somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ আক্ষেপ

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্বপ্ন অনেকের কাছেই খুব তুচ্ছ একটা ব্যাপার। কিন্তু আমি স্বপ্ন নিয়ে রীতিমত গবেষণা করি। আমার কাছে ভালো লাগে। আপনারা খেয়াল করে দেখেছেন কিনা জানি না, আমি রিসার্চ করে দেখেছি, কোন একটা বিষয় নিয়ে আমি যদি খুব গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করি তাহলে দু’চার দিনের মধ্যে ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটা স্বপ্ন দেখে ফেলি।
আপনার কি এমন হয়?
হয়, তাই না?
আমার মনে হয় এমন স্বপ্ন মোটামুটি সবাই-ই দেখে। কিন্তু সকাল বেলাতেই সবাই ভুলে যায় বলে কাউকে আর বলা হয় না।
আমি অবশ্য স্বপ্নগুলো একবারে দেখি না। ভাগে ভাগে দেখি। অনেকটা ধারাবাহিক নাটকের মত। এই যেমন গত সোমবার আমি দেখলাম অফিস পৌছাতে আমার লেট হয়ে গেছে। হাতে আর সময় নেই। আর সময় মত অফিসে পৌছাতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
বারবার ঘড়ি দেখতে দেখতে আমি অফিসের দিকে দৌড়াচ্ছি। দৌড়াচ্ছি কারণ রাস্তায় যত গাড়ি ঘোড়া আছে তার কোনটাতেই আমি উঠতে পারছি না। সবগুলো বাসে উপচে পড়া ভিড়। কোন রকমে একটা বাসের গেটে হাতল ধরে খানিকক্ষণ প্রচণ্ড কষ্ট করে ঝুলে থাকার পর আবিষ্কার করলাম বাসটা আসলে জ্যামে আটকে আছে। আর কী সেই জ্যাম! এদিক থেকে ওদিক, যেদিকেই তাকাই শুধু গাড়ি আর গাড়ি। সব থেমে আছে। নড়াচড়ার কোন লক্ষণই নেই। কি বিপদ!
আমি এক সময় বাস থেকে নেমে দৌড়াতে শুরু করি। কারণ বসে থাকলে চলবে না। যে করেই হোক আমাকে ঠিক সময়ে অফিসে গিয়ে পৌছাতেই হবে। ঠিক সময়ে অফিসে না পৌঁছালে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
আগের অফিসে আমি একবার লেট করে অফিসে গিয়েছিলাম। এরকম অনেকেই যায়। কারো কিছু হয় না। আমার চাকরীটা চলে গেল। কি কারণে সেটা জানতেই পারলাম না।
সে অফিসের অ্যাকাউন্সের জিএম মুহিত সাহেব যে দুই নাম্বারি করে কোম্পানির লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেটা আমিই প্রথম ধরতে পারি। যদিও কথাটা প্রথমে আমি কাউকে বলিনি। অবশ্য বলবই বা কাকে? ছোটবেলা থেকেই আমি একটু একা একা থাকতে পছন্দ করি, অফিসেও একা একাই থাকতাম। যেদিন ব্যাপারটা আমার চোখে পড়ে ঠিক তার এক সপ্তাহ পরে সমস্ত প্রমাণাদি সহ চেয়ারম্যান স্যারের কাছে একটা চিঠি লিখে পাঠিয়ে দেই।
আমার আশা ছিল, চেয়ারম্যান স্যার খুশী হয়ে আমাকে হয়তো পুরস্কৃত করবেন। সেই আশার গুঁড়ে শুধু বালি না, বালি মাখানো গুঁড়ের ওপর দিয়ে ট্যাঙ্ক চালিয়ে দেয়া হল। চাকরীটা তো আমার গেলই, উল্টো আমার নামে অভিযোগ তোলা হল যে আমি নাকি অফিসের টাকা মেরে দিয়েছি। সেই অভিযোগে পুলিশ এসে একদিন আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেল।
এমনিতেই আমি এতিম, ভাইবোন নেই। তাছাড়া বলার মতো আত্মীয় স্বজনও নেই। আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন ছোটবেলাতেই। মা-ই আমাকে কিছুদিন আগলে ধরে রেখেছিলেন। আমার মা-র আয়ুর জোর ছিল না বলে আমাকে একা রেখেই চলে গেলেন একদিন। আমার মত একটা বোকাসোকা ছেলেকে পৃথিবীতে একা ফেলে যেতে মা-র খুব কষ্ট হয়েছিল সেটা আমি বুঝতে পারি। কিন্তু আয়ুর অপর তো আর জোর খাটানো চলে না। সময় হলে যেতেই হবে। এটাই নিয়ম।
