আমাদের সমাজে কিছু অসৎ লোকদের কারণে কখনও মাদক আসক্তি কমবে না। তাহলে কি হবে আমাদের কিশোর এবং যুব সমাজের?
আমার একটা অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
একদিন আমি বাড়ীতে গেলাম বেড়াতে। আমার সম বয়সী কিছু ছেলে এখনও বেকার। বাড়ীতে গেলে তাদের সাথেই বিকেলে একটু ঘুরে বেড়াই। রীতিমত বিকেলে বের হলাম ঘুরতে। কয়েকজন একসাথে হাঁটতেছি। হঠাৎ একজন বলল চল আজ রাতে হয়ে যাক। আমি বললাম কি হয়ে যাক? তাদের মধ্যে একজন বললো না, এসব তুই বুঝবি না। আমি একটু রেগে বললাম বুঝবো না মানে? বললেইতো বুঝি। একটু বেশি জোড় করাতে বললো, তুইতো খাস না তোকে বলে কি লাভ। আচ্ছা, আগে বলবিতো জিনিসটা কি? সে উত্তরে বললো, ফিনসিডিল আর গাঁজা খাবো। বুঝিছিস। তাই বল। আচ্ছা, এত লেখালেখি হয় তা নিয়ে, আর্মি, রেব, পুলিশের নজর ফাঁকি দিয়ে তোরা এগুলো কোথায় পাস? আর বলিস না। এত কিছুর মাঝেও পাওয়া যায়। আমার কৌতুহলি মন আর মানলো না। আমাকে নিবি? আমিসহ যাবো। বলল, ঠিক আছে। কিন্তু ভেজাল করতে পারবিনা। আমি বললাম, ঠিক আছে। রাতে গিয়ে দেখি, কি সু-ব্যবস্থা। কিছু লোক বাজারে হাঁটা-হাঁটি করছে। হঠাৎ আমাদের একজন, আর একটি লোকের সাথে চলে যাচ্ছে। আমিসহ তার সাথে গেলাম। তারা হাঁটতে হাঁটতে একটা পুকুর পাড়ে গেল তারপর আমাদের দাড় করিয়ে, সে একা যে পাড়ে মানুষে চলাফেরা নেই সে পাড়ের দিকে চলে গেল। দুর থেকে বুঝলাম পুকুরের ফেনার নিচে এক বস্তা পলিথিন দিয়ে মোরানো ব্যাগ থেকে তাদেরকে এনে দিল। সেই ব্যবস্থাও ছিল শুধু আর্মির জন্য। তাদের কথায় বুঝলাম তারা শুধু আর্মিকেই ভয় পায়। পুলিশ তাদের কেনা গোলাম।
এভাবে অনেকেই আসে। এগুলো বিক্রি হয়ে শুধু রাতে। আমার কাছে বিষন খারাপ লাগলো। পরদিন আর্মির ক্যাম্প ঠিকানায় একটা খোলা চিঠি লিখি। পরিচয় বিহীন, ওই খানকার বিস্তারিত লিখে। এরপর কি হয়েছে জানি না। শুধু এটাই ভাবি, আইন/নিরাপত্তার জন্যইতো আইনের রক্ষকদের তারা কি করছে? দিন দিন যুব সমাজ নস্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে মাদকাসক্তির সংখ্যা। কিছু টাকা মুনাফার জন্য আমরা তৈরি করছি যুব সমাজের জন্য মরন ফাঁদ।
শুধু পত্র পত্রিকায় লিখালিখিই হয় কিন্তু এটার কোন প্রতিকার হতে শুনিনা। কিছুদিন আগেও আমি রাতে আমার ভাইয়ের সাথে গল্প করছিলাম। বলতে বলতে সে কিছু কিশোর ছেলের কথা বললো। যারা রীতিমত ড্রাগস নেয়। আমি তাকে বললাম, তুই জানলি কিভাবে? সে বললো, প্রতিদিন বিকালে তাদের সাথে খেলাধুলা করি তাই তারা আমার কাছে বলেছে। আমি আবার আমার ভাইদের সাথে খুব ফ্রি। তাই সে আমাকে বলে দেয় সবকিছু। জানেন, তার ভাষ্য মতে যে ছেলে গুলোর কথা আমি শুনলাম তাদের বয়স সর্ব্বোচ্চ ১২-১৪ বছর। কি হবে তাদের? এত কম বয়সেই নিচ্ছে ড্রাগস।
আমার প্রশ্ন হলো এগুলো যারা বিক্রি করে তাদের এই মুর্থতা কিভাবে দুর করা যায়? আমরা যারা সচেতন নাগরিক তাদেরই বা কি করার আছে? আইন দিয়ে কিছু হবে না। সেটা আগেই জানি।। চোর শালারা.........
বলবনা কাকে গালি দিয়েছি।।।।।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




