সম্প্রতি বাংলাদেশের নতুন সংযোজিত একটি পত্রিকা বাজারে বেশ চলছে। চিন্তা করছেন কোন পত্রিকা, আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের কথা বলছি। গত মাসে তিন লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার পর্যন্ত সার্কোলেশন হ্ওয়ায় সব কর্মকর্তারা ঈদে শতভাগ বোনাস পেয়েছেন। ২ টাকা মূল্যের এই পত্রিকাটি আমাদের সময়ের থেকে বেশ ভালা ও গুনগত তথ্য দিয়ে বাজারে পাঠক মহলে বেশ ভালো একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিনোদনের সাংবাদিক সৌখিন নামের এক ভাই দেশীয় বিভিন্ন তারকাকে নিয়ে যেভাবে সংবাদ লিখছে তা রিতিমতো হাস্যকর।
ইদানিংয়ের আলোচিত সেলিব্রিটি স্কেনডাল প্রভাকে নিয়ে সারা দেশে এমনকি দেশের বাহিরেও খবরটি দ্রত বিভ্রান্তমূলক ভাবে উপস্থাপন করেছেন এই সাংবাদিক ভাই। প্রথম থেকেই লক্ষ্য করছি এই সৌখিন নামের ভাই পভাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই লিখে যাচ্ছেন পরে অন্যান্য পত্রপত্রিকা পরে দেখা গেল তার দেয়া তথ্যের সাথে বেশিরভাগ যায়গাই কোন মিল নেই।
মাস খানেক আগে সাকিব খান অপু বিশ্বাসকে নিয়ে একটি সংবাদ লিখে সারা মহল থেকে এই সাংবাদিক তুলধ্বনি পেয়েছেন। উনি লিখেছিলেন সাকিব খান যেহতু অপু বিশ্বাসের বাসায় গিয়ে অপুর মার সামনে পিটিয়েছেন তার মানে অপু সাতিতই সাকিবের স্ত্রী,আর স্বামী স্ত্রিকে মারার অধিকার রাখেন।
এবার আসি প্রভার সংবাদ লিখন প্রসঙ্গে, তিনি প্রথম থেকেই প্রভার নগ্ন ভিডিও চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম ও শেষ পাতায় ফলাও করে বেশ কতগুলো সংবাদ তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি প্রভার নগ্ন ভিডিও চিত্র সামাজিক ভাবে কতুটুকু প্রভাব ফেলতে পারে বলে নান উদভট যুক্তি পেশ করেছেন। ব্যাক্তিগত মতামত গুলো সমাজের বিভিন্ন মানুষের কথা বলে চালিয়ে দিয়েছেন। আমার কথা হল, একজন সাংবাদিকই শুধু এই ধরনের ভূলের জন্য দায়ী নয়। তার লিখনের বিভিন্ন ভূল শুদ্ধি ধরার জন্য কয়েকজন সম্পাদক নিয়োজিত রয়েছেন।
কোন সংবাদটা কতটুকু বস্তুনিষ্ট,বা এটার প্রভাব কতটুকু বা এটা কোন পাতায় যাবে সে জন্য বিভিন্ন রকম অভিঞ্গ রোক নিয়োজিত রয়েছেন। আর তারাও যদি একি মানের হন তাহলে ভিন্ন কথা।
কোন সাংবাদিকই পাঠক কে তার সংবাদের মাধ্যমে ব্যাক্তিগত মতামত চাপিয়ে দিতে পারেনা...বা সংবাদ পাঠের পর পাঠকের কি মনভাব হবে তা সংবাদিক সাহেব ঠিক করে দিতে পারেনা...এই সমস্ত নিতীবাক্য এই সাংবাদিক বা তার পত্রিকার সম্পাদক কি তাহলে জানেন না।
আজকে একই সাংবাদিকের আরেকটি লেখা পড়ে অবাক হলাম। লাক্স তারকা বাধন নাকি চুর ! বছর দু'য়েক আগে ব্যাংককে মোহন খানের নাটকের শুটিং করতে গিয়ে চুরি করেছিলেন তিনি। ধরা পড়ায় তাকে আটকে রাখা হয়। পরে বাংলাদেশ থেকে তার ঘনিষ্ঠজনরা ব্যাংককে গিয়ে ছাড়িয়ে আনেন। এজন্য জরিমানার অর্থও গুনতে হয়েছিল।
তিনি আরো লিখেছেন বাধন নাকি এর আগে একাধিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে তার সবচেয়ে আলোচিত প্রেম এক চ্যানেল কর্মকর্তার সঙ্গে। অবশ্য এটাকে অনেকে প্রেম না বলে স্বার্থের জন্য সম্পর্কের ব্যবসা বলতে ভালোবাসেন। নিজের স্বার্থের জন্যই নাকি বাঁধন চ্যানেল কর্মকর্তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
মেনে নিলাম এখানে বাধনের ব্যাপারে সব গুলো কথাই সত্ত, কিন্তু আমরাতো হলিউড বা বলিউডের দেশের মানুষ না। এই রকম একটা সংবাদ যে একজন তারকার বহু কষ্টে অর্জিত খ্যাতি এক নিমিষেই শেষ হয়ে যেতে পারে তা হয়তো এই সাংবাদিকের মগজে নাই। হয়ত এই সমস্ত মিডিয়া ব্যাক্তির সাথে এই সাংবাদিক ভাইয়ের ব্যাক্তিগত কোন ঝামেরা রয়েছেন। তাই ওনি সাংবাদিকতার পরিচয়টাকে স্বদব্যাবহার করছেন। অথবা পত্রিকা বেশি বিক্রির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য উপর মহলের দিকনির্দেশনা রয়েছে। পত্রিকাটির শুরু দিকে অনেকে বলতে শুনেছি বাজারে এলো বসুন্ধুরার আরেকটি টিস্যু পেপার, যদি এই হয় খবরের মান তাহলেতো ব্যাপারটা এরকমই হয়।
তার লেখা বিভ্রান্তিমূলক খবর গুলো পড়তে এই লিন্কে যান:
Click This Link
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