মা বেঁচে থাকলে হয়তো কিছু একটা ব্যাবস্থা করতে পারতেন। গ্রামে থাকতে শুনেছিলাম আমার দূর সম্পর্কের এক মামা নাকি মন্ত্রী ফন্ত্রী টাইপের কিছু একটা ছিলেন। কিন্তু গরীবের বড়লোক আত্মীয় থাকা-না থাকা সমান কথা। ফলে কেউ আমার খোঁজ খবর করলো না। কিন্তু আমার ভাগ্য ভালো বলতে হবে। কারণ দু’মাস পর পুলিশ আবার আমাকে ছেড়েও দিল। বড়ই বিচিত্র এই দেশ। কোন কিছুরই ঠিক নেই।

যাক, আবার স্বপ্নে ফিরে আসি। দৌড়ে কখনো অফিসে পৌঁছানো সম্ভব না। তা-ও ফার্মগেট থেকে মতিঝিল। যদিও স্বপ্ন দেখার সময় সেটা মনে থাকে না। স্বপ্নে কত কিছুই না সম্ভব হয়ে যায়! ভাবতে ভালোই লাগে।
আমারও ভালো লাগছিল যখন দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে আমি অফিসের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। ওইতো অফিসে ঢোকার সিঁড়িটা দেখা যাচ্ছে! কিন্তু একী! সিঁড়িতে পা দিতে না দিতেই হঠাৎ করে সিঁড়িটা পিছলে যেতে শুরু করলো এস্কেলেটরের মতো। আমি যত দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে ওঠার চেষ্টা করি ওটাও তত দ্রুত ঘোরা শুরু করে। শেষমেশ এক লাফে ওটা পার হয়ে যাওয়ার চিন্তা করে দূর থেকে বিশাল একটা হাই জাম্প দিলাম। লাফ দিয়ে ঝপাং করে পড়লাম বিশাল এক পুকুরে। কিভাবে যেন অফিসের চারপাশে একটা পরিখা তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু এই পরিখার সামান্য পানি আমাকে অফিসে পৌছাতে বাধা দিতে পারবে না। আমাকে যে করেই হোক অফিসে পৌছাতেই হবে। না হলে খুব সমস্যা হয়ে যাবে।
দু’মাস জেল খেটে বের হবার পর অনেক দিন বেকার ছিলাম। শেষ দিকে হাতে টাকা পয়সা কিছুই ছিল না। মেসের ভাড়া বাকি পড়েছিল অনেক। খেয়ে-না খেয়ে কোন রকমে দিন পার করছি। তখন আবার শীতকাল। ঢাকায় এমনিতে শীত তেমন একটা পড়ে না। কিন্তু কপালে দুঃখ থাকলে সেটা ঠেকাবার সামর্থ্য কার আছে?
আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়ার জন্যই বোধহয় সেবার হাড় কাঁপানো শীত পড়লো। অনেকদিন ধরেই একটা লেপ কেনার কথা ভাবছিলাম। টাকা জমাতে পারিনি বলে আর কেনা হয়ে ওঠেনি। তাতে এক দিক দিয়ে অবশ্য ভালোই হয়েছে। কারণ আমার এই দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে আমি চরম একটা সত্য আবিষ্কার করলাম। মানুষের একটা কষ্ট আরেকটা কষ্ট দিয়ে কাটাকাটি হয়ে যায়। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? বুঝিয়ে বলছি। ধরুন আপনি দু-তিনদিন ধরে কিছুই খাননি। পেটের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এই অবস্থায় আপনি যদি একটা ফুল হাতা শার্ট আর ফুল প্যান্ট পড়ে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ছাদে শুয়ে পড়েন তাহলে একটা সময় পরে আপনি ক্ষুধা বা শীতের কষ্ট কোনটাই টের পাবেন না। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখুন আমি সত্য বলছি কিনা!
