১৭৮৯ সালে ফ্রান্সে সফল বিপ্লব সংগঠিত হওয়ার পর থেকে পাশ্চাত্যে ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। ধর্ম কেবলই ব্যক্তির নিজস্ব আধ্যাত্মিক পরিপুষ্টি সাধনের নিমিত্তে। সামাজিক-রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্ম কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না। কিন্তু ইসলাম হচ্ছে বিশ্ব-স্রষ্টার নির্দেশিত মানবজীবনের জন্য একটি সামগ্রিক জীবনবিধান – যার মাঝে অন্তর্ভূক্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রঃ ব্যক্তিগত, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। কোরান জীবনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্র সম্পর্কে কি বলে সেটা খতিয়ে দেখা যাক এখানে।
কোরানের ২৪:৪২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ “Yea, to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth; and to Allah is the final goal (of all).” (হ্যাঁ, আসমান ও জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ; এবং আল্লাহই হচ্ছেন চূড়ান্ত গন্তব্য)।
আল্লাহ একই দাবী পুনরাবৃত্ত করেছেন ৩৪:১ নং আয়াতে।
কোরানের ৫৭:৫ ও ৬৭:১ নং আয়াতে আল্লাহ নিজেকে আসমান ও জমীনের উপর একচ্ছত্র আধিপত্যকারী দাবী করেছেন।
কোরান ৬:১৬৫-এ আল্লাহ বলেনঃ “It is He Who hath made you (His) agents, inheritors of the earth...” (আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর প্রতিনিধি ও পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করেছেন)।
এবং কোরান ২৪:৫৫-এ আল্লাহ বলেছেনঃ “Allah has promised to those of you who believe and do good that He will most certainly make them rulers in the earth as He made rulers those before them, and that He will most certainly establish for them their religion which He has chosen for them...” (যারা বিশ্বাস করে ও ভাল কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি তাদেরকে পৃথিবীর শাসনকর্তা বানাবেন... এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য পছন্দকৃত ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন...)
তার মানে দাঁড়ায়, আল্লাহ ও কোরান মতেঃ সমগ্র পৃথিবীর প্রকৃত মালিক বা উত্তরাধিকারী হচ্ছে মুসলিমরা। কাজেই অমুসলিমদের মালিকানাধীন বা শাসনাধীন পৃথিবীর সকল ভূখণ্ডের প্রকৃত মালিকও মুসলিমরা। অন্য কথায় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদির প্রকৃত মালিক হলো মুসলিমরা; সেসব ভূখণ্ডকে সেখানকার অমুসলিমরা অন্যায়ভাবে দখল করে আছে। এবং আল্লাহ সে অন্যায় দখল থেকে বিশ্বের প্রত্যেক টুকরো ভূখণ্ড মুসলিমদের মালিকানায় ও শাসনে এনে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




