিজস্ব উপলব্ধির প্রভাবেই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি। তবে এ ঈশ্বর খ্রীষ্টানদের ঈশ্বর নয়, যেখানে যীশুকে ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে সমকক্ষ করা হয়, এ ঈশ্বর আমাদের ঈশ্বরও নয়, যেখানে হযরত মুহম্মদ ও কোরানের বানী প্রায় ঈশ্বরেরই সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। এ বিশাল অসীমের মাঝে আমাদের সৌরজগতই যেখানে অতি ক্ষুদ্র, সেখানে মানুষ হিসেবে আমাদের আমাদের অস্তিত ক্ষুদ্রাতিুদ্র। এ সবকিছুর মূলে আছেন সে ঈশ্বর। তার আকার, শক্তি, ক্ষমতার প্রতি কারো অতি সামান্যতম ধারণা থাকার কথা নয়। যদি তাকে বলি সর্বশক্তিমান, তাহলেও অনেক কম বলা হবে। কারণ সর্বশক্তিমান কথাটিই আমাদের মানবজগতের মাত্রিকতার মাঝে সীমাবদ্ধ। আমাদের সীমাবদ্ধ মাত্রিকতা দিয়ে এ ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করা আমাদরে ক্ষমতার আওতায় পড়ে না। তার বিশালতার কাছে আমরা প্রতিটি মানুষ আমাদের অতি ুক্ষুদ্রতার কারণেই সমান।
তারপরও মানবজাতিকে এ ঈশ্বরের কাছাকাছি আনার জন্য, তার অস্তিত্বকে স্বরণ করিয়ে তাদেরকে মানবিকতার পথে আনার জন্যে নানা সময়ে নানা চিন্তাবিদ ও মহাপুরুষ এসেছেন পৃখিবীতে। বিভিন্ন পথে তারা একই ঈশ্বরকে মানুষের সামনে দাড় করানোর চেষ্টা করেছেন। কেউ এনেছে একেশ্বরবাদ তত্ব, কেউ বহু ঈশ্বরের কথা বলেছেন, কেউ পৌত্তলিক প্রতীক সামনে দাড় করিয়েছেন। পথ ভিন্ন হলেও সবারই উদ্দেশ্য অভিন্ন। তারা সবাই নমস্য মহান মহাপুরুষ, তবে অতিমানব নন। তাদের কাছেও আমরা অতি সাধারণ, ুক্ষুদ্রাতিুদ্র। তারপরও আমরা সবাই চতুমাত্রিকতার হিসেবে সময়ের কাছে পরাজিত। একে বশে আসার কোন ক্ষমতা আমাদের নেই। যেহেতু কথিত মহাপুরুষেরা সবাই মানুষ, তাদেরও সে ক্ষমতা থাকার কথা নয়। তাদের প্রতিটি বানীই সময়নির্ভরতা থেকে মুক্ত, একথা ভাবার তাই কোন কারণ খুজে পাই না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ ভোর ৪:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