আমি তা-ই করতাম। রাতের বেলা বড় এক জগ পানি খেয়ে আমি চুপচাপ ছাদে চলে যেতাম। চাদর বিছিয়ে, শরীরটা একটু ভাঁজ করে শুয়ে পড়তাম। শীতকালে এমনকি ঢাকাতেও চমৎকার আকাশ দেখা যায়। চাঁদনী রাত হলে তো কথাই নেই। ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ আর ঝিকমিকে তারা দেখতে দেখতে আমি সব কষ্ট ভুলে যেতাম। গভীর রাত পর্যন্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমি আমার শৈশবে ফিরে যেতাম।
আমার বাবা ছিল না। মা-ই আমাকে বহু কষ্টে বড় করেছেন। অবশ্য বেশীদিন তাঁকে কষ্ট করতে হয়নি। কলেজে থাকতেই আমাকে আগলে রাখা একমাত্র মানুষটা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। আমি কখনো কোন কষ্ট পেয়ে কাঁদিনি। মা মারা যাবার দিনও না। তবে আসরের ওয়াক্তে মা-কে কবর দিয়ে আসার পর সন্ধ্যায় খুব কেঁদে ছিলাম। কাঁদলে দুঃখ কমে কথাটা বোধহয় সত্যি। কাঁদতে কাঁদতে শেষ রাতের দিকে আমি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। চমৎকার ঘুম হয়েছিল সে রাতে।

(২)
এভাবেই আমার স্বপ্নে আমি সাত সমুদ্র তের নদী পার হতে থাকি, আমার আর সময় মত অফিসে পৌঁছানো হয় না। কারণ কিছুদিন পরপর আমার সমস্যা পাল্টায়। সাথে সাথে আমার স্বপ্নও পাল্টে যেতে থাকে। আর এই অফিসেও যে কত রকমের ঝামেলা হয়!
এই যে গত সপ্তাহে আধা ঘণ্টা লেট হয়ে গেল অফিসে পৌছাতে - এটাও তো একটা সমস্যা, তাই না?
ভাগ্য ভালো, এবার অবশ্য চাকরী যায়নি। তাছাড়া দোষটাও আমার না। আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম সেই সকাল বেলাতেই। সকালে গোসল সেরে মেসের বুয়ার রান্না করা নাস্তা খেয়েই আমি বেরিয়ে পড়ি। রাস্তায় অসংখ্য অফিসগামী মানুষের ভিড়ে আমি দ্রুত মিশে যাই। আমার বেশ ভালো লাগে এই সময়টা। আশেপাশে যাকেই দেখি, বড় আপন লাগে। এরাই ঘুরে ফিরে আমার স্বপ্নে আসা যাওয়া করে। সবার সাথেই এক ধরনের আত্মীয়তা হয়ে গেছে আমার।
সেদিন অফিসে যাওয়ার পথে দেখি এক লোক রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে পড়ে আছে। সারা গা রক্তে মাখামাখি। তাঁকে সাহায্য করতে বাস থেকে নেমে গিয়েছিলাম সাথে সাথেই। লোকটাকে সবাই মিলে ধরাধরি করে একটা গাড়িতে তুলে দিলাম হাসপাতালে নেয়ার জন্য। অবশ্য তাতেও লেট হতো না। কিন্তু ভিড়টা কমে যাবার পর পকেটে হাত দিয়ে দেখি মানিব্যাগটা কে যেন নিয়ে গেছে। যদিও পকেটে বেশী টাকা ছিল না। কিন্তু বাকীটা রাস্তা হেঁটে যেতে হল বলেই দেরি হয়ে গেল।
এই যে অফিসের নানা বিপদ আপদ নিয়ে দিন রাত চিন্তা ভাবনা করার জন্য আমি এসব উদ্ভট স্বপ্ন দেখছি – হঠাৎ করেই একদিন এই ব্যাপারটা নিয়ে একটা চিন্তা খেলে গেল আমার মাথায়। আচ্ছা, অফিস নিয়ে এতো চিন্তা ভাবনা করি বলেই তো সেসব আমি স্বপ্নে দেখি , তাই না? তাহলে কি স্বপ্নে আমি কি দেখবো সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
দেখা যাক! যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। আমি দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়লাম। মিশনের একটা নাম দেয়া দরকার ছিল। একটা কাগজে বড় বড় করে “হোমমেড ড্রিম প্রজেক্ট” লিখে খাটের সামনে দেয়ালে লাগিয়ে দিলাম।
প্রথমেই প্রশ্ন দেখা দিল স্বপ্ন দেখবোটা কি নিয়ে। ভালো একটা সাবজেক্ট না হলে ইন্সপিরেশন আসবে না। অনেক ভেবেচিন্তে বের করলাম, কলেজে পড়ার সময় অনামিকা নামে একটা মেয়েকে আমি খুব ভালবাসতাম। যদিও মেয়েটাকে কখনো কিছু বলে ওঠা হয়নি। আড়াল আবডাল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ওকে দেখেই কলেজ লাইফটা পার করে দিয়েছি। সেটাও এক ধরনের ভালোলাগা। যে এই অনুভূতির স্পর্শ পায় নি সে বুঝবে না।
