বাহ্ বাহ্ কি দারুণ কথা। নিজের পালিত সন্ত্রাসীদের কি তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এবার তাদের দমনের জন্য দেশবাসীর সহযোগীতা প্রয়োজন। কোন দেশবাসীদের নিকট সহযোগীতা চেয়েছেন আর কোন নাশকতাকারীদের শক্ত হাতে দমনের কথা বলেছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন।
এদিকে আবার দুপুর ১টার দিকে পুনরায় মোবাইলের ৪জি ইন্টারনেট, ইউটিউব, ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসআপ ইত্যাদি বন্ধ করে দিয়েছেন। না এবার ছাত্ররা আগুন দিয়ে ডাটা সেন্টার পোড়ায়নি, এবার সরাসরি নির্দেশ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে চলছে পুলিশ, সন্ত্রাসীলীগ এর দ্বিমুখী আক্রমণ ছাত্র ও সাধারণ জনগণের উপর। এছাড়া সকল লোকাল মিডিয়াও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর কি হবে? এতেও কাজ না হলে কি পুনরায় জনগনের রক্তঝরানো টাকায় পোষা সেনাবাহিনী নামবে অত্যাধুনিক সাজোয়া যান নিয়ে আন্দোলন দমানোর জন্য। ওহ, সরি ভুল বলে ফেললাম, আন্দোলন নয়, তাদের ভাষায় নাশকতাকারী ?
বিভিন্ন স্থানে দেশ রক্ষায় আওয়ামীলীগ অস্ত্রহাতে কঠোর পাহারায় নিয়োজিত হয়েছে। এখন কাকে প্রশ্ন করবেন, তাদের হাতে অস্ত্র কেন? এসব অস্ত্র কি লাইসেন্স করা, না প্রশাসনের নিকট থেকে ধার করা। জানি এ কথার জবাবও কেউ দিবেন না। তারা তো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছেন হোক সে অবৈধ।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দফায় দফায় হামলার খবর দেখলাম কিছুক্ষণ আগে, এখন থেকে আর পাবো না। এদিকে সিরাজগঞ্জ শহর দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা, দেখা যাক পরবর্তী খবর কবে পাই আর কি খবর পাই। দেশে কি তবে গৃহযুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হল, নাকি শুরু হয়ে গেলো, আল্লাহ মালুম।
মাননীয় (?) প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আসলেই আমাদের এখন সময় হয়েছে এইসব নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার। তার নিকট আমাদের একটাই চাওয়া, তাদের নিকট তো অস্ত্র রয়েছে, তো তাদের প্রতিহত করতে হলে তো অস্ত্র প্রয়োজন। আমাদেরকে কি আপনি প্রয়োজনীয় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে দিবেন?
আল্লাহ দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত আপামর জনগণের হেফাজত করুন। আমিন।