somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্কুল জীবনের মজার স্মৃতিগুলো আজও নস্টালজিক করে তোলে আমাকে । চলুন পড়ে আসি এমন কিছু অভিজ্ঞতা ;) নিজের জীবনের সাথে মিলে যায় কিনা দেখুন তো :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্কুল জীবনের কিছু ঘটনা মনে পড়লে এখনও নস্টালজিক হয়ে যাই । বিতর্কের স্ক্রিপ্ট তৈরীর নামে কত যে ক্লাস ফাঁকি দিসি, সেইটা আমি ছাড়া আর কেই বা ভালো জানে ;) :P । স্যারদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে নানান রকম নাম দেয়া নিয়ে আর নাই বা বললাম :)

আর, স্যারকে বলে পানি খাইতে গিয়ে ৫ মিনিটের জায়গায় ১০-১৫ মিনিট পার করে যখন চুল-টুল ভিজিয়ে ক্লাসে ঢুকতাম, তখন স্যারদের বিখ্যাত বেত দেইখা কত রকম যে কৈফিয়ত অনায়াসেই দিয়ে পার পেয়ে গেছি তা বলতে গেলে টাইম মেশিনে ঘুরে জেনে আসতে হবে। :P



সেই মুহূর্ত গুলোর কথা মনে পড়লে হয়তো চোখগুলো অকারণে ঘোলা হয়ে যায় দিনগুলো আবার ফিরে পাবার বাসনায়,আর ঠিক কেমন যেনো,কেমন যেনো একটা শূন্যতা অনুভব হয়,যেটা আমি লিখতে পারছি না /:) ... সত্যিই মজার আর আনন্দময় ছিল সেই দিনগুলো ; উদাহরন দেই__

সারা বছর এখন পড়ব,তখন পড়ব করতে করতে...আর , কাল সকাল থেকেই পড়া শুরু করব বলে মহাপণ করে যখন ঘুমাতে যেতাম, পরদিন সকালে উঠেই তা ভুলে ঐ আগের মতনই...। :P

পরীক্ষার সময় সামনের বা পিছনের জনের খাতা দেখার আপ্রাণ চেষ্টা যে কত করেছি আমরা,তা হয়ত অনুমেয় নয় ;) আর কত যে কায়দা :-* ... যেমন... স্যার কোনমতে দরজার বাইরে গেলেই হইত :D তখন ৭ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর জানতে যখনই পিছনে তাকাতাম,স্যার দেখে ফেলত আর তখন টেবিলের নিচ থেকে অদৃশ্য কিছু তুলে স্যারকে বুঝাতাম যে আমার কলম পরে গেছে :P

আবার, আরেকজনের খাতা দেখতেছি , হঠাৎ করে স্যার আমার দিকে যখন তাকাত, তখনি আমি সঠাৎ করে উপরের দিকে তাকিয়ে এমন ভাব দেখাতাম যে আমি কিছু মনে করার চেষ্টা করতেছি :D হঠাৎ করে এমন ভাব নিয়া আবার লিখতে শুরু করতাম যে বিষয়টা আমার মনে পরে গেছে ;) কিন্তু সব...’ হুদাই ফাঁপড়’...। স্যার বুঝত কিনা কে জানে ;)

কবিতা বা উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা দিয়েছেন তো ? সেখানে ফাঁকিবাজির আরেক মহারন্য :D কবিতা প্রেকটিসের নাম করে স্কুলের একটা খালি রুমে দরজা আটকিয়ে হেডফোনে গান শোনা বা স্কুলে লুকিয়ে আনা কারো ‘ “ ভিডিও গেমস” নামক ‘যন্ত্রে’ :P গেমস খেলা ছিলো রোমাঞ্চকর এডভেঞ্চারের মত[ছোট ছিলাম তো :p ]।। তখন, কেউ এসে দরজা ধাক্কা দিলে দ্রুত যার যার জায়গায় গিয়ে একত্রে মহা তৎপড়তার সাথে ভাব নিয়া জোরে জোরে বলতাম ... “”আবৃত্তি করছি ‘বিশ্বকবি’ :D কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি ... বলবীর, বল উন্নত মমশির’ ‘’’ :-* যাতে বাইরে যেই আসে,কবিতা প্রেকটিসের প্রতি আমাদের প্রচন্ড একাগ্রতা বুঝতে পারে। :P

ক্লাসে সিট দখল নিয়া যে বিস্তর হ্যাপা তা অবশ্যি কাউকে বলে দিতে হবে না ;) , এই নিয়ে মারামারিও কম দেখতে হয়নি বোধ হয়। যেমন, আমার পছন্দ ছিল ১ম বা ২য় বেঞ্চ ...কোনদিন, আমি আগে গেলে আমার ব্যাগ টেবিলের উপর রেখে পাশে একটা বই রেখে ঐ সিট বুকিং দিয়ে রাখতাম আমার বন্ধুর জন্য,কিন্তু বুকিং ব্যাপারটা অনেকেই বুঝতে চায় না :D ‘ঘাড়-ত্যাড়া’ বলে যে মানুষের একটা শ্রেণীবিভাগ আছে ,তাদের কাছে প্রায়ই হার মানতে হত /:)



এই রকম আরো কত ঘটনা যে মনে পড়ছে তার ইয়ত্তা হয়তো নেই তবে সেগুলো কারো অজানাও হয়তো নয় । কারণ, আমরা তো একই পথ দিয়া আসছি আর ফাঁকি আমরা সবাই দিছি :P একই রকম ফাঁকি, তবে কেউ কম কেউ বেশী ...

তবে, সব মিলিয়ে এখন বেশ ভালোই আছি আমরা, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা নিয়ে এইতো বেশ বেঁচে আছি,কি বলেন? ;)

লেখকের ই-মেইল : [email protected]

লেখকের ফেসবুক প্রোফাইল লিঙ্ক ।



সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×