আমি আমার গোপন ভালবাসার সেই প্রেমিকাকে দিয়েই কাজ শুরু করলাম। অবশ্য তাতেও একটা সমস্যা দেখা দিল। কলেজে কি করেছি না করেছি সে অনেক আগের কথা। অনামিকার চেহারাটাও মনের মধ্যে একটু ঝাপসা হয়ে এসেছে। সেই অনামিকাকে খুঁজতে গিয়ে আমার মনে পড়লো কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটা স্মরণিকা ছাপানো হয়েছিল। সেখানে শেষবর্ষের সব ছাত্রছাত্রীর ছবি, নাম, ঠিকানা ছিল। ভাগ্য ভালো, ট্রাংকের ভেতর অত্যান্ত সযত্নে আগলানো অবস্থায় সেটা আমি খুঁজে পেলাম। বহুদিন পর সেই ছবি দেখে আমার মনটা কেমন যেন করে উঠলো। এ যেন রবীন্দ্রনাথের সেই কথাটার মতো –
“মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে,
বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যাথা।” - আমিও টের পেলাম সুখের ব্যাথা কাকে বলে।
অনামিকার ছবিটা আমি মানিব্যাগে নিয়ে ঘুরলাম মাস খানেক। ছবিটার একটা কপিও করেছিলাম অনেক কায়দা করে। যেন মানিব্যাগটা হঠাৎ চুরি হয়ে গেলেও ছবিটা অন্তত না হারায়। রাতে ঘুমানোর সময় ওর সাথে কথা বলা শুরু করলাম এক সময়। কিভাবে কিভাবে যেন একটা ছবির মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম আমি।
একদিন স্বপ্নেও তার দেখা পেয়ে গেলাম। আহ! কি মধুর ছিল সেই স্বপ্নের অনুভূতি! সেদিন শরীরের প্রতিটি রক্তকণা যেন খুশীতে হাসছিল আমার সাথে। ঠিক যেন কলেজ লাইফে ফিরে গিয়েছি এক নিমিষেই। স্বপ্নের একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা আপনাকে যে কোন সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, অনেকটা টাইম ট্রাভেলের মতো। কলেজের সেই অনামিকার হয়তো এখন ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছে। কিন্তু স্বপ্ন তো স্বপ্নই।
ও একটা গাঢ় নীল রঙের শাড়ি পড়ে এসেছিল। জায়গাটা ছিল সম্ভবত একটা বাগান বা পার্ক, অতো স্পষ্ট মনে নেই। খারাপ স্বপ্নগুলো যত স্পষ্টভাবে মনে থাকে, ভালোগুলো স্মৃতি ঠিক ততোটাই অস্পষ্ট থাকে। এটা স্বপ্নের একটা খারাপ দিক।
স্বপ্নে আমি কি কারণে যেন হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছিলাম। অনামিকাও হাসছিল। কিন্তু আমি যেভাবে নির্লজ্জের মতো হাসছিলাম সেভাবে না। ওর হাসিটা ছিল অনেক স্নিগ্ধ, সে হাসিতে কোমলতার স্পর্শ ছিল। সেই হাসি দেখতে আমার ভালো লাগছিল খুব। এক অতীন্দ্রিয় অনুভূতির স্পর্শে আমার সমস্ত চেতনা বারে বারে লীন হয়ে যাচ্ছিল। এ যেন এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা, যেন এক অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে দেখতে পারার সুখ – যার কোন তুলনা হয় না।


কিন্তু মা, আমি তোমাকে কেন স্বপ্নে দেখি না? গত দু’বছর ধরে তোমার ছবিটা আমি সাথে সাথে নিয়ে ঘুরছি। তারপরও কেন আমি স্বপ্নে দেখি না যে তুমি আমাকে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিচ্ছো? কেন তুমি আমার স্বপ্নে এসে আমাকে বল না – “বাবা, তোর কি খুব কষ্ট হচ্ছে? কষ্ট হলে থাক।” তুমি একটু দেখে যাও, তোমার ছোট্ট ছেলেটা অনেক কষ্ট করে একা একা বেঁচে আছে মা। তুমি একবার এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে শুধু বলে যাও যে তুমি আবার আমার স্বপ্নে আসবে! আমি সব দুঃখ ভুলে যাবো মা।
মা! ও মা! কোথায় তুমি মা? আমার যে আর বেঁচে থাকতে ভালো লাগে না।

আমার অন্যান্য লেখাঃ

১) একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প
২) ফেরা
৩) জয়ানালের মধ্যরাতের কবিতা
৪) নিগূঢ় প্রতিবিম্ব
৫) পুনর্জাগরন
৬) একজন জাহেদা বেগম
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×