পরিক্ষা শেষ করে বাসায় পিরছি.......
এ জার্নী বাই বসুমতি বাস
ফ্রম উত্তরা টু বোর্ড বাজার...ওইথ এ রেড লেডি..........
ব্যবসায় সংগঠন ২য় পত্র পরিক্ষা শেষ করে বাসায় পিরছি.......
নরমালি পরক্ষা শেষ করে হাল্কা খাওয়া দাওয়া করলাম... তার পর আর দেরি না করে বাসে উঠলাম।
বসুমতি বাস এর মাঝখান এ পাকা সিট পেয়ে গেলাম,
দুইটা সিট পাকা। নরমালি বসুমতি তে উঠলে ও সিট পাওয়া কস্ট সার্ধ যাই জাহোক এসে বসলাম.....
মোবাইল টা বের করলাম একটু আরম করেই বসস্লাম এই সময়ে এয়ারফোন টার অভাব অনুভব করলাম..
একটু পর হাঊস বিল্ডিং স্টপে বাস থাম্লো, আমি ক্যন্ডি ক্রাশ নিয়ে ব্যস্থ ছিলাম.... এমন সময় একটা মেয়ে এসে বল্ল হ্যালো একটু সরে বসুন......
এই যে হ্যালো এ টাইপ এর কথা নরমালি আমার পরিচিত কয়েক্টা মেয়ে ফ্রেন্ড থেকেই শুনি....
যাই হোক সরে বস্লাম,,
বাস স্টপে অনেক্ষন দাড়ালো জ্যাম বুজাই যাচ্চে তার উপর সিগ্নাল ....
। এবার শুরু হলো অসস্থি কর ব্যাপার
... জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়ে থাকতে ও ইচ্চা করছে না আবার সাভাবিক ভাবেও বসতে পারচি না, হেড ফোন ও নাই যে গান শুনে সময় কাটাবো।
এট দ্যা টাইম শুরু হলো অসস্তিকর ব্যাপার,
*অকারনেই মাথারর চুল গুলা সামনে নিচ্চে আবার পিচে রাখচে।
* একটু পর পর যথা সম্ভব মুখের
উপরে আসা চুল গুলো সরিয়ে দিচ্চে।
*উর্না ঠিক করছে।। মোবাইল এর আয়নায় মুখ দেখচে।
এগুলা তো নরমাল কাজ,
জাই হোক না তাকেয়ে ও যে দেখা জায় তা ভালো করেই প্রত্যক্ষ করলাম আমার পাশে অথচ
তাকাচ্চি না।
ভাড়া দেয়ার সময় এক ফলক দেখলাম
তাও মুখ দেখা হলো না,
পুরা পুরি লাল।।।মানে লাল ড্রেস, লাল জুতা লাল ব্যনিটি ব্যাগ, ।।
হু ভাব্লাম এর যদি ফেসবুক থাকে তাহলে নিশ্চয় আই ডির নাম হত ‪#‎রেড‬ এঞ্জেল।
জ্যাম একটু পর পর প্রায় পতি স্টপেই জ্যাম... পুরা রোবট এর মত বসে আছি। বিরক্তি কম লাগতো যদি পাসে এমন লালি না থাক্তো।
অনেক সময় অনেক কিছু নিয়ে ধরকারে অধরকারে সমিক্ষা বা পরিক্ষা চালাই। তবে বেশির ভাগ দরকার ও সার্থে ,
যেমন অনেক গুলা মেয়ের মোবাইলে ভয়েস কেমন আশে, তারা কি টাইপ এর ডং বেশি করে, কোন জিনিশ এ বেশি এক্সসাইটেট থাকে। এই হাবি যাবি।
(((মনে হচ্চে আরো একটা করার দররকার ছিল। সেটা হলো সুজোগ পেলেই সাহেবি বেশে। মানে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে বসা। সাধারনত এতে অনেক ক্ষতি হয় মাথায় আর রক্তে প্রেশার পড়ে যাক গে।))))
রেড এঞ্জেল একবার এই পাশ হয়ে সাহেবি বেশে বসতেছে আরেক বার ওই পাশ হয়ে।
চায়না আর বৃটেনে মেয়েদের ভিনিন্ন খাবারের প্রতি পাব্লিক প্লেইস এ নিশেদ আছে তার অনেক গুলার মাঝে একটি হলো পানি পান করার সময় অংগি ভংগি করা।
। জাই হোক এই রেড এঞ্জেল এর একটা রেড ব্যাগ আছে। বেগ টা ধিরে ধিরে মনে হলো ডোরেমন এর গ্যাজেট এর ব্যাগ।
*প্রথমে পানি বের করলো জাই হোক পানি ও অনেক অংগ ভংগি করে খেতে হয় তা বুঝলাম।
* এর পর একটা টিসুর প্যাকেট।
* একটা ছোট আয়নারসাথে মেকাপ টাইপের কিছু।
এমন টা একবার পিক নিক এ যেতে দেখেচিলাম আমার কিছু মেয়ে ফ্রেন্ড বাসের মোধ্যই ছোট মেক আপ বক্স এনেছিল।।। অনেক টা ওই রকম তবে রেড কালারের।।
*বার বার ওই ডোরেমন এর গ্যাজেট এর ব্যাগ এর চেইন খুলচে আর লাগাচ্চে। যার ফলে হাতের গুতা লাগতেছিল।
আমি একের তিন ভাগের এক অংশ হয়ে বসে আছি। তাও হচ্চে না।।
ক্যন্ডি ক্রাস এর ২০৩ এ আছি কিন্তু কম্পলিট করতে পারছি না। তাই খেলতেছিলাম.
