হোমিওপ্যাথি নিয়ে ব্লগার রবিন হুড একটা পোষ্ট করেছেন। সেখানে কিছু ভাই ব্রাদাররা হমিওপ্যাথির গুষ্টি উদ্ধার করে দিয়েছেন, উনারা তথ্য প্রমান সহ বিভিন্ন লেখার কমেন্টও দিয়েছেন।

আমি আমার ব্যক্তিগত কমেন্ট করতে গিয়ে বুঝলাম রবিন হুড আমার উপর কোন কারণে বিরক্ত হয়ে আমাকে কমেন্ট ব্যান করেছেন! তাই পোষ্ট আকারে এখানে কমেন্টটা দিলাম।
===========================
হোমিওপ্যাথি নিয়ে অনেকেরই চুলকানী আছে। আমিও আগে বেশ কিছু ভিডিও দেখে কনফিডেন্ট ছিলাম যে হমিওপ্যাথি কাজ করে না।
২০২১ এর জানুয়ারীতে আমি Oral lichen planusতে আক্রান্ত হই। বহু বহু বহু ডাক্তার দেখানোর পর জানতে পারি আমি আর জীবনে কোন দিন ঝাল ও ঝাল জাতীয় জিনিষ খেতে পারবো না। সাথে মুখের মধ্যের যন্ত্রনা নিয়ে সারা জীবনই ঘুরে বেড়াতে হবে। ইন্টারনেট ঘেটেও তাই দেখলাম।
পুরা ৩ বছর এই অবস্থায় ঘোরার পর আমার বউ আমাকে একপ্রকার জোর করে দেশে নিয়ে গেলো। দেশে গিয়ে হমিওপ্যাথি ডাক্তার দেখালাম, সাথে এলোপ্যাথিও। এলপ্যাথি ডাক্তর বললো কিউরেবল না, কমবে বাড়বে, এভাবে চলবে।
হমিওপ্যাথি ডাক্তার বললেন ১-৩ মাস ঔষধ খেতে হবে। সেটাই করলাম। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পরিবর্তন ভিজিবল হলো। আলহামদুলিল্লাহ গত এক বছর ধরে কোন সমস্যা নাই, ইচ্ছা মত ঝাল খাচ্ছি। মাঝে আবার এলোপ্যাথি ডাক্তার দেখালাম, তিনি মুখের ভিতর দেখে সামান্য চিন্তিত মনে হলেন। বললেন এটা একটা মিরাকল।
হমিওপ্যাথি নিয়ে গবেষণা করেছেন এমন এক ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন প্লাসিবো ইফেক্টের কারণে ঠিক হয়েছে।
আমার বউয়ের ভাষ্য, যদি প্লাসিবোতে "আন কিউরেবল" ডিজিজ ভালো হয়, তাহলে প্লাসিবোই ভালো।
আমার ভাষ্য, এই কমেন্ট যখন লিখছি, তখন কড়া ঝাল করে তৈরী সালাদের সাথে বিরিয়ানি খাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




