একদা এক বালক মামু সরকেটিসের কাছে হাজির হইয়া বলিলো, গুরু, আমি কি করিয়া সাকসেসফুল হইতে পারিবো? কি করিলে সুখন সাহেবের বাৎলানো ৬ডিজিটের ইনকাম হইবো?
Photo by the blowup on Unsplash
মামু গম্ভীর স্বরে বলিলেন, বৎস, আগামীকল্য বহুৎ সকলে আমার লগে নদীর পাড়ে দেখা কইরো, আমি তোমাকে উপায় বাৎলাবো!
বৎসেরতো আর রাত পার হয় না; সকাল হইলেই মামু উপায় বাৎলাবেন। বৎস সারা রাত এপাশ ওপাশ করিয়া সূর্য ওঠার আগেই সরকেটিস মামুর লগে দেখা করিতে হাজির হইয়া গেলো নদীর পাড়ে।
মামু আগে থেকেই নদীর মধ্যে আর্ধেক বডি নামাইয়া খাড়াইয়া ছিলেন। বৎসকে ডাক দিয়া বলিলেন, এদিকে আসো বৎস।
বৎসও খুব আগ্রহভরে মামুর কাছে পৌছায়া গেলো। বৎস কিছু বুঝিয়া উঠিবার আগেই সরকেটিস মামু তাহার মস্তক খানি ধরিয়া পানির মধ্যে চুবাইয়া ধরিলেন।
বৎস পড়িলো মহা বিপদে। বহু মুচড়ামুচড়ি করে, তবুও বৎস উঠিতে পারে না। এদিকে তার নিঃশ্বাস বন্ধ হইবার উপক্রম।
মামুও আমাদের বড়ই শক্তিশালী; চাপিয়া ধরিয়াছেন তো আর ছাড়েন না। বৎসের যে জীবন যায়, এ বিষয়ে মামুর কোন খেয়াল আছে বলিয়াও মনে হইলো না।
কিছু সময় পর যখন মামু বুঝিতে পারিলেন যে বৎস আর পারিতেছে না; তখন ছাড়িয়া দিলেন।
বৎস উঠিয়া বড় একখানা নিঃশ্বাস লইলো। দৌড়ায়া পাড়ে উঠিলো; মামুকে কাজী মারুফের মুভি থাইকা দুই চারটা ডায়লগ হুনাইয়া দিলো।
মামু ধীর লয়ে আগাইয়া আসিয়া শুধাইলেন, বৎস, যখন ডুবিয়া যাইতেছিলা, তখন তুমি প্রাণ পনে কি চাইতেছিলা।
বৎস কিঞ্চিত মুখ বাঁকা করিয়া বলিলো, তুমি এত বড় পন্ডিত, মাগার এইডা বুঝো না যে আমি নিঃশ্বাস লইতে চাইতেছিলাম!?
মামু হাসিয়া বলিলেন, তুমি যেভাবে নিঃশ্বাস লইতে চাইতেছিলা, ঠিক সেই ভাবে যদি সাকসেসের তালাশ করো, তাহলে তুমি সাকসেসফুল হইলেও হইতে পারো!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০