এবার দেখি ওই গ্যাজেট থেকে ফোন বের করলো। হায়রে সাঊন্ড দিয়ে কি ক্যন্ড্রী ক্রাশ খেলা লাগে....?
ওই রেড এঞ্জেল ও ক্যান্ডি খেলতেছে। বিরক্তির চরম সিমা। চিনা নাই জানা নাই মনে হচ্চে কপি করলো আর বিরক্তি করে মজা পাচ্চে।
এর পর আর কি মোবাইল অপ করে বাহিরে তাকেয়ে আছি।
কি সুন্দর পরিবেশ একটা ট্রাক থেকে কালো ধোয়া বের হচ্চে একটা নোহা গাড়ির ড্রাইবারের পাশে পেটু লোক বসে আছে, এরেক্টা ছোট পিক আপে ড্রাইবারের এর সাথে গাদাগাদি করে ৪ জন বসে আছে।
এই দৃস্টি সিমানায় এই টুকুই দেখলাম।। হা হা হা হা। এই হললো পরিবেশ। কি যে কররি।
এক সময় দেখলাম রেড এঞ্জেল তার ব্যাগ থেকে এয়ার ফোন বের করে গান সুন্তেছে।
হাহাকার লেগে উঠলো এয়ার ফোন এর জন্য, হু হা হা।।
বেরক্তি হয়ে মোবাইলে ফেবু চালাচ্চি মনে হচ্চে এই দিকে ওনি দৃষ্টিপাত করছে।
সাধারনত যে মোবাইল হাতে সেটায় পকির ও তাকানোর কথা না। তবে আসুস টা থাকলে প্রায় বাসের অন্য পাশের সিট থেকে ফললো আফ হয়।

এতক্ষনে বাস কলেজ গেইট চলে এসেছে।
কিশোর উন্নয়ন কেদ্রে এর প্রধান গেইট এর সামনে কি নিয়ে অনেক জটলা। তেমন কিছু মনে হলো না।
রেড এঞ্জেল পাশে মোবাইলে চেহারা দেখচে। নরমালি ফলীও না খাওয়ারা অন্তত বাসে সেল্ফি উঠায় না। কিন্তু এই রে্ড লেডি বাসে ও সেল্পি কাজে ব্যস্থ।
সাধারন দের এত কৌতহল নাই কিন্তু ইননি গলা উচিয়ে জানালার পাশে এসে দেখলেন।
আমি অতকে উঠে একটু পিচিয়ে আসলাম। ওহ জানালার পাশে বসেও বিরক্তি লাগছে।
একটানে তারগাছ এলাম ও মোর খোদা এখানে জ্যাম ক্যন।। একবারে এখান থেকে পুরা বোর্ড বাজার বাস জ্যাম এই পাসের রাস্তায়।
এই রেড লেডী আরো কি কি করচে মনে নাই। আর বিশেষ কথা হলো আমি তাকাই নাই এই পর্জন্ত।
হেল্পার বেটা একটানা তাকেয়ে ছিল।।হু
জাই হোক মনে হচ্চিল মেয়েটা সুন্দর -ই। তবে জালাতন কৃত সুন্দীরি হবে। বিরক্তি কর।
বাসে নরমালি বোর্ড বাজার নামি কিন্তু এই বাসে উঠলে সুবিধামত থামায়ে বাদাশা মিয়ে স্কুল রাস্তার বরাবর একটু স্লো করে নেমে জাই।
বাসে উঠে যে ভাবে বল্ল ‪#‎হ্যালো‬ একটু সরে বসুন। প্রতি উত্তর নামার সময়
‪#‎এই‬ যে হ্যালো একটু সরুন নাম্ভো।।।
হা হা হা হা।।।চেহারা অবাক হইইলো ভাবলো আমার ডায়লগ আমাকে পিরায়ে দিল এই রেড এঞ্জেল কে তাও ব্লাক জিন এ। হা হা হা হা। একবারে মুখে দৃষ্টিপাত
করলো
মিস্কা হাসি......
আমি নাম্বো তখন মনে হলো আরে একে তো আমি ছিনি।। সেই একবার দেখেছিলাম।।।
তাড়াতাড়ি করে রাস্তা পার হওয়ার জায়গায় গিয়ে দাড়ালাম।।।
হু হা হা হা।।।না আজ নাম্লো না।।। কেন?...
আজকে তো রাস্তায় য্যাম নেমে পার হবে কেন।
দ্র : যাদের অনেক বেশি বুদ্ধি তারা না পড়লেই পারো আর এই ফ্যারাগ্রাপ টাইপ যার মনে হয়য় দয়াকরে না পড়েন। কারন আমি যাই লিখি প্যারাগ্রাপ আর জাই হোক আমার লেখা পড়ার মত অনেক আছে হয়তো এফ বিতে নেই ব্লগে আছে। ট্রু কথা ছাপা বা মিথ্যা মনে হলে ও সমস্যা নাই নিন্দুক্তার মাজেই জয় আর প্রাপ্তির হাসি থাকে।