খুব সম্ভবত ২০১২ এর কথা, ২০১৩ও হতে পারে। ফটোগ্রাফার বন্ধু জাহিদ আমাকে সহ আরও কয়েকজন ফটোগ্রাফারকে প্রায় জোর করে তাদের অফিস থেকে আয়োজন করা ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ পিকনিকে নিয়ে গেলেন।

সেখানে সবার হাতে একটা করে টোকেনের স্লিপ দেওয়া হলো। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার নাস্তা এবং র্যাফেল ড্র। সারাদিন বেশ মজা হলো। দিন শেষে যখন ঢাকায় ফিরছি, তখন চলছে র্যাফেল ড্র। আমরা ফটোগ্রাফারেরা পিছনের দিকে দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছি। প্রায় ১,০০০ জনের মধ্যে ১০০টির মত পুরুস্কার বিতরণ হবে।
যখন শেষ দশে চলে আসলো, তখন আমাদের সৈয়দ ফটোগ্রাফার আমাদের বললো, এবার সামনে চলেন, আমার লটারী বাধবে! শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম। এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি তৃতীয় পুরুস্কার হিসাবে একটা রাইসকুকার নিয়ে আসলেন
আমি কখনও কোন র্যাফেল ড্রতে কোন পুরুস্কার পাইনি। টাকা দিয়ে কেনা লটারী হারাম, একারণে কখনও কিনি না। কিন্তু বিভিন্ন পিকনিক কিংবা আয়োজনে কিছুই পাইনি।
আমার কাছে না পাওয়াটাই এখন স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আজকে সকালে যা ঘটেছে, তাতে আমি নতুন করে অবাক হয়েছি।
সকালে ঈদের নামাজের শেষে বাসার কাছে ইসলামিক সেন্টারে প্রবাসীদের জন্য নানান আয়োজন ছিলো, সেখানে গেলাম ছেলে-মেয়েকে সাথে নিয়ে। সবাইকে একটা করে টোকেন দেওয়া হলো। পুরুস্কার আছে!
আমাদের সিরিয়াল যথাক্রমে ২৬ (ছেলে), ৪২ (আমি), ৬৪ (মেয়ে)। লটারীর ড্র চলছে....
একসময় এসে ঘোষণা আসলো ৪১। এর কিছু সময় পর ১৪২। এর কিছু সময় পর ৪৩!
আরও সময় যেতে যেতে ২৪, ২৫, ২৭, ২৮, ৩৯, ৪০, ৪৪ এবং সর্ব শেষে ৬৩ এবং ৬৫!
আমি খালি অবাক দৃষ্টিতে আমার নম্বরের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। অনুষ্ঠান শেষে বাচ্চা-কাচ্চাদের বেশ কিছু উপহার দেওয়া হলো।
পুরা দিন কেটে গেছে, আমার অবাক হওয়া এখনও থামেনি! ক্যামনে কি হইলো? এর আগে এমন হয়েছে যে কাছাকাছি নম্বর এসেছে। কিংবা কাছাকাছিই যায় নি। কিন্তু এবারের নম্বর গুলি দেখে আমি টাস্কিত!
কানের কাছ থেকে গুলি যাওয়া খুব সম্ভবত একেই বলে!
Photo by nousnou iwasaki on Unsplash
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





