
facebook e শেয়ার করতে ভুলবেন না
ওদের অপরাধ পার্কের উল্টো পথ ধরে হেঁটেছিল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ইংলিশ মিডিয়ামের চার ছাত্রকে বেদম পেটালেন অবসরপ্রাপ্ত তিন সেনা কর্মকর্তা। খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটানোর পর চোর সাজিয়ে পুলিশে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারার ডিওএইচএসের পার্কে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। ডিওএইচএস পরিষদ গতকাল শুক্রবার এ বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বৈঠক করেছে। সেখানে দুঃখ প্রকাশ করেন অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তা। সেনা কর্মকর্তাদের বেধড়ক পিটুনির শিকার স্কলাসটিকার 'এ' লেভেলের ছাত্র মুশফিকুর, ফাহাদ হোসাইন, পৃথু আমিন ও তাসবীর ইসলাম।

ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি মোঃ সালাউদ্দিন সমকালকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি জানার পরপরই পুলিশ সেখানে যায়। সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তারা মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ছাত্রদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পরিষদের নেতৃবৃন্দ বসে বিষয়টি আপাতত মীমাংসা করেছেন। স্কলাসটিকা স্কুল ও কলেজের ছাত্র মুশফিকুর রহমান জানায়, সে পরিবারের সঙ্গে বারিধারার ডিওএইচএসের ১ নম্বর সড়কের ১৫৯ নম্বর বাসায় বসবাস করে। তার বন্ধু ফাহাদ হোসাইন, পৃথু আমিন ও তাসবীর ইসলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের বাসায় আসে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর সোয়া ৮টার দিকে তারা পার্কে বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় পার্কে বেড়াতে গিয়েছিল তারা। চার বন্ধু পার্কের উল্টো পথ ধরে হাঁটতে থাকে। অন্যরা ক্লকওয়াইজ দৌড়ে ব্যয়াম করছিল। উল্টো ঘুরতে দেখে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাকির হোসেন এগিয়ে এসে বকাঝকা শুরু করেন তাদের। এতে তারা দুঃখ প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জাকির। এক পর্যায়ে মারধর শুরু করেন। একটু পরে ডিওএইচএসের প্রশাসনিক প্রধান লে. কর্নেল (অব.) আজিজুল আশরাফসহ আরও একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে যান। চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে পার্কের পাশে ব্যারাকে নিয়ে যান। সেখানে রশি দিয়ে তিন জনকে (মুশফিক ছাড়া) বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। কেউ কেউ চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ বিষয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তাদের পাওয়া যায়নি।
মুশফিকুর আরও জানায়, খবর পেয়ে তার মা মাসুদা রহমান ও প্রতিবেশী ধুতি নামে এক নারী এলে ওই সেনা কর্মকর্তারা তাদেরও গালমন্দ করেন। পিটুনির শিকার চার ছাত্রই স্কলাসটিকার 'এ' লেভেলে পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ফাহাদ ও পৃথুর বাসা উত্তরায়, তাসবীরের বাসা বনানীতে।
ফাহাদ জানায়, এ ঘটনার কিছু সময় পর পুলিশ আসে। তখন গাড়ির গ্গ্নাস চুরি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের কাছে তারা বলতে থাকেন, ওরা (চার ছাত্র) নেশাখোর। সবার পরিবারের লোকজন আসায় তাদের পুলিশে দেওয়া হয়নি। ঘটনার সময় দুই সাবেক সেনা কর্মকর্তা তাদের কাছে জানতে চান, 'তোর বাবারা কোন র্যাঙ্কের। তোরা কেন এখানে এসেছিস? তোরা এখানকার ফ্ল্যাট ওনার? না-কি ভাড়া থাকিছ?'
ফাহাদ আরও বলে, 'মারধরের এক পর্যায়ে এক কর্মকর্তা নিরাপত্তাকর্মীদের বলেন, ওরা মুরুব্বীদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। ওদের শেষ করে ফেল। এ সময় আমরা খুব ভয় পাই। হঠাৎ করে আমিনবাজারের ছয় ছাত্র মারা যাওয়ার কথা মনে পড়ে।'
তাসবীর সমকালকে জানায়, 'রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মায়ের কাছে ফোন করি। এ সময় লোহার রড দিয়ে এক সেনা কর্মকর্তা ও সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম আমাকে আঘাত করে। আবদুস সালামসহ ৩০/৪০ নিরাপত্তাকর্মী আমাদের বেদম মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে আমাদের চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়। এ সময় দুই সেনা কর্মকর্তা বলতে থাকে, ওরা নেশাখোর। ওদের চোখ লাল।'
এ ঘটনায় গতকাল সকালে ডিওএইচএসের পরিষদ কার্যালয়ে এক সালিশি বৈঠক করেন পরিষদের কর্মকর্তারা। ছাত্র, তাদের অভিভাবক ছাড়াও পরিষদের সভাপতি, কর্মকর্তা, মারধরকারী দুই কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তাসবীরের বাবা কামরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, 'বিষয়টি মীমাংসা হওয়ায় আপাতত তারা মামলা করেননি। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। সামান্য ঘটনায় নৃশংসতা মেনে নেওয়া যায় না।'
বৈঠকের পর পরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) কাজী আশফাক আহমেদ বলেন, জড়িত নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশা করি facebook e শেয়ার করতে ভুলবেন না
░░░░░░░░░░░░▄▄░░░░░░░░░░░░░░ ░░░░░░░░░░░█░░█░░░░░░░░░░░░░ ░░░░░░░░░░░█░░█░░░░░░░░░░░░░ ░░░░░░░░░░█░░░█░░░░░░░░░░░░░ ░░░░░░░░░█░░░░█░░░░░░░░░░░░░ ██████▄▄█░░░░░██████▄░░░░░░░ ▓▓▓▓▓▓█░░░░░░░░░░░░░░█░░░░░░ ▓▓▓▓▓▓█░░░░░░░░░░░░░░█░░░░░░ ▓▓▓▓▓▓█░░░░░░░░░░░░░░█░░░░░░ ▓▓▓▓▓▓█░░░░░░░░░░░░░░█░░░░░░ ▓▓▓▓▓▓█░░░░░░░░░░░░░░█░░░░░░ ▓▓▓▓▓▓█████░░░░░░░░░██░░░░░░ █████▀░░░░▀▀████████░░░░░░░░ ░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░ ░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░░
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





